বর্তমানে কম্পিউটার আমাদের দৈনিক জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে। কম্পিউটার শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে টাইপিং। আপনি যত বেশি দ্রুত টাইপিং করতে পারবেন আপনি তত তাড়াতাড়ি কম্পিউটারের যে কোন কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো কিভাবে দ্রুত সময়ে কম্পিউটারে টাইপিং শেখা যায়। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি…
১. সঠিক পজিশনে বসা: কম্পিউটারের দ্রুত টাইপিং করার জন্য সঠিক পজিশনে বসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কম্পিউটারের সামনে সঠিকভাবে না বসেন তাহলে দ্রুত টাইপিং করতে পারবেন না। তাই কম্পিউটারের সামনে বসার জন্য চেয়ার কেনার সময় অবশ্যই আপনি কমফোর্টেবল বোধ করেন এমন চেয়ার কেনার চেষ্টা করবেন। এছাড়া যে টেবিলের মধ্যে কম্পিউটার থাকবে সেই টেবিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চেয়ার কেনার চেষ্টা করবেন।
২. সকল আঙ্গুল ব্যবহার: কম্পিউটারের টাইপিং করার সময় হাতের ১০ টি আঙ্গুল ব্যবহার করবেন, এতে করে আপনি দ্রুত টাইপিং করতে পারবেন। আমরা অনেকেই হাতের দুই থেকে চারটা আঙ্গুল ব্যবহার করে টাইপিং করি। যার ফলে টাইপিং অনেক ধীরে হয়। হাতের ১০ টি আঙ্গুল কিভাবে ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে আপনি বিভিন্ন টিপস পাবেন সেগুলো দেখতে পারেন।
৩. কিবোর্ড শর্টকাট শেখা: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অনেক দিন ধরে কম্পিউটার চালায় কিন্তু কিবোর্ডের বিভিন্ন শর্টকাট (যেমন: CTRL + Backspace ইত্যাদি) সম্পর্কে জানেনা। দ্রুত টাইপিং শেখার ক্ষেত্রে কিবোর্ড শর্টকাট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি কিবোর্ড শর্টকাট জানা থাকে তাহলে আপনি অনেক কাজ খুব কম সময়ে করতে পারবেন। তাই এগুলো শিখে রাখবেন।
৪. সঠিক কিবোর্ড এর ব্যবহার: কিবোর্ড কেনার সময় অবশ্যই ভালো মানের কিবোর্ড কিনবেন। কারণ খারাপ কিবোর্ড গুলোর মধ্যে অনেক ধরনের সমস্যা থাকে। এছাড়া খারাপ কিবোর্ড এর মাধ্যমে আপনি দ্রুত টাইপিং করতে পারবেন না। কারণ খারাপ কিবোর্ড এর মাধ্যমে টাইপিং করতে গেলে আপনার আঙ্গুল ব্যাথা হয়ে যাবে। তাই বাজার থেকে ভালো মানের কিবোর্ড কেনার চেষ্টা করবেন।
৫. টাচ টাইপিং করা: কিবোর্ড এর থেকে না থাকলে সরাসরি কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে টাইপিং করাকে টাচ টাইপিং বলে। প্রথমে প্রথমে আপনি কি-বোর্ডের দিকে তাকিয়ে টাইপিং করুন। তারপরে আপনার হাত চালু করার চেষ্টা করুন, পরে গিয়ে কিবোর্ড এর দিকে না তাকিয়ে সরাসরি কম্পিউটারে স্ক্রিনে তাকিয়ে টাইপিং করুন। এতে করে আপনার টাইপিং স্পিড অনেক বৃদ্ধি পাবে।
৬. টুলস এর ব্যবহার: এমন অনেক ওয়েবসাইট (যেমন: 10fastfingers) রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি টাইপিং করে জানতে পারবেন আপনার টাইপিং স্পিড কেমন। এই ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে টাইপিং শিখতে পারেন।
৭. শব্দ করে টাইপ করা: আমরা শব্দ করে পড়লে সেই পড়া অনেকদিন মনে থাকে। তাই শব্দ করে টাইপিং করার চেষ্টা করবেন। এই টেকনিকটাও খুব ভালো কাজে লাগে।
৮. ফেসবুকের মাধ্যমে অনুশীলন করা: বর্তমানে টাইপিং শেখার জন্য ফেসবুক একটি অন্যতম মাধ্যম। আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে না দেখে টাইপিং করতে থাকেন তাহলে আপনার টাইপিং স্পিড অনেক দ্রুত হবে। এই টেকনিকটা অনেক বেশি কাজে লাগে। তাই এটা আপনি চেষ্টা করতে পারেন।
সর্বশেষ, টাইপিং শেখার ক্ষেত্রে অনুশীলন হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্রতিদিন অনুশীলন করতে থাকুন। আপনি যদি দ্রুত টাইপিং শেখার পরে আবার টাইপিং করা বন্ধ করে দেন তাহলে আপনার টাইপিং স্পিড আবার ধীর হয়ে যাবে। তাই টাইপিং করা সব সময় অনুশীলন করবেন।
বন্ধুরা আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাজে আসবে। কোন প্রয়োজনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে আমার ফেসবুক প্রোফাইল নিচে দেওয়া আছে এবং আমার ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখতে পারেন। সেখানে আমি টেকনোলজির রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
5 thoughts on "দ্রুত টাইপিং শেখার কৌশল গুলো জেনে নিন"