যা করতে নিষেধ করেছেন মহানবি (সঃ) [Part 2]

মহানবি (সঃ) নিষেধ করেছেন এমন কিছু কাজ নিয়ে লেখা আজকের আর্টিকেলে সবাইকে স্বাগতম । আজকে দ্বিতীয় পর্ব । প্রথম পর্বে এরুপ ৬টি কাজ নিয়ে লেখা ছিল । আজকের পর্বে এরকম আরও কিছু কাজ নিয়ে আলোচনা করব । যারা প্রথম পর্ব দেখেননি তারা নিচের দেওয়া লিংক থেকে সহজেই দেখে নিতে পারেন ।

প্রথম পব

তো চলুন এবার দ্বিতীয় পর্ব থেকেও নবিজি নিষেধ করেছেন এরকম কিছু কাজ সম্পর্কে হাদিসের আলোকে জেন নেওয়া যাক ।

কাজ ৭ (এমন কিছু কাজ করে মসজিদে যাওয়া যাবে না যাতে অন্যান্য মুসল্লিদের কষ্ট হয়)

ইসলামের ২য় খলিফা উমর ফারুক (রাঃ) একদিন জুমুআর খুতবা দিচ্ছেন । জুমুআর খুতবার এক পর্যায়ে বললেন,”হে মানব সকল! তোমরা এমন দুইটি উদ্ভিদ খাচ্ছো যা আমি নিকৃষ্ট বলে মনে করি । তা হলো : পেয়াজ ও রসুন । আমি রাসুল (সঃ) কে এমন কাজও করতে দেখেছি যে, তিনি মসজিদে কারো থেকে এগুলোর দুর্গন্ধ পেলে তাকে কবরস্থানের দিকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিতেন । সুতরাং কেউ এগুলো খেলে তা যেন ভালোভাবে পাকিয়ে (সিদ্ধ করে) খায় । (মুসলিম ৫৬৭, ইবনে মাজাহ ৩৪২৬)

কাজ ৮ (মসজিদের দরজায় প্রস্রাব করা নিষেধ)

মাকহুল (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) মসজিদের দরজাগুলোতে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন । (হীহুল জামি হাদিস ৬৮১৩)

দরজা বলতে মসজিদের প্রধান ফটককে বোঝানো হয়েছে । অর্থাৎ মসজিদে প্রবেশের জন্য প্রধান যে দরজা থাকে সেখানে প্রস্রাব করা নিষেধ ।

কাজ ৯ (মসজিদে এমন কিছু জিনিস রাখা নিষেধ যা নামাযীকে অমনযোগী করে)

আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি উসমান (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসুল (সঃ) আপনাকে (কাবা ঘরে) ডেকে কী বলছিলেন? তখন উসমান (রাঃ) উত্তর দিলেন যে রাসুল (সঃ) তাকে শিং দুটো ঢেকে রাখার আদেশ দিয়েছেন । (মুলত শিং দুটি ছিল ইসমাঈলের পরিবর্তে জবাই করা ভেড়ার শিং) কারণ কাবা ঘর তথা যে কোন মসজিদে এমন কিছু থাকা উচিত নয় যা একজন নামাযীকে নামায থেকে গাফিল করে । (আবু দাউন হাদীস ২০৩০)

আমাদের এই বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে মেঝে, সামনে এবং পাশে অধিক জাঁকজমক টাইলস্ লাগানো হয় । এছাড়া অনেক ঘড়ি ও ইলেক্টিক সামগ্রী লাগানো থাকে । এগুলো যথাসম্ভব পেছনের দিকে লাগানো উচিৎ । এগুলোর কারণে অনেকের নামাযে ব্যাঘাত ঘটতে পারে । টাইলস্ লাগানোর ব্যাপারেও একটু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত । আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুক ।

কাজ ১০ (কোন খাদ্যদ্রব্য গুদামে স্টক করে পরিকল্পিতভাবে তার মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া নিষেধ)

মা’মার বিন আবু মা’মার থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন ; একমাত্র কোন অপরাধী ব্যক্তিই পারে খাদ্যদ্রব্য স্টক করতে । (আবু দাউদ হাদীস ৩৪৪৭)

সুতরাং যে খাদ্য ইচ্ছা করে স্টক করে রাখে সে একজন অপরাধী । তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এধরনের কাজ করা যাবে । যেমন পন্যের দাম বেড়ে যেতে পারে । এজন্য কম দামে অনেক পন্য কিনে পরবর্তীতে বাড়তি দামে বিক্রয় করা যাবে । তবে স্টক করে রেখে মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না । বাংলাদেশে বর্তমানে এরকম কেলেঙ্কারি দেখা যাচ্ছে ।

আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুক । আমিন ।

Leave a Reply