দলটির নাম কলকাতা নাইট
রাইডার্স অথচ সেখানে
বাংলাভাষাভাষী কোন লোকাল
খেলোয়াড় নেই; যিনি আছেন
তিনি সংরক্ষিত কোঠার।
ভিনদেশি হলেও কেকেআরে
একমাত্র বাংলাভাষী সাকিব আল
হাসানের কাছে কেকেআরের
চাওয়াটাও একটু বেশি। আগের
ম্যাচগুলোতে বোলিং গড়-পড়তা
হলেও ব্যাটিংয়ে নিস্প্রভ ছিলেন
এই বাংলাদেশি। কলকাতাবাসীর
সেই আক্ষেপ কড়ায়-গণ্ডায় মিটিয়ে
দিলেন গতকাল। গুরুর মন্ত্র কাজে
দিয়েছে। ব্যাটিংয়ের ফর্ম ফিরে
পেতে হঠাৎ করেই এসেছিলেন
ঢাকায়। কোচ সালাউদ্দিনের
নির্দেশনায় তাই পেয়ে গেলেন
সাফল্যেও। কেকেআরের
পারফরমেন্সে তৃপ্তির ঢেকুড় তুলতে
না পারলেও সাকিবের ব্যাটিং
দেখে কলকাতাবাসীর পয়সা যে
উসল হয়েছে তা বলাই যায়।
দলকে চরম দুঃসময়ে দায়িত্বশীল
ব্যাটিং করে কেকেআরের দুর্গ
সামলালেন বাংলার তথা বিশ্বের
অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব।
ইডেনে ম্যাচ হলেও রবিবারের
ম্যাচে প্রথম দিকে হোম
অ্যাডভান্টেজ তুলতে ব্যর্থ শাহরুখের

নাইটরা। ম্যাচের শুরুতেই চার
উইকেট হারিয়ে বেশ বেকায়দায়
পড়েছিল লিগ টেবলে শীর্ষে
থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স।
পাঁচ নম্বরে নেমে যেন টিমের
ত্রাতা হয়ে দাড়ালেন সাকিব আল
হাসান। গত কালের আগে
টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচে তার
ঝুলিতে ছিল মাত্র ২০ রান। কিন্তু, এ
দিন মাঠে নামতেই কলকাতার দর্শক
খুঁজে পেল আগের সেই সাকিবকে।
ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে জুটি
বেঁধে মাঠে নোঙর ফেলেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে তুললেন দু’জনের ব্যাট
থেকে এল ১৩৪ রানের পার্টনারশিপ।
যা ম্যাচের রং বদলে দেয়।
শুধু কি তাই, এ যাবৎ কালের
আইপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম
উইকেটে সর্বোচ্চ রানের
পার্টনারশিপ গড়লেন সাকিব-পাঠান
জুটি। ৫.৫ ওভারের পর মাঠে
নেমেছিলেন সাকিব। ফর্মের তুঙ্গে
না থেকেও শুধুমাত্র মাটি কামড়ে
পড়ে থাকার সাকিবের
লড়াকু মানসিকতার ফলেই শেষ পর্যন্ত
বড় রানের ইনিংস গড়ে কেকেআর।
৪টি করে চার আর ছয় দিয়ে
সাজানো ছিল সাকিবের ৪৯
বলে ৬৬ রানের ইনিংস। এর সঙ্গে
অবশ্যই যোগ করতে হবে ইউসুফ
পাঠানের খুনে মেজাজের
ব্যাটিং। ৪১ বলে ৬৩ রানের
ইনিংস খেলেও সাকিবের মতো
তিনিও কেকেআরকে বড় রানে
ফেরান।
তবে সাকিবের ধৈর্যশীল ইনিংসের
পরও গুজরাট লায়ন্সের ব্যাটসম্যানদের
আটকাতে পারেননি কেকেআর
বোলাররা। ১২ বল বাকি থাকতেই
ম্যাচ পকেটে পুরে নেন তারা।
কেকেআর হারলেও গত কাল ইডেনে
দর্শকমন জয় করলেন সাকিব। শুরু থেকেই
ধরে খেলছিলেন তিনি। তবে প্রথম
দিকে চার-ছয় না মারলেও সিঙ্গলস
নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল
রেখেছিলেন। পরে অবশ্য তা সুদে-
আসলে মিটিয়ে দেন তিনি। বিশেষ
করে ব্রাভোর বলে ১৬তম ওভারে
স্টেপআউট করে সাকিবের ছয়ের
স্মৃতি মনে থাকবে ইডেনের।
ব্রাভোর পরের ওভারের প্রথম দুই বলে
ফের একই রকম সংহার মূর্তি ধারণ
করেন সাকিব। কেকেআর হারলেও
তাই চলতি আইপিএলে সাকিবের
প্রথম অর্ধশতরান কিন্তু আরও বড় ঝড়ের
ইঙ্গিত হয়ে রইল।
এই পোষ্ট যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে একবার গরিবের সাইট থেকে ঘুরে আসুন। FesTalBD.CoM

One thought on "ইডেনে দর্শকদের মন জয় করলেন সাকিব"

  1. sojib56 Subscriber says:
    Tune Amar.Com Tune Amar.Com
    Tune Amar.Com Tune Amar.Com
    Tune Amar.Com Tune Amar.Com
    Tune Amar.Com Tune Amar.Com
    Tune Amar.Com Tune Amar.Com

Leave a Reply