মহানবি (সঃ) যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন (নামায সম্পর্কে) [part~4]
নামায সম্পর্কে মহানবি (সঃ) যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন তা এই পর্বে আলোচনা করা হবে । আমি সকলের মনযোগ আশা করছি । তৃতীয় পর্বের লিংক নিচে দেওয়া হলো ::
কাজ ১৬ (নামাযে দুনিয়ার কোন কথা বলা নিষেধ) ::
মুআবিয়া বিন হাকাম সুলামি (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন : নামাযে দুনিয়ার কোন কথাই বলা চলবে না । বরং তা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ও তাঁর মহিমা বর্ণনা এবং কোরআন তেলাওয়াতের সমষ্টি মাত্র । (মুসলিম হাদীস ৫৩৭)
কাজ ১৭ (দুনিয়ার উদ্দেশ্যে যে কোন এলাকার কোন মসজিদে একত্রিত হওয়া নিষেধ)
আব্দুল্লাহ বিন মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন ; অচিরেই দুনিয়ার শেষ যুগে এমন এক সম্প্রদায় আসবে যারা মসজিদে মসজিদে গোলাকার হয়ে বসবে । তাদের মূল লক্ষ্য হবে দুনিয়া । তোমরা কখনো তাদের সাথে বসবে না । কারণ তাদের প্রতি আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই । (আস-সিলসিলাতুস-সাহীহ হাদিস ১১৬৩)
**মসজিদকে নিজ বাড়ির মতো ব্যবহার করাও নিষেধ । মসজিদের জিনিসপত্র ব্যবহার করাও নিষেধ । শুধুমাত্র মুসাফিরগণ ব্যবহার করতে পারবেন ।
কাজ ১৮ (নামাযরত অবস্থায় নামাযীদের মধ্যে খালি জায়গা রাখা নিষেধ)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন; নামাযরত অবস্থায় নামাযীদের মাঝে খালি জায়গা রাখা থেকে আমাকে দূরে রাখো তথা আমাকে যেন তা দেখতে হয় । (আস্ সিলসিলাতুস স্বাহীহ হাদিস ১৭৫৭)
অর্থাৎ রাসুল (সঃ) নামাযীদের মধ্যে ফাঁকা জায়গা রাখা দেখতে পারতেন না । তাই আমরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকব ।
»অন্যাথায় নামাযীদের মধ্যে ফাঁকা জায়গা না রাখার জন্য রয়েছে সুসংবাদ ।
নবিজীর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন; নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ মাগফিরাত কামনা করেন ওদের জন্য যারা নামাযে কাতারবদ্ধ হয়ে একে অপরের সাথে মিলে দাঁড়ায় । (ইবনু ওয়াহাব ২,জামি ৫৮)
কাজ ১৯ (প্রথম বৈঠক করতে ভুলে গিয়ে সম্পূর্ণরুপে দাঁড়িয়ে গেলে প্রথম বৈঠকের জন্য আবারো ফিরে আসা নিষেধ)
মুগীরা বিন শুবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুল (স) ইরশাদ করেন; কোন ইমাম যদি দুই রাকাত নামায পড়ে সম্পূর্ণরুপে দাড়ানোর পূর্বে যদি স্মরণ হয় তাহলে সে বসে বৈঠক আদায় করে নেবে । আর যদি সম্পূর্ণরুপে দাঁড়িয়ে পড়ে তাহলে সে যেন আর না বসে । বরং ভূলের জন্য দুইটি সিজদাহ (সাহু সিজদাহ) দিয়ে নেয় । (আবু দাউদ ১০৩৬)
কাজ ২০ (কোন ফরজ নামাযের ইকামতের পরও যে কোন নামায পড়া নিষেধ)
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন ; যখন কোন ফরজ নামাযের ইকামত শুরু হবে তখন অন্য কোন নামায (সুন্নাত,ওয়াজিব, নফল) পড়া চলবে না । (মুসলিম হাদিস ৭১০)
এছাড়া মহানবি (সঃ) নামাযের সময় এদিক ওদিক তাকাতে নিষেধ করেছেন । দোয়া করার সময় আকাশের দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন ।
তো আজ এতটুকুই ছিল । প্রতিদিন একই বিষয় পাঠ করতে আপনার হয়তো ভালো লাগছে না । রাসুল (সঃ) তাঁর স্ত্রীদের সাথে কীরুপ আচরণ করতেন তা পরবর্তী আর্টিকেলে পাবেন । সবাইকে ধন্যবাদ ।