ভাইয়া আমি কামরুজ্জামান সোহাগ (ছোট ইউটুবার) আজকে আপনাকে ইউটুব নিয়ে কিছু কাজ দেখাবো
ইউটুবে বড় ভাইয়াদের হাজার হাজার ডলার ইনকামের ফেসবুক পোষ্ট দেখলে প্রায় সবার ই মাথা নষ্ট হয়ে যায়।। একজন ব্যাক্তি মাসে যদি ১০০০ ডলার ইনকাম করে সেটাত অনেক। বাংলা প্রায় ৮৫ হাজার টাকা।। আমি মিথ্যা বলছি না, বাংলাদেশে অনেক ইউটুবার আছে যারা এক মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করে শুধু ইউটুব থেকে। চাইলে আমি আপনাকে প্রমান দেখাতে পারবো।
এসব দেখে শুনে আমাদের অনেকেরি ইচ্ছা হয় ইউটুবে কজ করার। ইচ্চজাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোন ভাবে আমরা একটা চ্যানেল খুলে ফেলি। কিন্তু চ্যানেল খুলা মানেই ত ১ হাজার $ ইনকাম না। ১০০০ হাজার ডলার ইনকাম করতে হলে আপনাকে কাজ করতে হবে। আপনার মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে ইউটুবে আবার কি কাজ?
আছে ভাই। অনেক কাজ আছে। এটা টাকা। এই টাকা কেউ আপনাকে এমনিতে দিবে না।
যাই হোক কাজের কথায় আসি।
ইউটুবের কাজটা হচ্ছে আপনাকে যতেষ্ট পরিমানে ভিডিও আপলোড করতে হবে। অবস্যই এমন ভিডিও যেটা আগে থেকে ইউটুবে নেই এবং টেলিভিশনে কখনো দেখানো হয় নাই।
মোটকথা আপনার নিজের বানানো ভিডিও হতে হবে। কোন কপিরাইট ভিডিও না।(কোন ওয়েবসাইড বা ইউটুব থেকে ডাওনলোড করে দিলে হবে না)
আপনি হয়ত ভাবছেন আপনিত কোন ডাইরেক্টর না। আপনার কাছে শবনুর, শাকিব খানের মোবাইল নাম্বার ও নাই, ডি এস এল র কেমেরাই কিনে দেয় নি আপনার বাবা, আপনি বেকার ছেলে আপনার হাতেত তেমন টাকা পয়সাও নেই তাহলে আপ কিভাবে ভিডিও বানাবেন?
ভাইয়া আপনাকে বলছি নিজের বুদ্ধি এবং ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগান কেমেরা, নায়ক নায়িকা কিচ্ছু লাগবে। ভালো মানের ভিডিও হয়ে যাবে। বিষয়টা আমি আপনাকে ক্লেয়ার করে দিচ্ছি। প্রয়োজনে পোষ্ট পর্বাকারে কয়েকটা করবো তবুও আপনাকে বুজিয়ে তারপর ইস্তফা নিবো।
প্রধানত ইউটুবের ভিডিও আপনি দুই ভাবে বানাতে পারেন।
১/ মোবাইল অথবা কেমেরার লেন্স দিয়ে
২/ স্ক্রিন রেকর্ডার এর সাহায্যে।
এই পোষ্টে আমি বুজাবো যে কেমেরার সাহায্যে কিভাবে কম খরছে ভালো ভিডিও বানানো যায়।
কেমেরা দিয়ে ভিডিও বানাতে চাইলে আপনার যে কোন একটা কেমেরা থাকতে হবে। ডি এস এল আর হলে ভালো। যদি না থাকে তাহলে মোটামোটি একটা এন্ড্রোয়েড মোবাইল হলেও চলবে।বর্তমান বাজারে Oppo মোবাইলের কেমেরা অনেক ভালো। ১০ হাজার টাকার মাঝেই আপনার চাহিদা পুরন হয়ে যাবে। ধরে নিলাম আপনার মোবাইল আছে এখন আপনি কিসের ভিডিও করবেন? আপনাকে যে শুধু মোশারফ করিমের নাটক আর শাকিব খানের হিরো নাম্বার ওয়ান ই বানাইতে হবে বিশয় টা এরকম না। আপনি যে কোন কিছুর ভিডিও করতে পারেন।
যেমন আমি একটু ধারনা দেই আপনাকে।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি খুব ভালো গান গাইতে পারেন। মোবাইলের কেমেরাটা চালো করেন যদি বেক কেমেরা দিয়ে রেকরড করতে চান তাহলে কোন ফ্রেন্ড অথবা ছোত ভাইকে বলে ভিডিও রেকরডিং টা চালো করে আপনাকে ফোকাছ করতে আপনি সামনে গিয়ে নিজের মত করে গান গেয়ে আপলোড করেন। আর না হয় ফ্রন্ট কেমেরা দিয়ে নিজেই নিজের গান ভিডিও রেকরড করেন। অবিস্যাস্য হলেও সত্য যে ইউটুবে অনেক চ্যানেল রয়েছে যারা খালি গলায় গান গেয়ে ইউটুবে আপলোড করে অনেক কামিয়েছে এখনো কামাচ্ছে। এটারো প্রমান আমি আপনাকে দিতে পারলো। কারোর কাছে বিস্যাস না হলে কমেন্টস করবেন আমি প্রমান দেখাবওও আপনাকে।
গানের বিষয় গেলো এইবার আমি মনে করবো আপনি একজন মেয়ে। আমাদের ট্রিক বিডিওতে কি সুধু ভাইয়ারাই থাকনে নাকি? অনেক আপুরাও আছেন ট্রিক বিডিওর ভক্ত। তা আপু আপনি নাচের স্কুলে পড়েছিলেন ছোটবেলায়। কিছুটা এখনো মনে আছে। আপনি ইউটুবে নাচের ভিডিওই আপলোড করবেন। যে কোন একটা গানের তালে তালে নাচতে থাকুন।।সেটা রেকরড করে ইউটুববে আপলোড করে বুজে নিন আপনার টাকা।
যারা গাইতেও পারেন না নাচতেও পারেন না তারা নিশ্চই আমাকে গালি দিতে চাচ্ছেন। না ভাই গাইলাইয়েন না আপনার কথাও মনে আছে আমার। আপনাকে যে শুধু গান আর নাচের ভিডিওই আপলোড করতে হবে এমন কোন কথা নয়। আপনি যেই কাজটা ভালো পারেন সেটাই ভিডিও করেন। বিকাল বেলা পারকে ঘুরতে বেত হয়েছেন? ভালো একটা সিন পেলেন মোবাইলত পকেটে আছেই বন্ধি করুন সেই সিনটাকে মোবাইলের মধ্যে। বসায় এসে আপলোড মারেন ইউটুবে। মাসে একটা দুইটা ভিডিও আপলোড করেন। হয়ত ইনকাম টা একটু কম হবে কিন্তু হবে ত। মোট কথ আপনি যেই বিষয়টা ভালো পারেন সেই বিষয়েই ভিডিও বানান। রান্না বান্না করেন, কাপড় চুপর ধুলাই করেন, নাচেন, পারটি করেন। যা পারেন তাই করেন।
কেমেরায় করা ভিডিওর সাহায্যে কিভাবে কাজ করতে হয় সেটা মুটামুটি ক্লেয়ার কিন্তু যারা এসব কিছুই পারেন না তারা নিশ্চই কমেন্টে একটা গালি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। ভাই ভাই মাফ চাই আগেই না। আর একটা দিন সময় দেন। আজকে ত শুধু কেমেরার ভিডিওর কথা বললাম। আমার পরের পোষ্ট টা দেখেন সেটাতে আমি দেখাবো কেমেরা ছাড়া কিভাবে ভিডিও বানাতে হয়। জাস্ট স্ক্রিন রেকর্ডার এর সাহায্যে ঘরে বসেই।
Next Part দিয়েন