আসসালামুআলাইকুম, ও হিন্দু ভাইদের আদাব। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,আপনি কিভাবে খুব সহজে ধূমপান ছাড়বেন। ধূমপান আমাদের স্বাস্থের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর, এটা সবাই জানে।এই ধূমপান করার ফলে ক্যান্সার হৃদরোগ সহ ফুসফুস এর অনেক সমস্যা ও কঠিন রোগ দেখা দেয়। ধূমপান হলো বিষপান।বিষ যেমন খেলে একবারে শেষ করে দেয়,কিন্তু এই ধূমপান তিলে তিলে একটা মানুষকে শেষ করে দেয়। আমাদের সকলের উচিৎ এই ধূমপান থেকে দূরে থাকা। বিশেষ করে এখন ছোট ছেলেরা বেশি করছে এই ধূমপান। অনেকে অনেক চেস্টা করে ও এই ধূমপান ছাড়তে পারতেছেন না। তবে আজকে আপনাদের মাঝে এমন কিছু আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম,আপনারা চেস্টা করবেন আজকের পোস্ট টা ফলো করে নিয়ম মেনে চলতে। আশা করা যায়,আপনি যদি সতর্ক হোন ও কিছু নিয়ম মেনে চলেন,তবে আপনি ধূমপান ছাড়তে পারবেন। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই,ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব সম্ভব হয়। আপনি ও ইচ্ছা করলে এই ভয়ানক ধূমপান ছাড়তে পারবেন। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,আপনি ধূমপান ছাড়ার কিছু উপায়ঃ
১) ইচ্ছা শক্তি সব থেকে বড়। আপনি যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন তাহলে আপনি পারবেন। আপনার যদি প্রবল ইচ্ছা থাকে যে আপনি ধূমপান বাদ দিবেন তাহলে আপনি পারবেন এই ধূমপান বাদ দিতে।
২) আপনি আগে যদি দিনে ১০ টা সিগারেট লাগতো,এখন দিনে ৮ টা ৬ টা এভাবে পর্যায়ক্রমে খাওয়া কমাতে থাকুন। এবং নিজের প্রতি আস্থা রাখুন৷ আপনি পারবেন এবং নিজেকে সব সময় সহনশীলভাবে গড়ে তুলুন।
৩) যারা ধূমপান করে তাদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে দিন৷ কারন আপনি যদি তাদের সাথে মেশেন, তাহলে তারা আপনাকে ধূমপান করতে উৎসাহ করবে,এবং আপনি ছাড়তে পারবেন না। তাই এই কাজ টি করুন
৪) ধূমপান করতে কখন বেশি ইচ্ছা হয়, সে সময় নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন৷ বিভিন্নভাবে নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন। তাহলে আপনার ধীরে ধীরে এই ধূমপান এর ইচ্ছাটা মরে যাবে। এবং আপনি পারবেন।
৫)মানসিক চাপ থাকলে সেটা নিয়ত্রন করুন।কারন অনেকে এই মানসিক চাপের কারনে ধূমপান করে থাকে। তাই ধূমপান করার কারন টা চিহ্নিত করুন।
৬) ভেবে দেখবেন যে আগে সিগারেট খেয়ে কত টাকা খরচ হয়েছে,এবং এখন কত টাকা বাচতেছে। এদিকে লক্ষ্য রাখবে। তখন আপনি নিজেই ধীরে ধীরে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে চাইবেন।
৭) ধূমপান করার ক্ষতিকর দিক গুলো জানুন, ইউটিউব এ সার্চ করে জেনে নিতে পারেন৷ এ ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে আপনি নিজে সতর্ক হোন,এবং নিজের ইচ্ছায় ছেড়ে দিন এই ধূমপান।
৮) আদা খাবেন, চা এর সাথে ও খেতে পারেন৷ কারন আদা ধূমপান এর ইচ্ছাকে নস্ট করে দেয়। তাই যখন ধূমপান এর ইচ্ছা হবে আদা খাবেন।
৯) বার বার চেস্টা করতে হবে। কারন চেস্টা করলেই সফল হওয়া যায়। তাই ধূমপান বাদ দেয়ার জন্য আপনি অনেক চেস্টা করুন। আশা করি সফল হবেন।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যখন থাকি তখন দিনে ১০-১৫+ টা সিগারেট খাই। আর বাসায় থাকলে একটাও খাইনা। ইভেন ১ বছর থাকলেও সিগারেটের কথা মনে হয়না। আমি কি সিগারেট এডিক্ট?
যদি ভদ্রতার খাতিরে খান আর অবসরে না খেয়ে থাকেন এবং সিগারেট খাইতে মন চায়, আপনি তখন Potentially Addicted Smoker, বাংলায় যাকে বলে সীমিত আকারের ধূমপায়ী।
আপনাকে কেউ সিগারেট দিলে আপনি দৃঢ়তা ও ভদ্রতার সাথে না করে দেন আর হাজার ইচ্ছা হলেও, টেনশন হলেও সিগারেট খাওয়া তো দুরেই থাক, মনে চিন্তাও আসবে না, তখন আপনি এডিক্টেড নন।