আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,চোখ ওঠার পর আমাদের করনীয় গুলো কি কি। গরম কিংবা বর্ষার সময় বিশেষ করে আমাদের চোখ উঠে থাকে। চোখ ওঠার আরেকটি নাম আছে, সেটা হলো কনজাংটিভাইটিস। আমাদের কাছে চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। এই রোগটি কিন্তু ছোয়াচে।যার চোখ উঠছে সে যদি অন্যজনের সংস্পর্শে আসে তার ও তাহলে চোখ ওঠে। চোখ উঠলে চোখ লালা হয়ে যায়।এবং চোখে ব্যাথা অনুভূতি হয় ও আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।এছাড়া ও চোখ উঠলে চোখ থেকে পানি পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশে ভুলে যায়।আলোতে গেলে আরো বেশি খারাপ লাগে চোখে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,চোখ ওঠার পর আমাদের করনীয় গুলো কি কিঃ
১) চোখ উঠলে চোখ ঘষাঘষি বা চুলকানো যাবে না। চোখ হাত দিয়ে বেশি স্পর্শ ও করা যাবে না। কারন চোখ ডলাডলি ও ঘষাঘষি করলে সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়া ও অন্যার দেয়া ড্রপ ব্যাবহার করা যাবে না চোখ উঠলে।
২) নিজের ব্যাবহার করা কাপড়, বা আরো বিভিন্ন সামগ্রী অন্য কাউকে ব্যাবহার করতে দেয়া যাবে না। আবার অন্যার জিনিস ও ব্যাবহার করা যাবে না এ সময়। কারন চোখ ওঠা রোগ হলো ছোয়াচে,এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের সবার।
৩) চোখ উঠলে চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে,উপযুক্ত ড্রপ ব্যাবহার করতে পারেন। চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারো পরামর্শ অনুযায়ী কোনো ড্রপ ব্যাবহার করবেন না।এতে ক্ষতি হতে পারে।
৪) যখন চোখ উঠবে, তখন থেকে ই চশমা ব্যাবহার করুন।কারন চশমা ব্যাবহার করলে, চোখে ধুলাবালি,ধোয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। এছাড়া ও চোখ উঠলে চশমা ব্যাবহার করলে, আলোর সস্তি থেকে চোখ রক্ষা পাবেন।
৫) চোখ উঠলে যদি চোখের পানিতে চোখ ভিজে যায়,তাহলে টিসু পেপার দিয়ে সে পানি আস্তে করে মুছে নিতে হবে।তার পর খেয়াল করে সেই টিসু পেপার টি নিরাপদ স্থানে ফেলতে হবে,কারন ব্যাবহৃত টিসু পেপার থেকে এ রোগ ছড়াতে পারে।
৬) ছোখ উঠলে সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করতে হবে। যতটা সম্ভব একটু পর পর ই সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করা উচিৎ।
৭) চোখ উঠলে ঘরের বাহিরে না যাওয়াটাই ভাল। কারন বাহিরে গেলে এর সংক্রামক ছড়াতে পারে।
৮) চোখ উঠলে চোখ বেশি ধোয়া যাবে না, কারন স্পর্শ পেলে সমস্যা হতে পারে। তাই দিনে ২ বার ধোয়া যাবে,এর বেশি পানি দিয়ে ধুলে স্পর্শ পেলে সমস্যা হবে।
৯) এছাড়া ও প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon