আসসালামু আলাইকুম। 
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালোই আছেন। 
তো প্রতিদিনের মতো আপনাদের সামনে আমি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাঁজির হয়েছি। আমরা আপনাদের কথা মাথায় রেখেই নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে আসি। আজকেও ব্যতিক্রম নয়। আমার এই পোস্ট গুলো পড়লে আপনি কম্পিউটার সম্পর্কে এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পারবেন। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ভাবে জানতে পরবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল পোস্টে চলে যায়।

আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আর্টিফিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence) সম্পর্কে আলোচনা করবো।

আর্টিফিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence)

মানুষের চিন্তা ভাবনার অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

ইনটেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তা শব্দটি হলো কতকগুলো বিশেষ গুণের সমষ্টিগত রূপ। যেমন- কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ধারণা করতে পারা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারা, অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারা, নতুন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত এবং সফলভাবে সাড়া দেওয়া ভাষা বুঝতে পারার ক্ষমতা-এ সবই বুদ্ধিমত্তার অংশ। এ বুদ্ধিমত্তা বা ইনটেলিজেন্স-এর আগে আর্টিফিসিয়াল শব্দটি তখনই বসানো যায় যখন গুণগুলোকে কোনো সিস্টেমের মাঝে সিমুলেট করা সম্ভব হয়। 

চিত্র: আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স
কম্পিউটার তার স্মৃতিকোষে সঞ্চিত তথ্যা বিচার-বিশ্লেষণ করে জটিল সমস্যার সমাধান বের করতে পারে। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-এর জনক হলেন অ্যালান টুরিং (Alan Turing)। তাঁর করা টুরিং টেস্ট’ আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের ভিত্তি স্থাপন করে। ১৯৫০ সালে টুরিং তাঁর এই যুগান্তকারী। পরীক্ষা প্রকাশ করেন। এক কথায় টুরিং টেস্ট’ হচ্ছে এমন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে জানা যায়, কোন যন্ত্রের চিন্তা করার ক্ষমতা আছে কিনা। কোন একটি যন্ত্র টুরির টেস্ট উৎরে গেলে বলা যায়- যন্ত্রটির কৃত্রিম বুদ্ধিমতা আছে। অনন্য প্রতিভাবান অ্যালান টুরিং আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স-এর সাথে সাথে তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সমাদৃত। 
চিত্র: অ্যালান টুরিং
১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের MIT-এর John McCarthy সর্বপ্রথম আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স শব্দটির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ক্রমেই এটি বিস্তার লাভ করেছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। কম্পিউটারভিত্তিক সিস্টেমগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে যোগ্যতাগুলোকে প্রতিলিপিকরণের চেষ্টা করে তা হলো- চিন্তা ও কারণ, সমস্যা সমাধানে কারণগুলোকে ব্যবহার, অভিজ্ঞতা থেকে শেখা বা বোঝা, জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করা, সৃষ্টিশীলতা ও কল্পনাশক্তির প্রদর্শন, জটিল ধাঁধাময় পরিস্থিতিগুলোর সাথে কাজ করা, নতুন পরিস্থিতিগুলোতে দ্রুত ও সাফল্যজনকভাবে সাড়া প্রদান, কোনো পরিস্থিতিতে উপাদানগুলোর সম্পর্কের গুরুত্বকে শনাক্ত করা, অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ তথ্যকে মোকাবিলা করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারকে তিনটি প্রধান এলাকায় গ্রুপভুক্ত করা যায়। এগুলো হলো: বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞান (Cognitive science), রোবোটিক্স (Robotics), ন্যাচারাল ইন্টারফেস (Natural Interface)।
কম্পিউটার কীভাবে মানুষের মত চিন্তা করবে, কীভাবে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছবে, কীভাবে সমস্যা সমাধান করবে, কীভাবে বিচক্ষণতার পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, কীভাবে সফলতার সহিত খেলাধুলা করবে ইত্যাদি বিষয়গুলোর জন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর গবেষণা করা হচ্ছে। রোবট উপলব্ধি সম্পর্কিত, প্রাকৃতিকভাবে ভাষার প্রক্রিয়াকরণ, এক্সপার্ট সিস্টেম বা সুনিপুণ ব্যবস্থা, নিউরাল নেটওয়ার্ক, স্বপ্নময় সত্যি বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। Artificial Intelligence বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রয়োগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের ব্যবহার করা হয়। যেমন- LISP CLISP, PROLOG C/C^ + ) java ইত্যাদি। 
তবে উদ্দেশ্য ও কার্যপ্রণালীর ভিত্তিতে এই ধরনের প্রোগ্রামকে কয়েকটি বিশেষ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
  1.   সূত্রের প্রতিপাদন ও সমস্যা সমাধান (Deduction and problem solving)
  2. জ্ঞানের উপস্থাপন (Knowledge representation)
  3. পরিকল্পনা (Planning)
  4. যন্ত্রের শিক্ষা (Machine learning)
  5. স্পিচ ও প্যাটার্ন সনাক্তকরণ (Speech and pattern recognition) ইত্যাদি। রোবোটিক্স (Robotics)
চিত্রঃ জন ম্যাকাথি

রোবটিক্স (Robotics)

রোবটিক্স হলো রোবট টেকনোলজির একটি শাখা সেখানে রোবটের গঠন, কাজ, বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করা হয়। রোবোটিক্স বা রোবটবিজ্ঞান হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রসমূহ ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞান। রোবটবিজ্ঞান ইলেকট্রনিক্স, প্রকৌশল, বলবিদ্যা, মেকানিক্স এবং সফটওয়্যার বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। রোবোটিক্স-এর সাধারণ বিষয়গুলো হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোবিদ্যা। এই প্রযুক্তিটি কম্পিউটার বুদ্ধিমত্তা সংবলিত এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট মেশিন তৈরি করে যেগুলো আকৃতিগত দিক থেকে অনেকটা মানুষের মতো হয় এবং অনেকটা মানুষের মতোই দৈহিক ক্ষমতাসম্পন্ন থাকে। Robot শব্দটি মূলত এসেছে স্নাতিক শব্দ Robota হতে যার অর্থ হলো শ্রমিক। । জাপানের মুরাতা কোম্পানির “মুরাতা বয়”, Honda কোম্পানীর “অ্যাসিমো”, সনি কর্পোরেশনের “আইবো” রোবট মানুষের মতো কাজ করে। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রাম অনুসারে কাজ করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না। রোবট স্বয়ংক্রিয় ভাবে প্রোগ্রাম অনুসারে সকল কাজ সম্পন্ন করে। ঘরবাড়ি বা আবর্জনা পরিষ্কারসহ বাড়িঘরের কাজ বা বাড়িঘরের কাজ বা মহাশূন্যের কাজে ব্যবহৃত রোবট হলো স্বয়ংক্রিয় রোবট যা অটোনোমাস রোবট নামে পরিচিত। অন্যদিক সে সমস্ত রোবটকে পরিচালনার জন্য মানুষের কিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা প্রয়োজন হয়, সেগুলোকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বা সেমি অটোনোমাস রোবট বলে। শিল্প করখানায় এ ধরণের কিছু রোবট ব্যবহৃত হয়। দূর থেকে লেজার রশ্মি বা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই রোবটগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। রোবট মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে এবং এর কাজের ধরণ দেখে মনে হয় এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। 
এই ক্ষেত্রটিতে তাই রোবটকে যেসব বৈশিষ্ট্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সেগুলো হলো
  •  দর্শনেন্দ্রিয় বা ভিজুয়্যাল পারসেপশন (Visual Perception), 
  • সংস্পর্শ বা স্পর্শনেন্দ্রিয়গ্রাহ্য সক্ষমতা (Tactile Capabilities), 
  • নিয়ন্ত্রণ ও ম্যানিপুলেশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বা নিপুণতা (Dexterity), 
  • যেকোনো স্থানে দৈহিকভাবে নড়াচড়ার ক্ষমতা বা লোকোমোশন (Locomotion)। 

রোবটের অংশসমূহঃ

একটি সাধারণ রোবটে সাধারণত নিচের উপাদানগুলো থাকে—

  •  পাওয়ার সিস্টেম (Power systam): সাধারণত লেড এসিড দিয়ে তৈরি রিচার্জেবল ব্যাটারি দিয়ে রোবটের পাওয়ার দেওয়া হয়। মুভেবল বডি (Movable Body): রোবটের চাকা, যান্ত্রিক সংযোগসম্পন্ন পা কিম্বা স্থানান্তরিত হওয়ার যন্ত্রপাতি যুক্ত থাকে।
  • ইলেকট্রিক সার্কিট (Electric circuit): রোবটকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে। একই সাথে হাইড্রোলিক ও নিউমেট্রিক। ৮ সিস্টেমের রোবটকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে। 
  • মস্তিষ্ক বা কম্পিউটার (Brain or Computer): রোবটের মস্তিষ্ক রোবটকে নিয়ন্ত্রণ করে। আচরণ পরিবর্তন করতে হলে মস্তিষ্কে প্রোগ্রাম পরিবর্তন করতে হয়।
  • অ্যাকচুয়েটর (Actuator): একটি রোবটের হাত পা ইত্যাদি নড়াচড়া করার জন্য কতকগুলো বৈদ্যুতিক মোটরের ব্যবস্থা থাকে। একে একটি রোবটের হাত ও পায়ের পেশি বলে অভিহিত করা যায়।
  • অনুভূতি (Sensing): মানুষের অনুভূতি একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, তেমনি রোবটের অনুভূতি একটি বিশেষ উপাদান। রোবটের হাত বা পায়ের কোনো একটি জায়গায় স্পর্শ করলে সেই জায়গা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। চোখের ন্যায় ক্যামেরা দিয়ে সামনের বা পেছনের দৃশ্য নেওয়া হয় এবং 360° কোণ পর্যন্ত ঘুরাতে পারে।
  • ম্যানিপিউলেশন বা পরিবর্তন করা (Manipulation): একটি রোবটের আশপাশের বস্তুগুলোর অবস্থান পরিবর্তন বা বস্তুটি পরিবর্তন করার পদ্ধতিকে বলা হয় Manipulation। এখানে রোবটের হাতটি এই পরিবর্তনের যাবতীয় কাজ করে থাকে। প্রতিটি রোবটের হাতে কতগুলো আঙুল থাকবে যা নড়াচড়া করে কোনো বস্তু ধরতে পারবে।

রোবট এর ব্যবহার (Application of Robot):

  1. বিভিন্ন শিল্পকারখানায় যেসব জিনিসপত্র মানুষের পক্ষে ওঠানামা ও স্থাপনের জন্য কঠিন সেসব ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে যানবাহন বা গাড়ির কারখানায় রোবট ব্যবহৃত হয়।
  2. কারখানার জিনিসপত্র সংযোজন, প্যাকিং এবং জিনিসপত্র পরিবর্তনের জন্য রোবট ব্যবহার ফলপ্রসূ।
  3. যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধযানে ড্রাইভারের বিকল্প হিসেবে রোবটকে ব্যবহার করা যায়। এই সমস্ত রোবট দূর নিয়ন্ত্রিত (Remote Controlled) হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। যেসব ক্ষেত্রে অতি সূক্ষ্ম কাজ করা দরকার হয় যেমন ইলেকট্রনিক্স-এর আইসিগুলো (IC) বানানোর জন্য এবং
  4. PCB (Printed Circuit Board) বানানোর জন্য রোবট ব্যবহৃত হয়। 
  5.  চিকিৎসা ক্ষেত্রে সার্জারির কাজে রোবট সফলভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে।
  6. বিরক্তিকর ও একঘেয়ে কাজের ক্ষেত্রে।
  7. বিপজ্জনক কাজের ক্ষেত্রে ও নিরাপত্তার কাজে।
  8. দুর্গম স্থানে কাজের ক্ষেত্রে।
  9. বিনোদন, গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে।
  10. পুঙ্খানুপুষ্প রূপে মাইক্রোসার্কিটের পরীক্ষা করতে। 
  11.  সামরিক কাজে যেমন- বোমা নিস্ক্রিয় করা, ভূমি মাইন সনাক্তকরণ, মিলিটারি অপারেশনে ব্যবহৃত হয়।
  12. ঘরোয়া কাজে রুটিন মাফিক ঘরের কাজকর্ম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, চা-কফি তৈরি, কথা বলার কাজে রিসিপসনিস্ট হিসেবে।
  13. মহাকাশ গবেষনায় মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহৃত হয় যেমন— নাসার কিউরিসিটি রোবট উল্লেখযোগ্য।

রোবট ব্যবহারের সুবিধাসমূহ—

১. রোবট দ্বারা তৈরি পাণ্যের গুনগতমান খুব ভাল এবং সূক্ষতাও বেশি।

২. রোবটের কাজ করার গতি বেশি এবং আউটপুট বেশি পাওয়া যায়।

৩. বিপজ্জনক পরিবেশে রোবটের সাহায্যে কাজ করা নিরাপদ।

৪. এটি নিরবিচ্ছন্নভাবে দীর্ঘক্ষণ করে কাজ করতে পারে।

রোবট ব্যবহারের অসুবিধাসমূহ

  1. মানুষের মতো পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। অর্থাৎ রোবট নতুন বা জটিল পরিস্থিতিতে নিজে নেজে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে না। ফলে একটি রোবট দিয়ে ইচ্ছামতো বিভিন্ন কাজ করা যায় না।
  2. প্রোগ্রাম তৈরি করা কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ তাছাড়া রোবোটিক্স যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ লোক প্রয়োজন। রোবটকে সচল রাখতে অধিক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ফলে এটি ব্যয়বহুল।
  3. রোবটটের মধ্যে কোনো সৃষ্টিশীলতা নেই এবং ভূল থেকে কোন শিক্ষা গ্রহন করতে পারে না।

তো আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। আশা করছি এই পোস্টের খুব শীঘ্রই তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্ব নিয়ে আসবো।

উপরের আমার এই পোস্টটি লিখতে অনেক নথির এবং ওয়েসাইটের সাহায্য নিতে হয়েছে। যাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করলেই নয়। 

সহায়ক,

মোঃ কামরুল হাসান।

1. HSC ict book

2. Wikipedia.com

3. hpe.com

4. history-computer.com

5. civilian 

তো আজ এই পর্যন্তই। আপনাদের জন্যই আমরা নিয়মিত নিত্যনতুন পোস্ট নিয়ে হাঁজির হই।

তাই উক্ত পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক দিতে ভুলবেন না। এবং যেকোনো মন্তব্য বা পরামর্শের জন্য কমেন্ট করতে পারেন। পরবর্তীতে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।

ধন্যবাদ

Leave a Reply