বিজ্ঞানের একটি অঙ্গ হলো মনোবিজ্ঞান! আর এই মনোবিজ্ঞানীরা মানুষের মন ও মানসিকতা নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছে।
এই পর্বের প্রথম পার্ট মিস করে থাকলে এই লিংকে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন।
তো trickbd এর আজকের এই পর্বে এমন পাঁচটি সাইকোলজি ফ্যাক্ট সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো।
অভ্যাস।
আপনি কি জানেন একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে কতদিন সময় লাগে? প্রথমে মনে করা হতো যে কোন অভ্যাস গড়ে তুলতে বা অভ্যাস ত্যাগ করতে মাত্র ২১ দিন সময় লাগে।
কিন্তু সাইকোলজি রিসার্চ করে দেখা গেছে যে নতুন কোন অভ্যাস গড়ে তুলতে মোটামুটি ৬৬ দিন সময় লেগে যায়, যদি কোন মানুষ অভ্যাস গড়ে তুলতে গিয়ে মনে করে মাত্র ২১ দিনের মধ্যে তিনি অভ্যাস গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
আর তখন সেই ব্যক্তি যদি ২১ দিন পর সেই অভ্যাস গড়ে তুলতে না পারে তখন সে হতাশ হয়ে পড়ে! তবে ফ্রেন্ডস আপনারাও যদি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে চান তাহলে গবেষণামতে ৬৬ দিন সময়কে তিন ভাগে ভাগ করে ফেলুন।
তাহলে আপনি লক্ষ্য করবেন প্রথম ২২ দিন আপনার খুবই কষ্ট হবে! পরের বাইশ দিন একটু একটু অভ্যাস গড়ে উঠতে থাকবে। এবং শেষের ২২ দিন সম্পূর্ণ অভ্যাসটি আপনার বডি ও ব্রেনের সাথে কানেক্ট হয়ে যাবে। আর আপনি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে একদমই সফল হয়ে যাবেন।
মীরার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ
আপনি যদি কারো সাথে কথা বলার সময় তার মতো করে তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজকে কপি করতে থাকেন তাহলে সে নিজের অজান্তেই আপনার উপর ভরসা এবং বিশ্বাস করতে থাকবে।
সে যেমন কথা বলছে বা সে যে শব্দগুলো বেশি ব্যবহার করছে সেগুলি আপনিও ব্যবহার করতে থাকেন! তাহলে দেখবেন সে আপনাকে আরো বেশি পছন্দ করতে শুরু করবে। সেই সাথে আপনার সাথে কথা বলতেও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।
মাল্টি টাস্কিং
আপনার কি মনে হয় আপনি একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারেন? নিউরো সাইন্স এর মতে আপনার ব্রেন একটি সময় শুধুমাত্র একটি বিষয়কে ফোকাস করতে পারে।
অনেক সময় যখন আপনি একসঙ্গে অনেক কাজ করতে থাকেন! তখন আপনার মনে হতে পারে যে আপনি একসাথে অনেক কাজ করছেন, কিন্তু সত্যিকার অর্থে আপনার ব্রেন খুব দ্রুত ওই কাজগুলোতে আপনার ফোকাস্ট শিফট করতে থাকে।
আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন, ফোনে কথা বলতে বলতে হোয়াটসঅ্যাপ এ মেসেজ লিখতে পারবেন না, হয়তো আপনার কথা বলা থামাতে হবে, না হলে লেখা থামাতে হবে।
এই দুইটা কাজের জন্য আমাদের মস্তিষ্ক এল ফোকাসের দরকার হয়, তবে খেতে বলে রাখি কিছু গতানুগতিক কথা যেগুলো আপনি প্রতিনিয়ত বলেন সেগুলোর ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র কার্যকরী।
যেমন- গুড নাইট, গুড মর্নিং, হ্যাঁ ,ঠিক আছে,ওকে, ইত্যাদি।
কিন্তু কোন বিষয়ে যখন আপনার মতামত দেয়ার প্রয়োজন পড়ে তখন আপনার মস্তিষ্কের কথাগুলো প্রসিডিউট করতে সময় লাগে আর এজন্যই দুইটি কাজ একসাথে হয় না।
এক্স চয়েজ।
আপনি যদি চান যে আপনার সামনে থাকা কোন ব্যক্তি কোন সিদ্ধান্ত নিক আর সেটি আপনার সাপেক্ষে থাকুক! তাহলে সব সময় তাকে অপশন দিন যে অপশন গুলো সাপেক্ষে।
ধরুন কেউ তার বাচ্চাকে পড়তে বলছে-তখন তাকে যাও পড়ো এটা বলার পরিবর্তে বলুন যে পড়তে বসার সময় হয়ে গিয়েছে, আর কোনটা আগে পড়তে চাও অংক নাকি ইংরেজি? তখন সেই বাচ্চাটি এই দুইটার মধ্যে যে কোন একটি বেছে নিবে সে মনে করবে সে নিজে সিদ্ধান্ত নিল, কারণ মানুষ নিজের সিদ্ধান্ত নিতে বেশি পছন্দ করেন।
এই টেকনিক আপনি যে কোন কারও সাথে প্রয়োগ করতে পারবেন, আপনি হয়তো দেখেছেন রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ওইটার আমাদের বিভিন্ন ধরনের খাবার সাজেস্ট করতে থাকে। আর এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ট্রিকসগুলো ইউজ করতে থাকে আমাদের সাথে।
আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার পছন্দমত অর্ডার করছেন! আসলে ওয়েটার সব সময় চাই যেগুলো তাদের রেডি আছে বা রেডি করতে খুব কম সময় লাগবে সেই খাবারগুলো আপনাকে সাজেস্ট করতে।
যাতে আপনি তার পছন্দের মধ্যেই যেকোনো একটি খাবার অর্ডার করে দেন!
পাওয়ার অফ সানলাইট
বন্ধুরা আপনার হয়তোবা লক্ষ্য করেছেন যে সারা সারাদিন ঘরে থাকার পর যখন আপনি বাইরে বের হন সাথে সাথে আপনার মন ভালো হয়ে যায়।
আর এটি হয়ে থাকে সূর্যের আলোর কারণে! সূর্যের আলো শুধু যে আপনার হাড়ের ত্বক এর জন্য ভালো তা নয়, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে সূর্যের আলোতে অনেক ক্ষেত্রেই ডিপ্রেশন কমাতে সক্ষম হয়।
সূর্যের আলো থেকে আসা ভিটামিন ডি আমাদের মানসিক অবস্থা পরিবর্তনের সাহায্য করে, আর এটা দেখা গেছে যে যেসব দেশে সূর্যের আলো কম পৌঁছায় সেখানকার মানুষেরা ডিপ্রেশনে বেশি ভোগে।
আপনার দিনে মাত্র ১০ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে যা আপনার পুরো জীবনটাকেই পরিবর্তন করে দিতে পারে! আর সকালের মিঠে রোদ হলে তো কোন কথাই নেই।
আরো পড়ুন।
এই জ্যাকেটগুলো শীতকালে আপনাকে স্টাইলিশ ও হ্যান্ডসাম বানাবে
LG Velvet 5G Review in Bangla – ৭,৯৯০ টাকায় ইতিহাসের সেরা স্মার্টফোন !
তো ভিউয়ার্স এই ছিল আজকের সাইকোলজি ফ্যাক্ট! এর মধ্যে কোন ট্রিক্স গুলি আপনি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করছেন সেগুলি কমেন্ট সেকশনে আমাকে জানাতে পারেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। ❤️
আমার মনে হচ্ছে আপনি বেশিবার পোস্ট করেন। ইউটিউবের বিডিও কে লেখাতে কনভার্ট করে।