বর্তমানে ক্রিকেট অত্যন্ত
জনপ্রিয় খেলা।
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ
পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশে কম-
বেশি ক্রিকেট খেলার
প্রসার ঘটেছে। জনপ্রিয়
খেলা ক্রিকেটের
আক্ষরিক অর্থ আছে,
কি সেটি জানেন?
আভিধানিক
অর্থে একটি পোকার নাম,
ঝিঝি পোকা
গবেষণায়
দেখা গেছে ১৩০০
শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে ‘ক্র্যা’
নামে এক ধরনের খেলা
প্রচলন ছিল।
পরবর্তীতে এটা ‘ক্রিট’ হয় –
এর অর্থ
বক্রদণ্ড। তখনকার দিনের
খেলায় ব্যবহৃত ব্যাট ছি
কিছুটা বাঁকানো।
তবে ক্রিকেট লেখকগণ
বিশ্বাস
করেন যে , ১৮৬৫ সালে এই
ক্রিকট খেলার প্রচলন
হয়। অবশ্য কেউ কেউ বলেন ,
১৬৫০ বা ১৬৯০
সালে ক্রিকেট খেলার
প্রচলন ছিল।
সাত অক্ষরের
সমষ্টি ক্রিকেট যা মানুষের
জীবনের
সাতটি গুণের ধারক। এই
সাতটি গুণের আবর্তেই
ক্রিকেট নামটির উৎপত্তি।
নিচে আমি CRICKET এর
এই সাতটি গুণের বিশ্লেষণ
তুলে ধরার চেষ্টা করেছি
আসুন জানি কি সেই
সাতটি গুণ।
ইংরেজিতে CRICKET
লিখতে হলে প্রথমে আসে ইংরেজি বর্ণমালার
তৃতীয়
অক্ষর ‘C’ । এটি Concentration -এর
প্রথম
অক্ষর। এর অর্থ
হলো একাগ্রতা। ক্রিকেট
খেলা
জন্য একাগ্রতার যতেষ্ট
প্রয়োজন আছে।
ক্ষণিকের
অমনোযোগিতা বা একাগ্রতার
অভাবে বিপদ হতে পারে।
ব্যাটসম্যান, বোলার
কিংবা ফিল্ডার –
প্রত্যেকেরই
এটার যথেষ্ট প্রয়োজন।
বিশেষ
করে ব্যাটসম্যানদের
ক্ষেত্রে তো অপরিহার্য।
পরের অক্ষর ‘R’
এসেছে Regularity অর্থাৎ
নিয়মানুবর্তিতা থেকে।
খেলায় Regularity
না থাকলে শুধু ক্রিকেটই নয়,
ক্রীড়াক্ষেত্রে কোনটাতেই
সফল হওয়া যায় না।
খেলোয়াড়দের নিয়মিত
প্র্যাকটিস তাকে খ্যাতির
শীর্ষে উঠতে সহায়তা করে।
আর ক্রিকেট খেলায় এর
প্রয়োজনীয়তা কতখানি তা সবারই
জানা।
‘I’ নেয়া হয়েছে Intelligence
থেকে। এর অর্থ
বুদ্ধিমত্তা। ক্রিকেট
হলো বুদ্ধির খেলা। বিশেষ
করে অধিনায়ক ও
বোলারদের বুদ্ধির
জোরে অনে
খ্যাতিমান
ব্যাটসম্যানকে অকালে উইকেট
খোয়াতে হয়।
তারপরের অক্ষর ‘C’
হলো Courage -এর
আদ্যক্ষর। Courage -এর অর্থ
হলো সাহস। দলে
বিপদের সময় সাহসের
সাথে রুখে দাঁড়ানোই
ক্রিকেট
খেলার সার্থকতা।
ব্যাটসম্যানের সাহস
না থাকলে শোয়েব
আকতার, ব্রেট লি, ডেল
স্টেইনদের মত ভয়ঙ্কর ফাস্ট
বোলারদের বল
মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
ঠিক তেমনি একজন
বোলার সাহসের
অভাবে একজন ভাল
ব্যাটসম্যানের
বিরুদ্ধে ভাল বল
করতে পারে না।
CRICKET -এর ‘K’ হলো Keenness –
এর প্রথম
অক্ষর। এর অর্থ বিচক্ষণতা।
খেলার প্রতি মন-
প্রাণ
সঁপে না দিয়ে খেললে কখনও
ভাল খেলা যায়
না। ভাল ফিল্ডার
প্রয়োজন।
‘E’ হলো CRICKET -এর ষষ্ঠ অক্ষর।
‘E’
অক্ষরটি এসেছে Energy
অর্থাৎ শক্তিমত্তা থেকে।
ক্রিকেট খেলতে হলে প্রচুর
Energy দরকার। কারণ
টেস্ট ম্যাচে পাঁচদিন
পর্যন্ত খেলে যেতে হয়। কখন
কখনও দলের
প্রয়োজনে একটানা দুই-
তিনদিন
পর্যন্ত শুধু
ব্যাটিং কিংবা ফিল্ডিং করতে হয়।
CRICKET -এর সর্বশেষ অক্ষর
হলো ‘T’,
যা Temperament -এর আদ্যক্ষর।
Temperament –
এর আভিধানিক অর্থ
হলো সহনশীলতা। বিভিন্ন
পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ক্রিকেট
খেলতে হয়
মাথা গরম করলেই
একাগ্রতা বিঘ্নিত হয়।
সেজন্য
পরিস্থিতি অনুযায়ী মাথা ঠাণ্ডা রেখে ক্রিকেট
খেলতে হয়।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে CRICKET
-এর ‘C’
হলো Concentration থেকে, ‘R’
হলো Regularity
থেকে, ‘I’ হলো Intelligence
থেকে, ‘C’
হলো Courage থেকে, ‘K’
হলো Keenness থেকে,
‘E’ হলো Energy থেকে, ‘T’
হলো Temperament
থেকে গৃহীত। একমাত্র
ক্রিকেট খেলাতেই এ
সাতটি গুণের পরিচয়
দিতে হয়। আর এখানেই
হলো ক্রিকেট খেলার
সার্থকতা। এজন্যই ক্রিকেট
খেলার জনপ্রিয়তা দিন
দিন বাড়ছে।
ধন্যবাদ ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।
4 thoughts on "Cricket শব্দের অর্থকি জানেন ?Cricket শব্দেরসাত অক্ষরেররয়েছে সাতঅর্থ , জেনে Cricketশব্দেরপ্রকৃত অর্থ।"