বন্ধুরা, আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি Yeasher Arafath
Trickbd তে এটাই আমার পঞ্চম পোষ্ট আশা করি সবার ভাল লাগবে।

টাইটানিক রহস্য


১৯১২ সালে কি সত্যিই টাইটানিক ডুবে নাকি নাকি ডুবেছিল শীপ অলিম্পিক?

টাইটানিকের কিছু অজানা রহস্য জেনে নিই

টাইটানিকের পুরো নাম RMS Titanic (Royal Mail Ship Titanic)
এবার আসি টাইটানিকের রহস্যে
টাইটানিক না অলিম্পিক? Titanic or Olympic?
১৯১২ সালের সেই ঐতিহাসিক দুর্ঘটনায় কোন জাহাজটি ডুবেছিলো সেই রহস্য পৃথিবী আজো ভেদ করতে পারেনি বিশ্ববাসী।
বিস্তারিত:
টাইটানিকের কম্পানি:
টাইটানিক এবং অলিম্পিক উভয় জাহাজই হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানির অধিনে। যার মালিক ছিলেন জে.পি. মরগান। রবিন গার্ডনার-এর লেখা বই : The ship that never sack এ এসেছে যে টাইটানিকের উদ্ভোদনের আগে এর মালিককে বেশ আর্থিক সংকটে পরতে হয়েছিল। তার কোম্পানিরই যুদ্ধ জাহাজ অলিম্পিক হক (Hawke) নামের আরেকটি জাহাজের সাথে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তদন্ত করে দেখা গেলো যে দোষ অলিম্পিকেরই ছিল। তাই বীমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করলো। তখন চতুর জে.পি. মরগান একটি পরিকল্পনা ফেদে ফেললো। সে কথা রটালো যে সে তার সোনা টাইটানিকে করে নিউইয়র্কে পাঠাবেন। তাই সে সোনার বীমাও করে ফেললো। যেহেতু টাইটানিক আর অলিম্পিকের ডিজাইন একই ছিল সেহেতু সে টাইটানিকের বদলে অলিম্পিককে পাঠিয়ে দিল। কিন্তু কোনো সোনা তাতে পাঠালোনা। তার পরিকল্পনা ছিল যে অলিম্পিক সামুদ্রিক দুর্ঘটনায় ডুবে যাবে আর সে তার সোনার ক্ষতিপূরণ পাবে। আর লাইফ বোর্ড দিয়ে যাত্রীদের বাঁচানো হবে। আর টাইটানিককে পরে অলিম্পিক বলে চালিয়ে দেয়া যাবে। পানির নীচের টাইটানিকের ভেতর সে সোনা অনেক খুঁজার পরেও পাওয়া যায়নি। কারণ সোনা তো সেখানে ছিলই না।
এবার এই কথা গুলোর প্রমাণ দেয়া যাক:
টাইটানিক_vs_অলিম্পিক:

টাইটানিক আর অলিম্পিকের সবচেয়ে বড় পার্থক্য কম্পার্টমেন্টে। টাইটানিকের ছিল অনেক গুলো আলাদা আলাদা কম্পার্টমেন্ট। আর মধ্যবর্তী দরজাগুলোতে ছিল সম্পূর্ণ পানি রোধক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা অলিম্পিকে ছিলনা। টাইটানিকের একটি কম্পার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটির দরজা বন্ধ করে দিলে অন্য কম্পার্টমেন্টে সেই পানি কখনোই যাবে না। এটি শুধু অলিম্পিকেই সম্ভব।
লোগো:
তারপর আসি লোগোতে। ডিজাইনে মিল থাকলেও দুই জাহাজের লোগো ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। টাইটানিক থেকে বেঁচে ফিরে আসা যাত্রীরা ডুবে যাওয়া জাহাজের লোগোর যে বর্ণনা দিয়েছে তা টাইটানিকের লোগোর সাথে মেলে না।
ওজন: এবার ওজনের কথা বলা যাক। টাইটানিকের ওজন ছিল ৪৬৩২৮ টন। আর অলিম্পিকের ওজন ছিল ৪৫৩২৪ টন। কিন্তু ১৯১৩ সালে যখন অলিম্পিকের পুন:ওজন করা হয় তখন এর ওজন হয় টাইটানিকের রেজিস্ট্রেশন করা ওজনের সমান অর্থাৎ ৪৬৩২৮ টন।
আর যাত্রীরা এও জানিয়েছে যে ক্ষতিগ্রস্ত অলিম্পিকের মত টাইটানিকেরও বাম পাশ টা হেলে ছিল।
এই রহস্য হয়তো কখনোই ভেদ করতে পারবেনা কেউ।
টাইটানিক দুর্ঘটনার ভবিষ্যৎবাণী
১৯ শতকের সাহিত্যিক মর্গ্যান রবার্টসন একটি বই লেখেন যার নাম ফিউটিলিটি, অর দ্য রেক অফ দ্য টাইটান। এই বইয়ে ঠিক যেভাবে লেখা ছিল সেভাবেই ১৪ বছর পর ঘটে টাইটানিক দুর্ঘটনা। তাহলে কি এটা ভবিষ্যৎ বাণী ছিল?
টাইটানিকের কোড নম্বর
টাইনানিক জাহাজের নম্বর ছিল ৩৯০৯০৪। পানিতে এর প্রতিবিম্বের পাশ পরিবর্তন করলে হয় no pope.
ভুল চালনার
তখনকার সময় জাহাজ চালানোর নতুন নিয়ম আবিষ্কার হয়েছিল। যখন আইসবার্গটি দেখা যায় তখন উলটো দিকে চালনা করা হয় টাইটানিককে। কিন্তু নতুন নিয়ম না জানার কারণে ভুল করে আইসবার্গের দিকেই চালোনা করা হয় টাইটানিককে। এই কথা বহু দিন লুকানো ছিল। বহুদিন পর এটা প্রকাশ পায়।
রেডিও অপারেটরদের অবহেলা
যেদিন দুর্ঘটনা ঘটে সেদিন দুপুর থেকেই টাইটানিককে কয়েকবার আইসবার্গের জন্য সতর্ক করেছিলো Amerika, Mesaba ও Californian নামের তিনটি জাহাজ। কিন্তু রেডিও অপারেটরেরা তথ্যগুলোকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করে মূল নিয়ন্ত্রণক্ষেত্রে পাঠায়নি।
অভিশাপ
টাইটানিকে করে মিশরীয় এক রাজকুমারীর অভিশপ্ত মমী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে শোনা যায়। অনেকে বলে এই মমীর অভিশাপেই ডুবে যায় টাইটানিক। এই মমীরও অনেক করুণ ইতিহাস আছে। শোনা যায় যে যার যার কাছেই এই মমী গিয়েছে তারা সবাই কোনো না কোনো ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। শেষমেশ টাইটানিকের সাথে মমীটাও ভুবে যায়। আবার অনেকে বলে যে মমীটা লাইফ বোর্ডে করে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আরেক রহস্য
দুর্ঘটনার সময় টাইটানিক থেকে অল্প দূরে একটি জাহাজের আলো দেখা যাচ্ছিল। কেউ বলে সেটা ছিল Californian আবার কেউ বলে Sampson. এটা আজো রহস্য। অনেক চেষ্টার পরও ওই জাহাজ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
টাইটানিক ব্যান্ড
ওয়ালিস হার্টলির নেতৃত্বে এ ব্যান্ডটি শেষ সময় পর্যন্ত বাদ্য বাজিয়ে গিয়েছিল। টাইটানিকের সাথে ব্যান্ডটির সকল সদস্য চিরতরে পানির তলে বিলীন হয়ে যায়।
টাইটানিকের সমাধি
১৪ই এপ্রিল অর্থাৎ আমাদের পহেলা বৈশাখের দিন দিবাগত রাত্রে শত শত প্রাণ নিয়ে সমাধি হয় টাইটানিকের।
টাইটানিকের প্রতি মানুষের টান কখনো ফুরাবে না। সলিল সমাধির পরও টাইটানিক বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে।
কালেক্ট করা + ইডিট করা
ফেসবুকে এই পোষ্ট আবার দেখুন

Contact with Me on Facebook

31 thoughts on "জেনে নিই ডুবে যাওয়া টাইটানিকের কিছু অজানা রহস্য। Posted by Yeasher Arafath"

  1. Yeasin Author says:
    ভাই এটা কি….আপনার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী পোস্ট করলেই হল নাকি।আরে ভাই ভাল ভাল পোস্ট করে কিভাবে আমরা এই প্লাটফর্ম টাকে টপে তুলব আমরা সেই চিন্তা করি আর আপনি এই পোস্ট করে কেন এই প্লাটফর্ম এর মান ক্ষুন্ন করছেন
  2. Yeasin Author says:
    আশা করি আগামী পোস্টে আপনার পোস্ট ঈ সেরা হবে
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      ভাই এখানে অনেকে অনেক রকম পোষ্টই দেয় লাইফস্টাইল বা আনক্যাটাগরি পোষ্ট তাই, আমি দিলাম। এই তথ্য গুলো অনেকই জানে না, ইনফ্যাক্ট হয় তো আপনিও এসব ব্যাপারে জানে না। তবে আগামি তে আরো ভাল পোষ্ট করব।
    2. Yeasin Author says:
      এসব জানতে হলে উইকিপিডিয়া আছে…..ধন্যবাদ
    3. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      ঠিক বলেছেন
  3. Net boss alamin Contributor says:
    tnx for share….
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      Welcone
  4. Emon Patwary@16 Contributor says:
    এখানে কিছু তথ্য ভুল দেয়া আছে,,,,
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      যেমন…..
    2. Emon Patwary@16 Contributor says:
      Momi,,,,,অনেক কিছুই এখানে উল্লেখ করা হয়,নি যেমন কেন টাইটানিক যাত্রা শুরু করেছিল, এর মূল কারন কি,,ইত্যাদি,,,,,,
  5. minhaj Contributor says:
    তাহলে আসল টাইটানিক কই??
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      এটাই তো রহস্য!
  6. sajeeb ahmed Author says:
    very Interested Bro …Keep it up…Karo kothay Kan Diben na…Nije. Bhalo post Kore caliye jan
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ব্রো
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      নিজে কালেক্ট+ইডিট লেখাটা কি চোখে পড়ে নি
  7. TOMAL AHAMED0 Subscriber says:
    ar asol titanic tomar vudai dubse…rohosso udgaton chudaise
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      tomar vudai dubse, abal
  8. TOMAL AHAMED0 Subscriber says:
    joto sob faltu abalchuda post emon kore mone hoi nije gia sob dekse….ja sine tai biswas kore pagol sagol
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      tor moto abalcuda der mone hoy nije gia dekse. bisssas kora ba na tor kaj.
  9. TOMAL AHAMED0 Subscriber says:
    pagolvudai ar dekbo koto jaa…chudna
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      codnaVoda pagol toi, and acuda abal
  10. TOMAL AHAMED0 Subscriber says:
    sala to deksi paglol chuda pagol…….kushtia pabnai jaga jaaa
  11. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
    Sala matherchud pagolchuda toi ja pabna
  12. TOMAL AHAMED0 Subscriber says:
    dekho sobai trickbd author koto valo……ei sob mental rogi ke trickbd er quthor banaise rana vai..
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      ha ha ha abal ki bole
  13. TOMAL AHAMED0 Subscriber says:
    mathai nosto ki chudna author re mamu….
    1. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
      abal pagol cagol member kotteke ase
  14. TOMAL AHAMED0 Subscriber says:
    vai apne na chorom gadha
  15. Yeasher Arafath Author Post Creator says:
    মনে হয় আপনার মতই 😉

Leave a Reply