## ফেসবুকে আপনার বন্ধু হয়ে আছে, অথচ আবার
তার কাছ থেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
পাচ্ছেন? ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে
সম্প্রতি এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট বা
বন্ধুত্বের অনুরোধ আসার হার বেড়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ফ্রেন্ড
রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
কোনো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার
আগে তা যাচাই-বাছাই করুন। কারণ,
ফেসবুকে ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ নামে নতুন
একটি স্ক্যাম ছড়াচ্ছে।
সাইবার দুর্বৃত্তরা পরিচিতজন কিংবা
বন্ধুত্বের ছদ্মবেশে ব্যক্তিগত নানা তথ্য
চুরি করে নিচ্ছে।
এই দুর্বৃত্তরা ফেসবুক ব্যবহারকারীকে
প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে পরিচিতজনের
প্রোফাইল কপি বা নকল করছে এবং বন্ধু
হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। প্রথম দর্শনে এই
উপায় থাকে না। কারণ, এসব অ্যাকাউন্ট
দেখে মনে হয় আপনার পরিচিত ওই বন্ধু
কোনো কারণে তার পুরোনো প্রোফাইল
মুছে দিয়ে নতুন করে প্রোফাইল খুলে
আপনাকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ করেছে। বন্ধু
হিসেবে গ্রহণ করলে তারা চ্যাট কিংবা
সাক্ষাৎ করার কথা বলে অর্থ বাগিয়ে
নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই স্ক্যামটি একবারে
নতুন নয়। তবে বিভিন্নভাবে ঘুরে–ফিরে
আবার প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা শুরু
করেছে দুর্বৃত্তরা।
গবেষকেরা বলছেন, ফেসবুকের যে
আইডিগুলোতে ব্যবহারকারী তার নাম,
পরিচয়, লিঙ্গ, ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য,
কর্মক্ষেত্র, পড়াশোনার স্থানসহ কোনো
কোনো ব্যক্তিগত বিষয়ে ভুয়া বা মিথ্যা
তথ্য দিয়ে থাকে, সেগুলোকে ফেক আইডি
বলা হয়। ভুয়া আইডির বিড়ম্বনা থেকে
স্বস্তি পেতে বন্ধুত্বের অনুরোধগুলো ভালো
করে যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত।
অচেনা-অজানা কাউকে বন্ধু বানাবেন না।
কারণ, ফেসবুকে ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের
মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি করা হতে
পারে। এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে
চ্যাট করার সময় অদ্ভুত আচরণ, বানানের ধরন
ও প্রোফাইলটি নতুন কি না, তা পরীক্ষা
করে দেখুন। যে বন্ধুর কাছ থেকে অনুরোধ
এসেছে, তার কাছ থেকে অন্য কোনো
মাধ্যমে তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট কি না,
তা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন। তথ্যসূত্র:
ফক্স নিউজ।
6 thoughts on "আজব ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাচ্ছেন?"