সুপার কম্পিউটার (Super Computer):
বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা ইত্যাদি কাজে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এটি সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল ও দ্রুত গতি সম্পন্ন কম্পিউটার। টার্মিনাল ব্যবহার করে কয়েকশত লোক একত্রে এই কম্পিউটার থেকে ডাটা সংগ্রহ করতে পারে। সুক্ষ বৈনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা, নভোযান, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ মহাকাশ গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যাবহার করা হয়। মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে এ ধরণের কম্পিউটার আছে।
জাপান ও আমেরিকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সুপার কম্পিউটার তৈরী করে। এদের মধ্যে জাপানের Nippon Electric Company) এবং আমেরিকার Data Control Corporation এর নাম উল্লেখযোগ্য।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer):
সুপার কম্পিউটার এর তুলনায় ছোট হলেও এতে তথ্য ধারণ ক্ষমতা প্ৰচুর। এটাও একটি বৃহৎ কম্পিউটার, এটাতেও টার্মিনাল ব্যবহার করে একত্রে অনেক ব্যবহারকারী বিভিন্ন কার্যাদী সম্পন্ন করতে পারে। উচ্চ স্তরের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ, বৃহৎ শিল্প,বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদিতে মেইনফ্রেম
কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো, আনবিক শক্তি কমিশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।
মিনি কম্পিউটার (Mini Computer):
এই কম্পিউটার এর আবির্ভাব ষাটের দশকে। মেইনফ্রেম কম্পিউটার এর তুলনায় কিছুটা ছোট হলেও এর কার্যক্ষমতা ব্যাপক। টার্মিনাল ব্যবহার করে অনেক ব্যবহারকারী একত্রে এই কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে। শিল্প বানিজ্যে এই কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বৃহৎ শিল্প এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এই কম্পিউটার ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পে মিনি কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer):
আমরা যে ধরনের কম্পিউটার সচরাচর দেখি, ব্যবহার করি, অফিস আদালতে ব্যবহৃত হয় সে গুলিই মাইক্রো কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি দামে সস্তা ও আকারে ছোট। বর্তমানে এটি পিসি (Personal Computer) নামেও পরিচিত। এই
জাতীয় কম্পিউটার সহজে বহনযোগ্য,তুলনামলক কম দাম ও রক্ষনাবেক্ষণ সহজ হওয়ায় ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।
ল্যাপটপ কম্পিউটার (Laptop Computer):
এটি মাইক্রো কম্পিউটারের চেয়েও ছোট। সাধারণত এটি L.C.D মনিটর সংযুক্ত। এটি কোলের উপর রেখে যে কোন স্থানে ব্যবহার করা যায়। এটি কম বিদ্যুৎ খরচ করে এবং ব্যাটারীর সাহায্যেও চালানো যায়। সব ধরনের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার ছাড়াও অডিও, ভিডিও এবং ডাটা প্রসেসিং কাজে ব্যবহার করা হয় ।
নোটবুক কম্পিউটার (Note Book Computer):
এটি Laptop থেকে ছোট L.C.D মনিটর যুক্ত, কম বিদ্যুৎ খরচ করে ব্যাটারী দ্বারাও পরিচালিত হয়। এটি সাধারনত ব্যক্তিগত ডায়েরী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
PDA (Personal Digital Assistant):
এটি নোটবুক থেকেও আকৃতিতে ছোট। L.C.D মনিটর যুক্ত, কম বিদ্যুৎ খরচ কর। ব্যাটারী দ্বারাও পরিচালিত হয়। এই কম্পিউটার ব্যক্তিগত ডায়েরী হিসেবে এবং হিসাব নিকাশের কাজে ব্যবহার করা হয়।
আরো নতুন কিছু পেতে –
TuneRound.Com
Tahole….?_
??