প্রথোমেই হোস্ট নিয়ে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তা নিয়ে কিথা বলি :
- nulled ব্যবহার ৷
- সাপোর্ট টিম কে একটিভ না পাওয়া ৷
- আপটাইম/SLA গ্যারান্টি না পাওয়া ৷
- ফুল পারমিশন্স এ কন্ট্রোল প্যানেল না পাওয়া ৷
- মানিব্যাক গ্যারান্টি না পাওয়া ৷
-
automatic website backup এবং restore এর সুযোগ না দেয়া ৷
আপনি যেই সাইট থেকে হোস্ট নিবেন সেটা কী nulled ব্যবহার করে আপনাকে দিবে নাকী সেটা কীভাবে বুঝবেন ?
উত্তর : প্রথমে cPan এ লগিন করতে হবে ৷ যেগুলো nulled হয় না ,সহজ কথায় বলতে গেলে আপনার ইচ্ছে মতো cPanal এ সব ভার্ষন এর php ব্যবহার করার সুবিধা থাকে ৷ কিন্তু Nulled হোস্টিং এ মাত্র কিছু ভার্সন এ php ব্যবহার করতে দিবে ৷
১৷ মানিব্যাক গ্যারান্টি
যেহেতু cPanal দেখা ছাড়া বোঝার উপায় নেই হস্টিং টি নুলেড কি-না ৷ তাই সর্বপ্রথম যেই হোস্ট প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে জেনে নিতে হবে মানি ব্যাক গ্যারান্টি দিচ্ছে কী না ৷ অনেক প্রতিষ্ঠান সাধারনত ১ দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত মানিব্যাগ গ্যারান্টি দিয়ে থাকে ৷ তাদের কাছ থেকেই কেবল হোস্ট কেনা উত্তম ৷ সি-পেনেলে ঢুকে চেক করে দেখুন php এর সকল ভার্সন গুলো আছে কী না ৷
২। স্পেস ও বেন্ডউইথ দেখে নিন:
যার কাছ থেকে হোস্টিং নিচ্ছেন তার তাছ থেকে ভাল ভাবে আপনার সার্ভারের স্পেস ও ব্যান্ডউইথ বুঝে নিন। সি-পেনেলে ঢুকে চেক করে দেখুন আসলেই কি আপনাকে আপনার কথামতন স্পেস ও ব্যান্ডউইথ দিয়েছে কিনা।
১। কম দামের হোস্টিং এড়িয়ে চলুন:
যত গুড় তত মিষ্টি ৷ হ্যা অাপনি যতো বেশি ইনভেস্ট করবেন, সফল হওয়ার সম্ভবনা ততো বেশি ৷ অনেকেই কম দাম খুজতে যায়ে nulled হোস্টিং কিনে ৷ কিছূদিন চলার পর দেখা যায় সাইট পুরাই ডাউন হয়ে যায় ৷ এমনকি আপনার পুরো পরিশ্রমটুকুই জলে ভেষে যায় nulled হস্টিং ব্যবহার করার জন্য ৷
কিছুটাকা বাঁচানোর জন্য এমন মানের হোস্টিং নেওয়া উচিত হবে না যেটা আপনাকে সারা বছর ভুগাবে। ফেসবুকের কল্যানে এখন অনেকেরই স্ট্যাটাস পাওয়া যায় ১০ জিবি হোস্টিং মাত্র ৫০০ টাকায়! বড় বাটপাড়ি হলো হোস্টিং এর সাথে ডোমেইন ফ্রি ৷
দয়া করে এদের এড়িয়ে যাবেন। এগুলো দিয়ে আপনার বিসনেস সামনে এগোবে না বরং পিছনে যাবে ৷
৩। কাস্টমার সাপোর্ট:
হোস্টিং কেনার আগে সাপোর্টে ফোন, মেইল বা লাইভে চ্যেট করে দেখুন তারা লাইভ সাপোর্ট কেমন দেয়। আমি তো মাঝে মাঝে মিস কল দিয়েও চেক করি , তারা কাস্টমার দের প্রতি কতোটা সেন্সিটিভ ৷
আপনার সার্ভার যদি কখনো ডাউন হয় আর যদি তা জানাতে এবং উত্তর পেতে কয়েক দিন লেগে যায় তাহলে লক্ষ ভিজিটর হারাতে পারেন। সাথে যদি হয় ইকোমার্স সাইট তাহলে তো বাংলায় যাকে বলে ‘বেপসায় লালবাত্তি ‘ আরকি ৷
আর যদি আপনি রিসেলার ক্লাইন্ট হোন তবে তো মহা বিপদে পড়বেন। আপনার ক্লাইন্টকে কোন উত্তর দেয়ার মতো কিছু থাকবে না। তাই তাদের সাথে আপনার যোগাযোগের বেপারটা দেখ নিন।
৫। বাধ্যবাধকতা :
হোস্টিং প্লানগুলোর মধ্যে অনেক সময় কোন লিমিটেশন থাকে ৷ কনো ক্ষত্রে সেটা ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে না।
তাই প্লানগুলোর তুলনা করে আপনার চাহিদার সাথে বেপারগুলো মিলে কিনা তা দেখে নিন। আপনি লিনাক্স নাকী উইনডোজ
হোস্টিং বানাতে চান তা সর্বদা মাথায় রাখুন। এ জন্য প্রয়োজন হবে প্লান। তাই এটাও জেনে নেয়া উত্তম যে কি কি লিমিটেশন থাকবে আপনার সার্ভারে ।
৬। ই-মেইল ফিচার ও ডোমেইন ফিচার :
আপনি কতটা ই-মেইল সেটআপ করতে পারবেন এবং কতটা ডোমেইন/সাব-ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন তা অবশ্যই জেনে নিবেন। আপনার আজ হয়তো একটি ওয়েব সাইট দরকার হলো কাল আরেকটা লাগতেই পারে তাই যে সব প্ল্যান একটি মাত্র ডোমেইন হোস্ট করতে দেয় সেই প্ল্যান না কেনাই ভাল।
৭। কন্ট্রোল প্যানেল :
আপনি যদি এফটিপি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে অভ্যস্ত না হোন তবে সি প্যানেল বা ইউজার ইন্টারফেস কি দিবে তা জেনে নিন। অন্যদিকে রিসেলার হোস্টিং করতে চাইলে একাধির ইউজার বানানো এবং তাদের জন্য রিসোর্স (স্পেস,ব্যান্ডউইথ) বরাদ্দের বেপারটি জেনে নিন।
৮। আপগ্রেড :
একটা সময় আপনার বর্তমান প্লানটাকে একটু বাড়িয়ে নিতে হতে পারে, সেই সময় যদি সয়ংক্রিয়ভাবে তারা আপনার হোস্টিং আপগ্রেড করে দিতে পারে সেটা আপনার জন্য অনেক সুবিধাজনক হবে। সাধারনত ভাল মানের সকল সারভার কোম্পানী এরকম পদ্ধতি রেখে থাকে।
নোট:
শুধুমাত্র বাংলাদেশেই প্রায় ৫ হাজার এর উপরে হোস্ট কম্পানি রয়েছে ৷ আমার বিশ্বাস প্রতিটা কম্পানিই অনেক সুন্দর সার্ভিস দিয়ে থাকে ৷ তবে কিছু কম্পানি কম আর কিছু কম্পানি একটু বেশি এটুকুই পার্থক্য ৷
আমার বেশকয়েকটা সাইট এর জন্য আমি হোস্ট দারাজ থেকে নিয়েছি GPL KEEPEr শোপ থেকে
GPL KEEPEr এর whastap number 01644425507 ৷ GPL KEEPEr ফেসবুক আইডি আপনি চাইলেই GPL KEEPEr থেকেও নিতে পারেন ৷ বেশ ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে এই হোস্ট প্রতিষ্ঠানটি ৷
ধন্যবাদ ৷ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন ৷
4 thoughts on "ওয়েবসাইট বানানোর জন্য হোস্ট কেনার আগে সাবধান ৷যেসব ভুলগুলোর জন্য হারিয়ে যেতে পারে ওয়েবসাইটি ৷"