আস্সালামু আলাইকুম,
তো সুরতে বলি সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলে ভালো আছেন, আপনাদের দোওয়াতে আমি ও অনেক ভালো আছি।
অনেক দিন হয় নানা ধরনের ব্যাস্ততায় আপনাদেরকে কোনো রকম উপকারি টিপ্স দিতে পারি না।
আমার অভিঙ্গতা থেকে আজ আপনাদের হোষ্টিং সম্পর্কে জানাবো।
আপনাদের আজ এই পোষ্ট দেওয়ার একমাত্র কারণ হলো আপনার অনেকেই ওয়েব হোষ্টিং কোথায় থেকে কিনবেন ও কিভাবে ব্যবহার করবেন জানেন না।
যারা বড় বড় কম্পানি থেকে মাষ্টার কার্ড অথবা পেপাল দিয়ে হোষ্টিং কিনতে পারেন না এবং জানেন না তাদের জন্য আমার আজকের পোষ্ট।
আমাদের বড় সমস্যা হলো আমরা বাংলাদেশে থেকে কোনো কিছুই পেপাল ছাড়া কিনতে পারি না। তাই আমার বেক্তিগত মতামত থেকে আমি যেটা বুঝতে পারি আপনারা যারা ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন তারা হোষ্টিং কোথায় থেকে নিবেন সেটা নিয়ে হিমসিম খেয়ে যাই।
তো চলুন হোষ্টিং সম্পর্কে আগে বিস্তারিত জেনে নিই
১. বাজেট-
প্রত্যেকেরই একটা আনুমানিক বাজেট থাকে যার মধ্যে সে হোস্টিং কিনবে। একই সাথে ভাল মানের এবং কম টাকার মধ্যে কিনতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাজার ঘুরে দেখতে হবে। আপনার বাজেট নির্ধারণ অবশ্যই বাস্তব সম্মত হতে হবে।একটা কথা মনে রাখতে হবে যেমন টাকা পে করবেন তেমন সার্ভিস পাবেন। আপনি যেমন ডিমের দামে মুরগী পাবেন না তেমনি হোস্টিং এর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রাইস ১৫০-৫০০ ডলার প্রতি মাসে এখন আপনি যদি ৫০ জিবি স্পেস ২ ডলার মাসে চান তাহলে আপনাকে ডাউনটাইম, সাইট স্লো লোডিং এসব বিষয় সহ্য করতে হবে। তাই কেনার আগে এ বিষয়টি ভেবে দেখুন। সস্তার তিন অবস্থা এই কথাটি মাথায় রাখুন।
2. ওয়েব হোষ্টিং কি?
ওয়েব হোস্টিং এমন একটি পরিষেবা যা একটি ব্যক্তি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে একটি পরিষেবা প্রয়োজন। ওয়েব হোস্টিং একটি জমি মত। আপনি যদি এমন একটি বাড়ি নির্মাণ করেন তবে আপনার জমি কিনুন। একইভাবে, আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি হোস্ট কিনতে গুরুত্বপূর্ণ। একটি হোস্টিং ছাড়া আপনি ওয়েব সাইট ব্যবহার করতে পারবেন না। ওয়েবসাইট হোস্ট বা সার্ভার নামক একটি বিশেষ কম্পিউটার দ্বারা সংরক্ষিত হয়। যখন কোনও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে চায়, আপনার ওয়েবসাইটের হোস্ট এবং ডোমেন অবশ্যই সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকা আবশ্যক।
বেশিরভাগ হোস্টিং কোম্পানিগুলির সাথে হোস্ট করার জন্য আপনার ডোমেনের মালিকানা দরকার। যদি আপনার কোন ডোমেন না থাকে তবে হোস্টিং কোম্পানিগুলি আপনাকে কিনতে সহায়তা করবে।
৩.ডিস্ক স্পেস-
আপনাকে স্পেস এর কথা চিন্তা করতে হবে। আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কতটুকু স্পেস লাগবে তা হিসাব করে নিন। আপনি যদি ব্যক্তিগত ওয়েব সাইট করতে চান যাতে শুধু কয়েকটা পেজ থাকবে তাহলে ৫০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর যদি চিন্তা ব্যক্তিগত ব্লগ টাইপের ওয়েব সাইট হবে তাহলে ২০০-৫০০ এমবি স্পেসই যথেষ্ট। আর আপনি যদি চিন্তা করেন ছবি, গান, ভিডিও রাখবেনতবে আপনাকে বড় ওয়েব স্পেসের দিকে নজর দিতে হবে। অনেকেই দেখা যায় ১০০ এমবি হোস্টিং যথেষ্ট সাইট হোস্ট করার জন্য কিন্তু কিনে ফেলেন ১-৫০ জিবি। বছর বছর টাকা দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু ব্যবহার করতেছেন ১০০ এমবি। তাই অযথা স্পেসের জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে সবচেয়ে ছোট প্লান থেকে শুরু করুন। আপনার যদি স্পেস বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরবর্তী প্লানে আপগ্রেড করে নিবেন। এবং প্রায় সব কোম্পানিই আপগ্রেড সুবিধা দিয়ে থাকে।
৪.ব্যান্ডওয়াইড কি?
প্রতিবার পাঠক / দর্শক যতগুলো পেজ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, ততগুলো পেজ, ছবি, গান, ভিডিও অর্থাৎ ওইসব পেজে যা কিছু আছে সবগুলোই পাঠকের কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়। প্রাথমিক অবস্থায় একটা সাইটের ১ জিবি ব্যান্ডউইথ ও যথেষ্ট। পারসোনাল সাইটের জন্য এর চেয়ে বেশি লাগার কথা না। আর আপনার সাইটে যদি প্রচুর ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদি থাকে তাহলে প্রচুর ব্যান্ডউইথ লাগতে পারে। ১০-১০০ জিবি অথবা তারচেয়ে ও বেশি।
ইমেল অ্যাকাউন্ট:
আগে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিকাংশ হোস্টিং প্রদানকারীর তাদের নিজস্ব ডোমেন নাম থাকতে হবে। একটি ডোমেন নাম দ্বারা সরবরাহিত ইমেল অ্যাকাউন্টের বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে (যেমন: www.mywebsite.com) এবং আপনার হোস্টিং কোম্পানি, আপনি একটি ডোমেন ইমেল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন (উদাহরণ: [email protected])।
FTP অ্যাক্সেস:
FTP ব্যবহার করে আপনি আপনার স্থানীয় কম্পিউটার থেকে ফাইলগুলি আপনার ওয়েব সার্ভারে আপলোড করতে পারবেন। আপনি নিজের এইচটিএমএল ফাইল ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তবে আপনি আপনার কম্পিউটারকে আপনার কম্পিউটার থেকে আপনার ওয়েব সার্ভারে স্থানান্তর করতে পারেন, যা আপনাকে আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেয়।
আরো আনেক কিছু জানার রয়েছে যেমন: আপটাইম/SLA গ্যারান্টি, মানিব্যাক গ্যারান্টি, সাপোর্ট, হোস্টিং ফিচার, লিমিটেশন জেনে নেওয়া, কন্ট্রোল প্যানেল।ৎ
——এসব বিষয় খেয়াল রেখে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনলে আশাকরি ভাল মানের হোস্টিং কিনতে পারবেন।—-
আরো রয়েছে যেমন অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এতটুকু লেখা।
ওয়ার্ডপ্রেস সাপোর্ট:
ওয়ার্ডপ্রেস একটি অনলাইন ওয়েবসাইট বিল্ডিং টুল। এটি একটি শক্তিশালী ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট সামগ্রী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম যা ওয়েবসাইটগুলি তৈরি ও পরিচালনা করার একটি সুবিধাজনক উপায়। WordPress ওয়ার্ডপ্রেস ওয়ার্ডপ্রেস ক্ষমতা 25%। তাদের পরিকল্পনা শব্দ-সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে বেশিরভাগ হোস্টিং প্রদানকারীরা সরাসরি আপনাকে বলতে হবে। আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট হোস্টিং জন্য সহজ প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত: পিএইচপি সংস্করণ 7 বা উচ্চতর; MySQL সংস্করণ 5.6 বা তার চেয়ে বেশি।
বাংলাদেরশের অনেক জনপ্রিয় হোষ্টিং ওয়েবসাইট রয়েছে। আমি প্রায় সব গুলোতে তুলনা করে দেখেছি এবং ব্যবহার করে দেখছি। তাদের সব কিছুই ভালো লেগেছে। কিন্তু তারা সব সময় সাইটে ভিজিটর আসার জন্য ব্যান্ডওয়াইড কম দিয়ে থাকে যে কারনে বাংলাদেশি হোষ্টিং সাইট ব্যবাহার করা বাদ দিয়েই দিয়েছি।
আমি গত ৮ মাস ধরে Hoststall.com কম্পানির রিসেলার ব্যবহার করে খুবই ভালো ফলাফল পাচ্ছি। এই ওয়েবসাইটি মূলত ফ্রান্স এর কম্পানি। কিন্তু তারা বিকাশ প্রেমেন্ট সাপোর্ট করে। যে কারনে তাদের ওয়েবসাইটা হয়তো বাংলাদেশে জন প্রিয় হয়ে যাচ্ছে। তাদের লাইভ চ্যাট আছে। যে কোনো সময় তাদের সাথে কথা বলেতে পারবেন। যেহেতু আমি ব্যবহার করছি আপনারা কিছু না বুঝলে আমাকেও জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
এর আগেও আমি যে সকল ওয়েবসাইটের সার্ভিস ব্যবহার করেছি। তা হলোঃ webhostbd.com, eicra.com ও xeonbd.com
ট্রেনার পদ বাতিল করা হয়েছে। যে support এর কাছে email করেছিল, support থাকে শেষ বাবের মত তার ট্রেনার পদ ফিরিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু ৩ দিন হল এখন দিয়নাই।
id link: trickbd.com/author/uzzalmahamud64
username: Uzzalmahamud64
User ID: 84874
Technobd.com
http://www.dianahost.com
hostbangla.com
বাংলাদেশ এর সব চেয়ে বড় হোস্টিং কোম্পানী,,,
আর আপনার তিনবছর এর সাইটে মাত্র ১০০/৩০০ ভিজিটর।
অনেকদিন আগে দুই জনে একটা নোটিফিকেশন প্লাগিন নিয়া পোস্ট করছিলো কিন্তু সেই লিংক এখন আর কাজ করে না, তাই ডাউনলোড ও করতে পারতেছিনা।