আপনার শখের, প্রয়োজনীয় এবং
অপরিহার্য বন্ধু অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনটি কি ধীর গতির। স্বভাবতই
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ধীর গতিতে
চালানোর মতো বিরক্তির কিছু নেই।
তবে আপনার কি জানা আছে
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল স্লো হওয়ার
কারণ এবং স্পিড বাড়ানোর উপায়সমূহ?
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব
পছন্দের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের
গতি বৃদ্ধির কিছু কাজের টিপস। আপনার
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনটি যদি স্লো
হয়ে থাকে তবে প্রথমে নিজেই
নিজেকে প্রশ্ন করে স্লো হওয়ার কারণ
খোঁজার চেষ্টা করুন। এবং আপনি যদি
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি
কমে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ
খুঁজে বের করতে পারেন তবে সর্বপ্রথম
সেটির প্রতিকারের ব্যবস্থা নিন।
তারপর মেনে চলুন অন্যান্য টিপস। নানা
কারণেই অ্যান্ড্রয়েডের স্পিড কমে
যেতে পারে। তবে প্রধান প্রধান
যেসব কারণে মোবাইল কচ্ছপ গতির হয়ে
থাকে সেসব থেকে পরিত্রান এবং
সেগুলোর সমাধান নিয়েই আজকের
পোস্ট!
লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার না করলে
ভালোই হয়!
চেষ্টা করুন যতসম্ভব লাইভ ওয়ালপেপার
ইউজ না করতে! আপনি জানেন লাইভ
ওয়ালপেপার মোবাইল ফোনের
সৌন্দর্য বাড়ায়। কিন্তু সম্ভবত এটা
জানেন না যে, লাইভ ওয়ালপেপার
মোবাইলের পারফর্মম্যান্স কমিয়ে
দেয়! কারণ লাইভ ওয়ালপেপার
অ্যানিমেশন হওয়ার কারণে ফোনের
পাওয়ারের প্রয়োজন হয়। তাই যদি
লাইভ ওয়ালপেপার ইউজ করে থাকেন
তবে একটু মন কে বুঝিয়ে লাইভ
ওয়ালপেপারটি বন্ধ করুন। এর চেয়ে

ভালো রকমের সাধারন কোন
ওয়ালপেপার ব্যবহার করে সন্তুষ্ট
থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার
অ্যান্ড্রয়েডের গতি এবং ব্যাটারি
উভয়ই সাশ্রয় হবে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস এবং উইডগেটকে
বিদায় বলার সময় এখনই!
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস এবং উইডগেটের
নিশ্চয়ই কোন কার্যকারিতা নেই? যদি
নাই বা থেকে থাকে তবে সেই
অ্যাপস বা উইডগেট কেন জায়গা
পাবে আপনার ফোনে?
কাজে আসে না এমন অ্যাপস এবং
গেজেটকে বিদায় বলার উপযুক্ত সময়
ঠিক এখনই। কারণ অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনের স্পিড বাড়ানোর অন্যতম
কার্যকারী টিপস এটিই! এসব
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আপনার কাজে
না আসলেও আপনার ফোনের গতিতে
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে কিন্তু সে বেশ
পটু! তাই এখনই খুঁজে খুঁজে অকাজের সব
অ্যাপস বিদায় করুন।
অ্যাপস ব্যবহার শেষে সচেতনতার
সাথেই সেটি বন্ধ করুন
সম্ভবত এই টিপসের শিরোনাম কিছুই
বুঝেননি! ধৈর্য ধরুন, বুঝিয়ে বলছি!
আমরা বেশিরভাগ সময়ই কোন অ্যাপস
ব্যবহার শেষে Quit অপশন ব্যবহার করে
সেই অ্যাপস বন্ধ করিনা। আমরা কোন
অ্যাপস ব্যবহার শেষে হোম স্ক্রিন
বাটন ইউজ করে সরাসরি বেড়িয়ে
আসি। এতে করে ঐ অ্যাপসটি কিন্ত
আসলে বন্ধ হয়না। সেটি চালু অবস্থায়
থেকে যায় রিসেন্ট অ্যাপসে। ফলে
আপনি যতক্ষন না ঐ অ্যাপস Quit করছেন
ততক্ষণ কিন্তু সেটি ঠিকই চালু থাকে
এবং ব্যাটারির চার্জও হজম করে।
এছাড়া এভাবে অনেক অ্যাপস
চালানোর পর সবগুলোই ব্যাকগ্রাউন্ডে
চালু অবস্থায় থাকার ফলে স্বভাবতই
মোবাইল স্লো করে দেয়। তাই অ্যাপস
ব্যবহারের সবশেষে যথা নিয়মে বন্ধ
করে বেরিয়ে পড়ুন।
ফোন মেমরী ফাঁকা রাখুন
কম্পিউটারের মতো অ্যান্ড্রয়েড
ফোনও ইন্টারনাল অর্থাৎ ফোন মেমরী
ফাঁকা থাকলে কাজ করতে সাচ্ছন্দ
বোধ করে। তাই যতসম্ভব চেষ্টা করুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের
ফোন মেমরীটি ফাঁকা রাখতে।
আর যা রাখার প্রয়োজন সেগুলো রাখুন
এক্সটারনাল মেমরী কার্ডে। তাই খুব
জরুরী অ্যাপসগুলো বাদে বাকি
অ্যাপসগুলোও ফোন মেমরী থেকে
পাঠিয়ে দিন এক্সটারনাল মেমরি
কার্ডে। ফলে ফাঁকা স্পেস পেলে
আপনার অ্যান্ড্রয়েড সেট কাজ করতে
পারবে সাচ্ছন্দে, গতিও বাড়বে সেই
হারে।
সাহায্য নিতে পারেন কিছু
অ্যাপসেরও!
অ্যান্ড্রয়েড মানেই অ্যাপসের মজা।
প্রতিটি প্রয়োজন মেটাতেই রয়েছে
অ্যাপসের চাহিদা। তেমনি
অ্যান্ড্রয়েডে ফোন ক্লিন রাখতে
ব্যবহার করতে পারেন কিছু অ্যাপসও।
যেগুলো আপনার স্মার্টফোনটি
রাখবে ফ্রেশ। আর ফ্রেশ মানেই গতিময়
পথ চলা? আপনার হাতের অ্যান্ড্রয়েড
মোবাইলটির স্পিড ধরে রাখতে
ব্যবহার করতে পারেন 1Tap Cleaner, Android
Assistance, App 2 SD, 360 Mobile Security
ইত্যাদি অ্যাপস।

ভাইয়া গরীবের ছোট্ট সাইট
PostMaza.CoM এ ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইলো। দয়াকরে আসবেন

Leave a Reply