বেশির ভাগ মানুষ এর ই একটি সমস্যার কথা সোনা যায় প্রায় –
সেটি হল – হাতের তালু ঘেমে যায় – যেটি কেও আবার হাত ঘামা রোগ বলে – মেডিকেল সাইন্স এ এই সমস্যার টির নাম ‘হাইপারহাইড্রোসিস’। এবং এই হাত ঘামা বা হাইপারহাইড্রোসিস সমস্যার কারণে ডিফেন্স এর চাকরি থেকে প্রাথমিক মেডিক্যাল এ বাদ পরে যায় বেশির ভাগ প্রার্থী-
হাত ঘামা বা হাইপারহাইড্রোসিস এর কয়েকটি কারণ থাকতে পারে যেমন –
দুশ্চিন্তা, পারিবারিক অশান্তি, অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার,
হরমোন-জনিত সমস্যা অথবা হাতে পায়ে উলেন বা পলি-স্টারের মোজা
অনেক সময় ধরে পরে থাকার কারণেও আপনার হাত বা পা ঘামতে পারে।
সমস্যা যেমন আছে তেমনি কিছু সমাধানও আছে । আমাদের পোস্ট এর মাধ্যমে জেনে নিন সমাধান গুলো
এবং নিজের জীবনে কাজে লাগান ।
[ মেডিক্যাল সাইন্স এ ৬ টি উপাই আছে এর সমাধান এর জন্য – এবং শেষে ফ্রি তে একটি টিপস বলে দেয়া হবে ]
নাম্বার – ১
অ্যান্টি পার- স্পিরেন্টঃ
ফার্মেসি বা কসমে-টিকের দোকানগুলোতে কিছু অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট ক্রিম পাওয়া যায় – যাতে লো ডোজে অ্যালুমিনিয়াম থাকে।
এইসব অ্যান্টি পারস্পিরেন্ট ব্যাবহার করেও এই ধরণের সমস্যা থেকে সাময়িকভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
সুতরাং ব্যাবহার করে দেখতে পারেন ।
নাম্বার – ২
প্রেসক্রিপশন মেডিসিন:
হাইপারহাইড্রোসিস সমস্যা হলে এম বি বি এস (MBBS) – রেজিস্টার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
নাম্বার – ৩
পানিতে বার বার হাত ধুয়ে নিন:
পানির কলের নিচে কিছুক্ষণ ধরে হাত ধুলে ঘাম গ্রন্থি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
এভাবে সাময়িকভাবে কিছুক্ষণের জন্য হাত ঘামানো বন্ধ করা যায়। এই পদ্ধতিতে আয়নটোফোরেসিস বলে।
বর্তমানে এটি মেশিনের সাহায্যেও করা যায় –
নাম্বার – ৪
বো টক্সঃ
এই পদ্ধতি হচ্ছে এই ধরণের টক্সিনকে ক্ষতস্থানে পুষ করার মাধ্যমে ঘাম নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়া হয় ।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে রেজিস্টার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
নাম্বার – ৫
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মাইক্রো নীডলিং:
এই পদ্ধতির মাধ্যমেও চিকিৎসা করা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশেও এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে ।
এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে রেজিস্টার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
নাম্বার – ৬
সার্জারি:
এটা আসলে একটা অন্তিম উপায়। যদি কোন উপায়ই কাজ না করে তখন সার্জারি করা হয়।
এতে যে স্নায়ুর স্টিমুলেশনের কারণে ঘামের সৃষ্টি হয় সেটাই সার্জারি এর মাধ্যমে বাদ দিয়ে দেয়া হয়।
প্রাকৃতিক একটি টিপস দেই আপনাদের – চেষ্টা করে দেখতে পারেন – সেটি হল –
কাপর ধোয়ার সোডা চিমটি পরিমাণ হাতে নিয়ে অল্প পানি দিয়ে খুব ধীরে ধীরে ম্যাসেজ করতে পারেন ১ -২ মিনিট ।
দিয়ে ২ দিন বার করে একটানা ৩-৪ দিন করে দেখতে পারেন ।
পরিশেষ এ –
হাইপারহাইড্রোসিস গুরুতর রোগ নয়, হতে পারে এটা কোনো রোগের লক্ষণ ! তাই এই সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন ।
অন্যান্য পোষ্ট –
সেনাবাহিনীর বেতন কত ? অর্থাৎ কোন পদবীর বেতন কত টাকা ? Bangladesh Army Salary
মেজর (অব.) সিনহা এবং (ওসি) প্রদীপ এর মধ্যে কার ক্ষমতা কতটুকু ছিল ? Major Sinha and OC Pradeep Power
www.Youtube.Com/CareerMessage
সবাই ভালো থাকবেন । আল্লাহ হাফে-য ।
যে কোন অসুস্থাতার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এটাই তো স্বাভাবিক………….আপনি কি এই কথাটাই বললেন…????