ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫১ ধারা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামির দেহ তল্লাশি করার পর পরিধেয় বস্ত্রাদি ব্যতীত অন্য সকল মালামাল পুলিশ হেফাজতে নিতে হবে। উক্ত মালামালের একটি কপি আসামিকে দিতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি যদি মহিলা হয়, তাহলে অন্য একজন মহিলা পুলিশ দ্বারা অথবা সাধারণ মহিলা দ্বারা তার শালীনতা, নম্রতা, ভদ্রতা বজায় রেখে তার দেহ তল্লাশি করে মালামাল হেফাজতে নিতে হবে। মালামলের এক কপি তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। আটক আসামির দেহ তল্লাশি করে যদি আপত্তিকর কোনো বস্তু বা অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়, তাহলে উদ্ধারকৃত মালামালের জব্দ তালিকা তৈরি করে যে আদালতে আসামিকে হাজির করা হবে, সেই আদালতে মালামাল প্রেরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে। উক্ত আসামি যদি জামিনযোগ্য হয়, তাহলে জামিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বা জামিন দিবেন। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে থানা হাজতে রাখার পূর্বে যে সকল নিয়ম পালন করতে হবে তা হচ্ছে-
১. গ্রেপ্তারের কারণ উল্লেখপূর্বক জেনারেল ডায়রিভুক্ত করতে হবে।
২. আসামির গায়ে যদি যখমের চিহ্ন থাকে, তাহলে নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে ডেকে এনে দেখাতে হবে এবং জেনারেল ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে। 
৩. আসামি যদি অসুস্থ থাকে তাহলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনবোধে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে। 
৪. আসামিকে যে হাজত খানায় রাখা হবে, সেই হাজত খানার দরজা জানালা ঠিক আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।
৫. আসামি যাতে আত্মহত্যা করতে পারে এমন কোনো বস্তু হাজত খানার ভিতরে রাখা যাবে না।
৬. তাছাড়া আসামি যদি সামরিক বাহিনীর সদস্য হয়, তাহলে উক্ত আসামিকে তার নিজ ইউনিটের প্রধানের নিকট পাঠানোর জন্য সংবাদ দিতে হবে।
৭. আসামি যদি অতিবৃদ্ধ, রোগী, অক্ষম, দুর্বল, শিশু বা মহিলা হয়, তাহলে হাতকড়া লাগানো যাবে না।

One thought on "আইন জানুন আইন মানুন পর্ব ২৭: কোনো আসামিকে গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে রাখার পূর্বে পুলিশ অফিসারের করণীয় কী?"

Leave a Reply