পৃথিবী একটি রহস্যময় গ্রহ। মানুষ এখন পর্যন্ত পৃথিবী থেকে বহু দূরে অবস্থিত চাঁদ কে জয় করতে পেরেছে। এমনকি মঙ্গল গ্রহে থাকার মতো চিন্তাভাবনাও করতেছে। কিন্তু পৃথিবীতে থেকেও পৃথিবীর অনেক রহস্য মানুষের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। তেমনি একটি বড় রহস্যময় জায়গার নাম হল অ্যামাজন।

যেখানে লুকিয়ে আছে সোনার শহর (দ্য সিটি অফ গোল্ড)

অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট

দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত এই জঙ্গলকে পৃথিবীর সবথেকে বড় রেইন ফরেস্ট বলা হয়। এখানে রয়েছে ৪০,০০০ প্রকৃতির উদ্ভিদ আড়াই মিলিয়ন প্রজাতির কীটপতঙ্গ প্রায় দেড় হাজার প্রজাতির পাখি আর প্রায় বারো শো প্রজাতির নানান ধরনের প্রাণী । মানুষ অ্যামাজনে প্রবেশ করলেও অ্যামাজনে এমন এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি এখন পর্যন্ত।

অ্যামাজন বন হলো অ্যামাজন নদির অববাহিকায় অবস্থিত পৃথিবীর সবথেকে বড় নিরক্ষীয় বন যা দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরভাগ এ অবস্থিত নয়টি দেশের অন্তর্ভুক্ত। এর আয়তন প্রায় সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। অ্যামাজন বন অত্যন্ত দুর্গম প্রাচীনকাল থেকেই অভিযাত্রীরা অ্যামাজনে যাত্রা করে মূলত স্বর্ণ-রৌপ্য এবং ধন-দৌলতের খোঁজে।

এলডোরাডো

পর্তুগিজ অভিযাত্রীরা বিশ্বাস করতেন বিশাল এই বনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এলডোরাডো নামক এক গুপ্ত শহর যা পুরোপুরি সোনায় মোড়ানো এবং সোনা দিয়ে তৈরি। এই ভ্রান্ত ধারণা এসেছে গ্রিক পৌরাণিক গল্প থেকে যেখানে বলা হয়েছে এলডোরাডো নামক এই গুপ্ত শহরটি পাহারা দেয় একশ্রেণির বিশেষ নারী যোদ্ধারা যাদেরকে গল্পে অ্যামাজন বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাছাড়া নানা রুপকথায় আছে এই এলডোরাডো শহর পাহেরা দিচ্ছে এক ধরনের কালো লোমশ জাগুয়ার।

সোনার শহর (দ্য সিটি অফ গোল্ড)

দ্য সিটি অফ গোল্ড

পর্তুগিজ ফ্রান্স এবং স্প্যানিশ অভিযাত্রীরা অভিযানের নামে এই এলডোরাডো শহর আবিষ্কারের জন্য কিন্তু কেউই এই কাল্পনিক শহরের খোঁজ পায়নি। শহরের সন্ধান না পেলেও স্থায়ী হয়ে যায় সেই নারী যোদ্ধাদের নাম আর সেই নাম অনুসারেই এই জঙ্গলের নাম করা হয় অ্যামাজন।

দ্য সিটি অফ গোল্ড

দ্য সিটি অফ গোল্ড

অ্যামাজন কে রেইনফরেস্ট বলা হলেও এর অর্থ এই না যেখানে সারা বছর বৃষ্টি হয়।  বরং রেইনফরেস্ট বলা হয় এখানকার আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত এবং গরম আবহাওয়ার জন্য। এই জঙ্গলে আছে ১২০ ফিট উঁচু গাছ। এবং নানান প্রজাতির বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সমাহার। এই জঙ্গলের ইকোসিস্টেম এতটাই শক্তিশালী যে তা মিলিয়ন বছর ধরে টিকে আছে। পৃথিবীর শতকরা ২০% অক্সিজেনের সাপ্লাই আসে এই অ্যামাজন জঙ্গল থেকে এই কারণে অ্যামাজন কে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস।

 

আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন

নিত্যনতুন টেক নিউজ পেতে ভিজিট করতে পারেন  bdtechdiary.com  

6 thoughts on "যেখানে লুকিয়ে আছে সোনার তৈরি শহর (দ্য সিটি অফ গোল্ড)"

  1. AJFahad Contributor says:
    Nice post
    1. Farhan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ভাই।
  2. Farhan Author Post Creator says:
    thanks
  3. Farhan Author Post Creator says:
    thank you bro

Leave a Reply