আজ ২৬ ডিসেম্বর সারা বিশ্বেসূর্যগ্রহণ সম্পর্কে বিজ্ঞানিরা এবং ধর্ম মতে কি বলে বিস্তারিত জেনে নিন।


হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন।

আমরা সবাই ইতিমধ্যে একটা বিষয় নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমোচলনা করছি যে সূর্য গ্রহণ বিষয়ে আমরা একটু কৌতি হল হচ্ছি কারণ আমরা সবাই সব কিছু জানি না তো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে সব কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করছি,আশা করি আপনাদের সব কিছু পরিষ্কার মনে হবে।

এদিকে বিজ্ঞানিরা কি বলে এবং ধর্মে মতে কি আছে সব বিষয় আপনরা জানতে পারবেন।

আজ ২৬ ডিসেম্বর সারাবিশ্ব এমন এক সূর্যগ্রহণ দেখবে যা শেষবার পৃথিবীর মানুষ দেখেছিল ১৭২ বছর আগে।এ সূর্য গ্রহণের সময় সূর্যের চারপাশে থাকবে এক আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন ‘রিং অব ফায়ার’।তাই এ সূর্য গ্রহণ দেখার জন্য অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেউ কেউ বিশেষ গ্লাস কিনে রাখছে।মনে হচ্ছে যেন ঈদের সূর্য উঠবে।অধিকাংশ সময়েই আমাদের দেশের মানুষেরা অত্যন্ত আনন্দ আর কৌতুহল নিয়ে সূর্যগ্রহন এবং চন্দ্রগ্রহন প্রত্যক্ষ করে থাকে।

সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহনের সময় হয় তখন আমাদের নবী (সা.) এর চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেতো।তখন তিনি সাহাবীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তেন।কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।আরবীতে সূর্যগ্রহণকে ‘কুসূফ’ বলা হয়। আর সূর্যগ্রহণের নামাজকে ‘নামাজে কুসূফ’ বলা হয়। দশম হিজরীতে যখন পবিত্র মদীনায় সূর্যগ্রহণ হয়, ঘোষণা দিয়ে লোকদেরকে নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাধিক দীর্ঘ নামাজের জামাতের ইমামতি করেছিলেন। সেই নামাজের কিয়াম, রুকু, সিজদাহ মোটকথা, প্রত্যেকটি রুকন সাধারণ অভ্যাসের চেয়ে অনেক দীর্ঘ ছিলো।

অবিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা প্রথমে যখন মহানবী (সা.) এর এ আমল সম্পর্কে জানতে পারলো, তখন তারা এটা নিয়ে বিদ্রুপ করলো (নাউযুবিল্লাহ)। তারা বললো, এ সময় এটা করার কি যৌক্তিকতা আছে? সূর্যগ্রহণের সময় চন্দ্রটি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে বলে সূর্যগ্রহণ হয়। ব্যাস এতটুকুই! এখানে কান্না কাটি করার কি আছে? মজার বিষয় হলো,বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় যখন এ বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু হলো, তখন মহানবী (সা.) এই আমলের তাৎপর্য বেরিয়ে আসলো।

আধুনিক সৌর বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ দু’টি কক্ষপথের মধ্যবলয়ে রয়েছে এস্টিরয়ে(Asteroid), মিটিওরিট (Meteorite) ও উল্কাপিন্ড প্রভৃতি ভাসমান পাথরের এক সুবিশাল বেল্ট, এগুলোকে এককথায় গ্রহানুপুঞ্জ বলা হয়। গ্রহানুপুঞ্জের এইবেল্ট (Belt) আবিষ্কৃত হয় ১৮০১ সালে।এক একটা ঝুলন্ত পাথরের ব্যাস ১২০ মাইল থেকে ৪৫০ মাইল।বিজ্ঞানীরা আজ পাথরের এই ঝুলন্ত বেল্ট নিয়ে শঙ্কিত।কখন জানি এ বেল্ট থেকে কোন পাথর নিক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানে, যা পৃথিবীর জন্য ধ্বংসের কারণ হয় কিনা? গ্রহানুপুঞ্জের পাথর খন্ডগুলোর মাঝে সংঘর্ষের ফলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথরখন্ড প্রতিনিয়তই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। কিন্তু সেগুলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে এসে জ্বলে ভস্ম হয়ে যায়। কিন্তু বৃহদাকার পাথর খন্ডগুলো যদি পৃথিবীতে আঘাত করে তাহলে কি হবে? প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে এমনই একটি পাথর আঘাত হেনেছিলো। এতে ডাইনোসরসহ পৃথিবীর তাবৎ উদ্ভিদ লতা গুল্ম সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। আপনজনের (Arizon) এ যে উল্কাপিন্ড এসে পড়েছিলো তার কারণে পৃথিবীতে যে গর্ত হয়েছিলো তার গভীরতা ৬০০ ফুট এবং প্রস্থ ৩৮০০ ফুট। বিজ্ঞানীরা বলেন, সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণের সময় ঝুলন্ত পাথরগুলো পৃথিবীতে ছুটে এসে আঘাত হানার আশংকা বেশী থাকে। কারণ হচ্ছে,এসময় সূর্য,চন্দ্র ও পৃথিবী একই সমান্তরালে,একই অক্ষ বরাবর থাকে ।ফলে তিনটির মধ্যাকর্ষণ শক্তি একত্রিত হয়ে ত্রিশক্তিতে রুপান্তরিত হয়। এমনি মুহূর্তে যদি কোন পাথর বেল্ট থেকে নিক্ষিপ্ত হয় তখন এই ত্রিশক্তির আকর্ষণের ফলে সেই পাথর প্রচন্ড শক্তিতে, প্রবল বেগে পৃথিবীর দিকে আসবে,এ প্রচন্ড শক্তি নিয়ে আসা পাথরটিকে প্রতিহত করা তখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। ফলে পৃথিবীর একমাত্র পরিণতি হবে ধ্বংস।একজন বিবেকবান মানুষ যদি মহাশূন্যের এ তত্ব জানে, তাহলে তার শঙ্কিত হবারই কথা।

এই দৃষ্টিকোন থেকে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় মহানবী (সা.) এর সেজদারত হওয়া এবং সৃষ্টিকূলের জন্য পানাহ চাওয়ার মধ্যে আমরা একটি নিখুঁত বাস্তবতার সম্পর্ক খুঁজে পাই। মহানবী (সা.) এর এ আমলটি ছিলো যুক্তিসঙ্গত ও একান্ত বিজ্ঞানসম্মত। তাই এটিকে উৎসব না বানিয়ে আল্লাহকে ভয় করুন।সালাত আদায় করুন।

ঢাকায় সূর্যগ্রহণটি শুরু হবে সকাল ৯টা ১মিনিট ১৬ সেকেন্ডে। ১০টা ২৮মিনিট ৯ সেকেন্ডের সময়ে সর্বোচ্চ সূর্যগ্রহণ হবে; ওই সময়েই সূর্য সবচেয়ে বেশি ঢাকা পড়বে চাঁদের আড়ালে এবং সূর্যকে একটি অগ্নিবলয়ের মতো দেখাবে ।সর্বোচ্চ দুপুর ১২টা ৮মিনিট ২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত চলবে। তাই এ সময় সালাতে দাড়িয়ে যান।অন্যদেরও বলুন প্রার্থনায় নিমগ্ন হতে যাতে এর ফলে মানুষের কোন ক্ষতি কোথাও না হয়,আল্লাহ সবাইকে হিফাযত রাখুন।

সবাই_যে_যার_ধর্ম_মতে_প্রার্থনা_করুন

আশা করি আপনাদের পোষ্টা পড়ে একটু হলে জানতে পারছেন তো আমাদের ব্লগে প্রতিদিন ভিজিট করুন এবং নতুন কিছু উপভোগ করুন।

26 thoughts on "আজ ২৬ ডিসেম্বর সারা বিশ্বেসূর্যগ্রহণ সম্পর্কে বিজ্ঞানিরা এবং ধর্ম মতে কি বলে বিস্তারিত জেনে নিন।"

  1. XR SABBIR KHAN Contributor says:
    An darun post uphar dilen,,very very thanks
    1. Biswas Author Post Creator says:
      tnx vai
  2. MD Shakib Hasan Contributor says:
    অসাধারণ পোস্ট
    1. Biswas Author Post Creator says:
      tnx bro.
  3. jbriyad Contributor says:
    ❤️❤️❤️
    1. Biswas Author Post Creator says:
      tnx
  4. Ibrahim900 Contributor says:
    Directly copy from Facebook. Same post Kal rat a fb tay daklam ????
  5. Rumon Mahmud Contributor says:
    অসংখ্য ধন্যবাদ জানানোর জন্য
    1. Biswas Author Post Creator says:
      আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
  6. Farid21bd Contributor says:
    Facebook থেকে কপি করছেন
    1. The Matrix Contributor says:
      Apnar matha theke copy koreche
  7. Md. Motiur Rahman Contributor says:
    ভাই হিন্দু হয়ে ইসলাম নিয়ে লিখলেন কিভাবে?
    pura copy post. ha.ha.ha…..
    1. Biswas Author Post Creator says:
      ভাই সেটা বড় কথা নয়,আমি শুধু জানানোর জন্য শেয়ার করছি।
    2. The Matrix Contributor says:
      Kno hindu ra islam porte parbe na? Apnar uchit ai hindu vai k akta thanks deya.
  8. Ri Ad Contributor says:
    copy post
  9. Sifat999 Contributor says:
    Nice post.keep it up
  10. YASIR-YCS Author says:
    ফুলকপি
    1. Md Jahin Jawad Contributor says:
      ফুলকপি না,বাঁধাকপি???
    2. Biswas Author Post Creator says:
      হা হা হা
    1. Biswas Author Post Creator says:
      wlc
  11. Md Jahin Jawad Contributor says:
    যারা গতকালকে এই দশকের শেষ সূর্যগ্রহণ দেখেনি তারা দেখুন সরাসরিঃ https://bit.ly/352GQiq
  12. The Matrix Contributor says:
    Great post. Keep it up
  13. asik Contributor says:
    অসংখ্যা অসংখ্যা ধন্যবাদ আপনি হিন্দু হয়ে জানানোর জন্য । এবং এটি একটি মূল্যবান কথা ।
  14. tanvirtheboss Subscriber says:
    গাঞ্জাখুরে কথাবার্তা । প্রথম কথা হল নিয়মিতই উল্কা পাত পৃথিবীতে হচ্ছে । সূর্যগ্রহনে আলাদা ভাবে উল্কাপাত হয় না ।
    ১৪০০ বছর আগে মানুষ সূর্য গ্রহন, চন্দ্র গ্রহণ এগুলোকে প্রচুর ভয় পেত । কারণ তারা এগুলো হওয়ার কারণ জানতো না । এমনকি হ্যালির ধুমকেতু দেখেও তারা ভয় পেত এমন ইতিহাস রয়েছে । এগুলোকে তারা ভয়ঙ্কর কোন বিপদের আলামত হিসেবে ভাবতো ।
    মহানবী (স) ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানে তাদের থেকে আলাদা কিছু ছিলেন না। হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনাতে এটা প্রমানিত যে ভয় পেলেই নবী নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন । এটাও তেমনি।

    আপনার পোস্টে যদি আপনি কুরান হাদিস সিরাত এর কোন টা থেকে ডায়নোসর বা উল্কাপাতে বিভিন্ন ধ্বংসের কথা/কারণ/বর্ণনা/আলোচনা দেখাতে পারতেন, তাহলেই বুঝতাম যে নবী বিজ্ঞানময় ছিলেন । ১৫০০ বছর পরে এসে নিজের মত ব্যাখ্যা করলে তো কাজ হবে না । তার ভয় ভয়ই থাকবে । বিজ্ঞান হবে না ।

Leave a Reply