হযরত আয়েশা রা. বলেন: আমি রসুলুল্লাহ স.-এর নিকটে নামাযে এদিক-ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন: এটা এক ধরনের ছিনতাই; যার মাধ্যমে শয়তান বান্দার নামায থেকে অংশবিশেষ ছিনিয়ে নেয়। (বুখারীঃ ৭১৫) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ শরীফেও বর্ণিত হয়েছে।

নামায, দৃষ্টি অবনত,সালাহ,ইসলাম

হযরত আনাস বিন মালেক রা. বলেন: আমাকে রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেছেন: হে প্রিয় বৎস! নামাযে এদিক-ওদিক দেখা থেকে বেঁচে থাকে। কেননা নামাযে এদিক-ওদিক দেখা ধ্বংসের কারণ। যদি (বিশেষ কোন প্রয়োজনে) এমন করতেই হয়, তবে তা নফলের ক্ষেত্রে করবে; ফরযের ক্ষেত্রে নয়। ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন: এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। (তিরমিযী: ৫৮৯)।

চেষ্টা করেও কিবলার দিক ভুল হলে নামায হয়ে যাবে।

মহিলাদের জন্য ঘরে একাকী নামায পড়াই উত্তম।

হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি এটা পছন্দ করতেন যে, মুসল্লীর দৃষ্টি যেন সিজদার স্থান অতিক্রম না করে। (ইবনে আবী শাইবার: ৬৫৬৩)।

হযরত ইবনে সীরীন রহ. থেকেও অনুরূপ বর্ণনা হয়েছে। (ইবনে আবী শাইবা: ৬৫৬৪)

সারসংক্ষেপ: উপরোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাযে এদিক-ওদিক তাকানো যাবে না বরং নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় মুসল্লীর দৃষ্টি তার সিজনার স্থানে থাকবে।

আমাদের সাইট: TechBlogBD

 

8 thoughts on "নামাযের মধ্যে দৃষ্টি অবনত রাখা"

  1. Sakib Contributor says:
    Excellent post vai
  2. A M Contributor says:
    sundor 🙂
  3. Ultimate Arzu Contributor says:
    excilent vai. amn aro post chai.
  4. Jahid360 Contributor says:
    nice post bro
  5. kamal khan Contributor says:
    ধন্যবাদ ভাই।

Leave a Reply