এলেন, খেললেন, জিতলেন! মুস্তাফিজুর
রহমানের মাঠে নামা নিয়ে সংশয় ছিল। ম্যাচ শুরুর
আগেই অবশ্য বাংলাদেশের দর্শকদের
অপেক্ষাটা ফুরিয়েছে। ফেসবুকে মুস্তাফিজ
নিজেই জানালেন, খেলছেন তিনি।

খেললেন তিনি, জিতল তাঁর দলও। রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়ে
প্রথমবারের মতো আইপিএল শিরোপা জিতে
নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

ফাইনালটি অবশ্য হয়েছে ঠিক ফাইনালের
মতোই। শেষ বল পর্যন্ত উত্তেজনা না
থাকলেও শেষ ওভার পর্যন্ত ঠিকই টান টান
উত্তেজনা ছিল। শেষ ৫ ওভারে বেঙ্গালুরুর
প্রয়োজন ছিল ৫১ রান, হাতে ৭ উইকেট। এ
অবস্থায় হায়দরাবাদের পক্ষে বাজি ধরার লোক
ছিল না খুব বেশি। তবে হায়দরাবাদের হাতে
তো দুই দুইটি তুরুপের তাস ছিলই—মুস্তাফিজ ও
ভুবনেশ্বর কুমার। শেষ চার ওভারে মুস্তাফিজ

ও ভুবনেশ্বর দিলেন যথাক্রমে ১০, ৭, ১২ ও
৯ রান। এই দুজনের বোলিংই নিশ্চিত করে দিল
আবারও নিশ্বাস ফেলা দূরত্ব থেকে খালি হাতে
ফিরতে হবে বেঙ্গালুরুকে।

অথচ ২০৯ তাড়া করতে নেমে ১০.২ ওভারে
বিনা উইকেটেই ১১৪ রান করে ফেলেছিল
বেঙ্গালুরু। ফর্ম ফিরে পাওয়ার জন্য
ফাইনালকেই বেছে নিলেন গেইল। ৩৮
বলে ৭৬ রান করে গেইল ফেরার পরই মড়ক
লাগে বেঙ্গালুরু ইনিংসে। একে একে
ফেরেন বিরাট কোহলি( ৫৪) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স
(৫)। শেষ পর্যন্ত শিরোপাই খুইয়ে বসে
তারা।

এরআগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।

বেঙ্গালুরুর সঙ্গে আগের দুই ম্যাচের
অতীত অভিজ্ঞতাই হয়তো টস জিতে
ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করল
ওয়ার্নারকে। সিদ্ধান্তটি সঠিক প্রমাণ করার দায়িত্ব
নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন ওয়ার্নার।

শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৬৩
রান। একটু পরই অবশ্য ধাক্কা, বেশ দ্রুত ফিরে
যান ধাওয়ান ও ময়েজেস হেনরিকেস। তবে

যুবরাজ সিংকে নিয়ে ঠিকই রানের চাকা সচল
রাখেন ওয়ার্নার। ১১ ওভারেই ১০০ পেরোয়
হায়দরাবাদ। ৩৮ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৯ রান
করা ওয়ার্নার ফিরলেও এক প্রান্তে টিকে
ছিলেন যুবরাজ। তবে ১৪৮ রানের মাথায়
যুবরাজও (৩৮) ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল পথ
হারালও বুঝি হায়দরাবাদ। তারপরই আবির্ভাব বেন
কাটিংয়ের। ১৫ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৯
রানের এক ঝড় তুললেন। সে ঝড়েই শেষ
৩ ওভারে ৫২ রান হায়দরাবাদের।

Leave a Reply