মাঝে মাঝে আমাদের কম্পিউটার খুব বেশি স্লো হয়ে যায়, আমরা ভাইরাসের থেকে আমাদের পিসি প্রটেক্ট করতে এন্টি ভাইরাস ইউজ করি, কিন্তু আপনি জানেন কি আপনার এন্টি ভাইরাস কতটুকু আপনাকে প্রটেকশন দিচ্ছে?
তাই যখন ই আমাদের পিসি স্লো হয়ে যায়, আমরা নতুন করে OS দেই, এটার কোন প্রয়োজন নেই, কম্পিউটার ও ল্যাপ্টপের উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়া ছাড়া ভাইরাস, ওয়ার্ম, এডওয়ার, স্পাইওয়ার ও ট্রজান আক্রান্ত উইন্ডোজের সমস্যা দূর করুন করতে পারবেন। এজন্য মাত্র তিনটি সফটওয়্যার আপনাকে ইউজ করতে হবে।
১। এন্টি ভাইরাস
২। এন্টি ম্যালওয়ার
৩। ইউএসবি সিকিউরিটি
কেন জন্য এই সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন
১) কোন কারন ছারাই আমার পিসির র্যাম ও প্রসেসর খুব বেশি পরিমানে ব্যবহার হচ্ছে, পিসি মারাত্তক ভাবে স্লো হয়ে গেছে ও প্রসেসরের ফ্যান খুব জোরে ঘুরছে, কোন ফাইল বা উইন্ডোজ ওপেন হতে যথেষ্ট সময় নিচ্ছে, মোট কথা সিস্টেম পুরাপুরি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গেছে, নতুন এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করলেও কোন ভাইরাস পায় না আর পেলেও তা ডিলেট করতে বা মারতে পারছে না হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। আবার এই এন্টিভাইরাস আপনার প্রোগ্রাম ফাইল সব ডিলেট করে দিচ্ছে ভাইরাস বলে। কিন্তু এই মূহূর্তে সেটাপ দেওয়া আপনার জন্য ইম্পসিবল। কারন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
২) আপনার কম্পিউটার শর্টকাট ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত , কোন মতেই তা রিমুভ করতে পারছেন না
৩) মজিলা বা গুগল ক্রোমে কোন ওয়েবসাইট বারুজ করতে গেলেই কোন কারন ছাড়া অনেকগুলো বিজ্ঞাপন ট্যাব ওপেন হয়ে যাচ্ছে যা খুবই বিরক্তিকর
উপরের সমস্যা গুলোর জন্য আপনি উইন্ডোজ সেটাপ দিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর দেখলেন আবার একই সমস্যা !!! আসলে উইন্ডোজ সেটাপ দিলে শুধু সিস্টেম ড্রাইভ অর্থাৎ যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে সেটি ফরম্যাট হয়। অন্য ড্রাইভগুলো অপরিবর্তিত থাকে। ফলে সিস্টেম ড্রাইভে যদি ভাইরাস থাকে, তা ডিলিট হয়ে যায়, কিন্তু অন্য ড্রাইভের ভাইরাস গুলো আগের মতই পিসিতে সংসার বেঁধে বসে থাকে। তার উপর এসব ভাইরাস যদি হয় এতই মারাত্বক যে, তার জন্য এন্টিভাইরাসই ইন্সটল করা যায় না, তাহলে পিসির এসব ভাইরাস পিসিতেই থাকবে।
প্রথমে আপনাদের জানার জন্য কিছু ব্যাসিকঃ
ভাইরাসের লক্ষণ –
১. কম্পিউটার বুট হতে বেশি সময় নেয়া।
২. কোন প্রোগ্রাম লোড হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নেয়া।
৩. exe ফাইল করাপ্টেড হওয়া।
৪. কম্পিউটার অন করতেই বা চলতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিত error মেসেজ দেখানো।
৫. ফোল্ডার অথবা ফাইলের নামের অনুরুপ অহেতুক একটি exe বা এক্সিকিউটিভ ফাইল তৈরি করা।
৬. ফোল্ডার অপশন ডিজেবল কিংবা হাইড হয়ে যাওয়া।
৭. কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া।
৮. কোন ফাইল ফোল্ডার হাইড বা সুপার হাইড হয়ে যাওয়া যা প্রোপার্টিজ থেকে আন হাইড করা যায় না।
৯. টাস্ক ম্যানেজার কাজ না করা।
যে ভাবে ভাইরাস ছড়ায় –
১. পেন-ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, সিডি/ডিভিডি, হার্ডডিস্ক ইত্যাদির মাধ্যমে ডেটা বা কোন তথ্যের আদান প্রদান করলে।
২. পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে।
৩. ইন্টারনেট, ই-মেইল বা এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের সংযোগের কারণে।
৪. ভাইরাস আক্রান্ত ফাইলে দুই ক্লিক করলে বা চালানোর চেষ্টা করলে।
ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কিছু সাবধানতা –
১. কোন ফাইল অন্য কম্পিউটার হতে কপি করে আনা হলে বা ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড করা হলে সেটা এন্টি-ভাইরাসের মাধ্যমে স্ক্যান করা উচিত।
২. যে কোন ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত নয় …
বিশ্বাস্ত বা নামকরা সাইট ছাড়া অন্য কোন সাইট থেকে নামানো উচিত নয়
৩. অটোরান বন্ধ রাখা উচিত।
৪. স্বয়ংক্রিয় ব্যাচ (Autoexec.bat) ফাইলে ভাইরাস প্রতিরোধক প্রোগ্রাম সংযোজন করতে হবে। এতে কম্পিউটার প্রতিবার অন হওয়ার পর এবং বাইরের কোন ড্রাইভ প্লাগ করার সাথে সাথে ভাইরাস চেক করবে।
৫. যখন পেন-ড্রাইভ দিয়ে কোন ডাটা আদান প্রদান করার প্রয়োজন হয় তখন তা জিপ (zip) করে পেন-ড্রাইভে ভরতে হবে (সফটওয়্যার হলে অবশ্যই জিপ করতে হবে)। কারণ জিপ করা ফাইলে ভাইরাস ঢুকতে পারে না।
এখন চলুন আগে এন্টি ভাইরাস টি নিয়ে নেই।
7 thoughts on "(Antivirus)আপনার পিসি কে রাখুন সুরক্ষিত ডাউনলোড করে নিন আমার দেখা সবচেয়ে সেরা -Anti Maleware- ভাইরাসের আক্রমণ থেকে পিসি কে রক্ষা করুন"