WELLCOME to MY POST
আসসালামু আলাইকুম।আশা করি আপনারা ভালো আছেন।আমি হাজির হলাম আরো একটি নতুন পোষ্ট নিয়ে।দয়া করে কিছু ভুল হলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বা কমেন্ট এর মাধ্যমে বলবেন।
বর্তমান সময়ে ঘরে ঘরে ল্যাপটপ। ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যত্ন সহকারে ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। যত্ন ছাড়া একটা ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ওই ল্যাপটপ খুব বেশি দিন ব্যবহার করা যাবে না। সঠিক ভাবে যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে ওই ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার, ডেটা, এবং সফ্টওয়্যার সংক্রান্ত নানা সমস্যা থেকে আপনার ল্যাপটপকে রক্ষা করা যাবে। ধুলো পড়ে থাকলে ল্যাপটপের বায়ু প্রবাহসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে অসময়ে আপনার ল্যাপটপ নষ্ট হতে পারে। তাই ল্যাপটপের যত্নে কি কি নেওয়া জরুরি তা জানা অনেক জরুরী ।
ল্যাপটপের যত্নে অনেক কিছুই করা করার রয়েছে। তবে আপনার জন্য আজকের পোষ্টে কিছু ল্যাপটপের যত্নে করণীয় বিষয় তুলে ধরবো।
ল্যাপটপের উপর সরাসরি ভারী কোন কিছু রাখবেন না কারণ ল্যাপটপের উপরের অংশটি ফাপা এবং সরু কাচ তন্তুর তৈরি ডিসপ্লে থাকে তাই হালকা পেশারে এটি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে আর জেনে রাখা ভালো ল্যাপটপের ডিসপ্লে পরিবর্তন করা কিন্তু তুলনামূলক ব্যয়বহুল একটি ব্যাপার।
ল্যাপটপ বন্ধ করার সময় শুধুমাত্র ডিসপ্লে এর উপর চাপ দিয়ে ঢাকনা বন্ধ না করে, ঢাকনার উভয় পাশে ধরে বন্ধ করতে হবে, ফলে ল্যাপটপের ডিসপ্লের উপর কোনো প্রকার চাপ পড়বে না।
নিয়মিত ব্যবহারে ল্যাপটপে ধুলোবালি, দাগ এমনকি আঙুলের ছাপ পড়ে যায়, যা নোংরা দেখায়। তাই নরম লিন্ট-ফ্রি কাপড় বা মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করে ল্যাপটপের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে।
কীবোর্ড, পোর্ট এবং অন্যান্য সেন্সেটিভ জায়গা পরিষ্কার করতে ভ্যাকুউম ক্লিনার ব্যবহার করা উচিত, যা বাতাস ব্যবহার করে ল্যাপটপে জমা হওয়া ধ্বংসাবশেষ দূর করে।
তবে, ল্যাপটপ পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে রাসায়নিক বা ক্লিনিং এজেন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এই ধরণের ক্যামিকেল ল্যাপটপের ফিনিস নষ্ট করতে পারে।
ল্যাপটপে যেন সহজে স্ক্র্যাচ না পড়ে কিংবা ছোটখাটো আঘাতে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি না হয় তার জন্য গুণমান সম্পন্ন ল্যাপটপ প্রটেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
অফিসের কাজে, বাইরের মিটিং এবং ভ্রমণের সময় ল্যাপটপ ক্যারি করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত প্যাডিং এবং কুশনিং ব্যবস্থা যুক্ত ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে, যা সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে আপনার ল্যাপটপকে নিরাপদ রাখতে সহায়ক হবে।
সিস্টেম ও সফ্টওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে নিরাপদ থাকুন এবং এটির জন্য নিয়মিতভাবে চেক করুন কখন আপনার ল্যাপটপের আপডেট প্রয়োজন। সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনার অপারেটিং সিস্টেম, ড্রাইভার এবং অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার আপ টু ডেট রাখুন।
হার্ডওয়্যার ব্যর্থতা বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ডেটা ক্ষতি রোধ করতে একটি বাহ্যিক হার্ড ড্রাইভ বা ক্লাউড স্টোরেজে নিয়মিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং নথিগুলোর ব্যাকআপ রাখুন। যদি ব্যাকআপ না রাখা হয় তাহলে পরক্ষণে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ল্যাপটপ ব্যবহারে প্রসেসরের উপর চাপ কম দেওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারগুলো সবসময় বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন।
ল্যাপটপে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনিস্টল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া, ল্যাপটপে কাজ করার সময় ব্রাউজারে অনেক উইন্ডো ওপেন থাকে। কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন না হলে অপ্রয়োজনীয় উইন্ডো মিনিমাইজ করে রাখুন।
ল্যাপটপের ব্যাটারি সংযোগের স্থানটি ময়লা জমে শর্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই মাঝে মাঝে ব্যাটারির সংযোগ স্থানটি পরিষ্কার রাখতে হবে।
এছাড়াও ল্যাপটপের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে যতটুকু সম্ভব কম ব্রাইটনেসে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও, অতিরিক্ত ব্রাইটনেস প্রয়োজন হলে অবশ্যই সরাসরি চার্জারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করলে ব্যাটারির উপর চাপ কম পড়ে।
ল্যাপটপ চার্জ করার ক্ষেত্রে সবসময় ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানির চার্জার এবং পাওয়ার অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করতে হবে। ফলে, সঠিক ভোল্টেজে ল্যাপটপ চার্জ হবে এবং, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
এছাড়াও, ল্যাপটপ চার্জ করার সময় হাই-প্রসেসের কাজ না করাই উত্তম। কারণ হাই-প্রসেসের কাজে যে অতিরিক্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন হবে তা ল্যাপটপ এর ব্যাটারির কর্মক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে।
বাসা, অফিস এ যদি বৈদ্যুতিক পাওয়ার ওঠানামা করে সেক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপকে নিরাপদ রাখতে সার্জ প্রোটেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
বিশেষ করে বর্ষাকালে আমাদের দেশে বজ্রপাত বেশি হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময় ব্যবহারের পর আপনার ল্যাপটপটি আনপ্লাগ রাখতে হবে।
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা বা সরাসরি সূর্যের আলো পরে এমন কোন স্থানে রেখে ল্যাপটপ চালাবেন না এতে অতিরিক্ত তাপে ল্যাপটপের ক্ষতি হতে পারে।
ল্যাপটপ বছরে অন্তত একবার কোন নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে একজন এক্সপার্ট দিয়ে সার্ভিসিং করানো উচিত। ফলে ল্যাপটপের ভিতরে অতিরিক্ত ধুলাবালি ছাড়াও আরো নানান গুরুত্বপূর্ণ অংশ রিচেক করে দিবে এবং প্রয়োজনে কোনো পার্টসে ত্রুটি থাকলে তা পরিবর্তন করে দিবে। ফলে ল্যাপটপটি দীর্ঘদিন ব্যবহারে নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।
END MY POST
তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই।দেখা হবে আরো কোনো পোষ্ট এ।যদি পোষ্টটি ভালো লাগে তাহলে লাইক এবং কমেন্ট করুন।আর যেকোনে নতুন বিষয়ে জানতে ট্রিকবিডি সাথে থাকুন।
You must be logged in to post a comment.
Informative 👍
Wellcome ❤
laptop e charge on korei use korar niyom, apnar oi info ta wrong ase vai. emon bola jay je gorom hole cooling pad use korse
মোবাইল চার্জে রেখে চালাতে নেই কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে চার্জে রেখে চালাতে হবে কেন? এমন হিপোক্রিসি কেন?
এমন হিপোক্রিসির জন্য হাজারো ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি অনেক কম যার ফলে ব্যাটারি লাইফ পুরা নাই।
15k – 20k এর বাজেট এ কোন লেপটপ ভালো হবে।
আর gta 5 খেলা যাবে এমনটার দাম কেমন হবে
🤣
আপনি কি জানেন যে চার্জে রেখে চালালে ল্যাপটপ অনেক ফাস্ট কাজ করে? কিন্ত মোবাইলে সেটা করে না। আশা করি উত্তর টা এখানেই পেয়ে গেছেন। এটা কোনো হিপোক্রিসি না। অনেক ঘেটে দেখেছি ভাই। আর আমিও গত ১ বছরের বেশী ধরে ল্যাপটপ চার্জে রেখেই চালাই। মূল বিষয় হলো আপনি প্রুফ ছাড়া নিজের ভাষ্যমতে তো লিখলে হবে না।
অনেক গেমিং ল্যাপটপ বলেই দেয় যে চার্জে রাখা ছাড়া জিপিউ ফুল পাওয়ার দিতে পারবে না, সো চার্জে রেখে চালালে পারফরম্যান্স বেশি দেয়। আর ল্যাপটপে চার্জে পাওয়ার দুই দিকে যায়, একটায় ব্যাটারি চার্জ হয়, আরেকটা সরাসরি সিস্টেমকে পাওয়ার দেয়, সো ব্যাটারিরও ক্ষতি হয় না।
ট্রিকবিডিও খুব কম অথরই রিসার্চ করে পোস্ট লিখে।
ট্রিকবিডি তে আগের মতো মানসম্মত পোস্ট আর পাওয়া যায়না, আর একটা ছোট্ট কারেকশন, ল্যাপটপ চার্জ এ দিয়ে চালালে ব্যাটারির কোনো ক্ষতি হয়না যতক্ষন না ল্যাপটপ অনেক গরম হচ্ছে। গরম হলে ব্যাটারির সমস্যা হয়