আপনি কি আপনার ওয়েবসাইটে ইনকাম করার জন্য গুগল এডসেন্স ব্যবহার করছেন কিন্তু সিপিসি রেট খুব কম। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের গুগল অ্যাডসেন্সে সিপিসি বাড়াতে চান তবে আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্যই তৈরি করা হয়েছে মূলত।
আজকে আমি দশটি কার্যকারী টিপস শেয়ার করবো যেগুলো আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করলে আপনার গুগল অ্যাডসেন্সে সিপিসি রেট বেড়ে যাবে। এখন আমরা প্রথমে জেনে নিব আসলে সিপিসি কী?

সিপিসি কী?


আমি যদি সহজ কথায় আপনাকে বোঝায় তাহলে সিপিসি হলো গুগল এডসেন্স এর প্রতি ক্লিক এর বিনিময়ে দেওয়া অর্থ। গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আপনি যে অ্যাডগুলো আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত করাবেন সেগুলোতে যদি ক্লিক হয় সেই ক্লিকের বিনিময় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনাকে প্রদান করা হবে। গুগল কোম্পানি থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়ে তার কিছু শতাংশ নিজেরা রেখে দেয় এবং আপনাকে প্রতিটা ক্লিকের বিনিময়ে কিছু শতাংশ দিয়ে থাকে। আশা করছি সিপিসি বিষয়টা আপনার কাছে এখন একদম পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন আমরা আসল বিষয় চলে যাব। এখন আমরা জানবো গুগল এডসেন্সের সিপিসি বাড়ানোর দশটি কার্যকরী টিপস সম্পর্কে। চলুন শুরু করা যাক।

কিভাবে গুগল এডসেন্স এর সিপিসি বাড়াবেন ? হ্যাঁ এই প্রশ্নের উত্তর আজকে পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে দেয়া হবে।

১. সঠিক নিশ নির্বাচন করা


প্রথমে আপনাকে ব্লগিং শুরু করার পূর্বে এমন একটা টপিক বা বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করতে হবে যেটায় গুগল সবচেয়ে বেশি সিপিসি দেয়। আপনি ব্যাংকিং ,গ্যাজেট ,ক্রিপ্টোকারেন্সি ও স্বাস্থ্য নিয়ে লেখালেখি শুরু করতে পারেন। এসব টপিকে বিজ্ঞাপন দাতারা সিপিসি সবচেয়ে বেশি দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে উল্লেখিত কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন কারন গুগল এসব কিওয়ার্ড এ বেশি সিপিসি দিয়ে থাকে।

২. আপনার কনটেন্ট বেশি সিপিসি কীওয়ার্ডস দিয়ে অপটিমাইজ করা


একটা আর্টিকেল লেখার পূর্বে সেই আর্টিকেলটিতে ভালোভাবে উচ্চ সিপিসি যুক্ত কীওয়ার্ডস নিয়ে ভালোভাবে অপটিমাইজ করে নিতে হবে। আপনি এমন কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন যেগুলোতে এমনিতেই সিপিসি বেশি থাকে। এতে করে একটা সময় পর আপনার সিপিসি এমনিতেই বাড়তে থাকবে।

৩. লম্বা কীওয়ার্ডস ব্যবহার করা


আমরা সবাই অবগত আছি যে লম্বা কীওয়ার্ডস নিয়ে কাজ করে যে কোন ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানো অত্যন্ত সহজ। অন্যদিকে ছোট কীওয়ার্ডস নিয়ে কাজ করলে সেই ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানো প্রথমাবস্থায় অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো রেংক করাতে না পারেন তাহলে গুগল থেকে ভিজিটর পাবেন না এবং আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে কোন ক্লিক পাবেন। যত বেশি ব্লগে ট্রাফিক আনতে পারবেন তত বেশি ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।

৪. কোন দেশকে টার্গেট করা


গুগল অ্যাডসেন্সের সিপিসি কীওয়ার্ডস এর পাশাপাশি দেশের উপর নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য এসব দেশ থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর পান তবে তাদেরকে দিক থেকে অনেক বেশি সিপিসি পাবেন এমনিতেই। সুতরাং নির্দিষ্ট কোন হাই সিপিসি দেশকে টার্গেট করে কাজ করতে পারেন। তবে অনেক বেশি সিপিসি পাবেন ।

৫. প্ল্যাটফর্ম


সাধারণত মোবাইল ট্যাবলেট ও পিসি দিয়ে মানুষ ওয়েবসাইট বিচার করে থাকে। অনেক সময় ডিভাইজের কারণে সিপিসির তারতম্য দেখা যায়। আমি এটা লক্ষ্য করে দেখছি যে, মোবাইলের চেয়ে অনেক সময় ডেক্সটপ এ ক্লিক করলে বেশি সিপিসি দিয়ে থাকে। এজন্য আপনার ওয়েবসাইটটি ডিভাইস ফ্রেন্ডলি হতে হবে যাতে করে যে কোন ডিভাইস দিয়ে আপনার ওয়েব সাইটটি ভিজিট করা যাবে।

৬. অ্যাড রিভিউ সেন্টার ব্যবহার করা


অ্যাড রিভিউ সেন্টারে গুগোল সাধারণত দেখা যায় কোন ধরনের বিজ্ঞাপন গুলো আপনার ওয়েবসাইটের দেখানো হবে। এখান থেকে আপনি বিজ্ঞাপনগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে প্রাসঙ্গিক নয় এমন বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করে দিতে পারবেন। এই কাজটি করলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রাসঙ্গিক এডগুলো দেখানো হবে যার ফলে অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইটের সিপিসি বৃদ্ধি পাবে।

৭. এড প্লেসমেন্ট এবং সাইজ


অ্যাড প্লেসমেন্ট এবং সাইজের উপর অনেক সময় গুগল এডসেন্সের সিপিসি নির্ভর করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের এড আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার ওয়েবসাইটে সিপিসি বৃদ্ধি পায়। এড গুলো সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় বসাতে পারলে এবং সঠিক সাইজ নির্ধারণ করে নিতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের সিপিসি বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুনঃ তানিয়া নামের মেয়েরা কেমন হয়

৮. প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখানো


আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনগুলো দেখানোর বিষয়টা নিশ্চিত করবেন। আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড এড গুলো আপনার ওয়েবসাইটের সেটাপ করলে দেখতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে গুগোল অ্যাডসেন্সে সিপিসি বেড়ে যাবে। এছাড়া আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে করে এ গুগল বুঝতে পারে আপনার ওয়েবসাইট কি বিষয়ে পোস্ট করছে। এজন্য আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে আপনি দেখতে পারেন কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগের আর্টিকেল লিখতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইট ইতিপূর্বে আমরা আলোচনা করেছি।

৯. ভাষা ব্যবহার করা


গুগল অ্যাডসেন্সে সিপিসি ভাষার উপর কিছুটা প্রভাব ফেলে। যেমন ইংরেজি ভাষাতে বেশি পরিমাণ সিপিসি দিয়ে থাকে কিন্তু বাংলা ভাষায় ও হিন্দি ভাষায় সিপিসি কম দিয়ে থাকে। এজন্য আপনি চাইলে ইংরেজি ভাষাতে বেশি সিপিসি যুক্ত আর্টিকেল লিখতে পারেন এতে করে আপনার সিপিসি এমনিতে বেড়ে যায় ।

১০. এক্সপেরিমেন্ট করা


আপনার ব্লগে বিভিন্ন ধরনের সাইজের অ্যাড বিভিন্ন জায়গায় বসে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন কোন ধরনের বিজ্ঞাপনগুলোতে গুগল সবচেয়ে বেশি সিপিসি দেয়। এছাড়া আপনি একটা বিষয় নিশ্চিত করে নিবেন যে আপনি যে টেমপ্লেট ব্যবহার করছেন সেটা যেন রেস্পন্সিভ ও ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। আপনার ওয়েবসাইটের টেমপ্লেটটি রেস্পন্সিভ ফলে অটোমেটিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটের সিপিসি বেড়ে যাবে। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটটি সব ধরনের ডিভাইস দিয়ে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হয়।

সারকথা

তো এই ছিল গুগল অ্যাডসেন্সের সিপিসি বাড়ানোর দশটি টিপস। আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে। উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারেন। গুগল এডসেন্সের সিপিসি বাড়ানোর উপায়। যা আমি উপরে এতক্ষণ আলোচনা করলাম। সুতরাং আপনি যদি নিশ্চিত ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের যে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করেন তার সিপিসি বাড়াতে চান তবে অবশ্যই উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন  : রবি সিম মিনিট চেক ২০২২

2 thoughts on "গুগল এডসেন্সের সিপিসি বাড়ানোর উপায়"

  1. Md Forhad Islam Author says:
    ভাই,,, কি আর বলবো বাংলাদেশ যে এতো কিপটে

    0.20$ এর উপরে সিপিসি দেই না amr 3/4 টা সাইটে দেখছি

    0.01 / 0.02 এই রকম সিপিসি দেই,, বাংলা ব্লগ করে মাসে পেমেন্ট পাওয়া মুসকিল যদি সাইটে ভিসিটর কম থাকে আর,,,, USA এর সিপিসি হচ্ছে 60$/70$ আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড ৭০$ সিপিসি পাই,,,টারগেট USA

Leave a Reply