আসসালামুআলাইকুম……..
সকলে আশা করি ভালো আছেন।
তো যাই হোক আজকে ইসলামিক পোষ্ট করলাম ট্রিকবিডিতে।
আশা করি ভালো লাগবে।………

মুসা(আঃ) এর সময়কার একটি ঘটনা:
মুসা (আ:) একবার আল্লাহ তা’আলার কাছে আরজ করলেন, হে-দয়াময় প্রভু!

আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে’খারাপ ব্যক্তি আমাকে দেখিয়ে দাও।অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো,ঠিকাছে আগামীকাল সকালে তুমি পথের ধারে বসে থেকো। যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই পথ অতিক্রম করবে,সে ব্যক্তি-ই হলো তোমার উম্মতের সবচেয়ে’ খারাপ।হযরত মুসা (আ:) ঠিক সময়মত নির্দিষ্টস্থানেবসলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন এক ব্যাক্তিএকটি ছোট ছেলে কুলে করে তাঁকে অতিক্রমকরলো।

হযরত মুসা (আ:)তাকে দেখে মনে মনে বললেন,ওহ্ এইব্যাক্তি-ইআমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে ‘খারাপ।..

কিছুক্ষণ পর হযরত মুসা (আ:)-র ইচ্ছা হলো তাঁর উম্মতের সবচেয়ে’ ভালো ব্যাক্তিকে দেখতে। আল্লাহ’র নিকট এবার আরজ করলেন, হে- দয়াময় প্রভু !

এবার আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে’ ভালোব্যাক্তি আমাকে দেখাও।.আওয়াজ এলো, হে- মুসা! পথের ধারে বসো, সন্ধ্যা বেলায় যে ব্যাক্তি সর্বপ্রথম আসবে,সে-ই হলো তোমার উম্মতের মধ্যে সবচে’ভালো।

সন্ধ্যা বেলায় হযরত মুসা(আ:)নির্দিষ্টস্থানে বসলেন।কিছুক্ষণ পর দেখলেন সকালের সে ব্যাক্তি-ই ছোট ছেলেকে কোলে করে ফিরতিপথে আসছে।তাকে দেখে হযরত মুসা (আ:)অত্যন্ত অবাক হলেন এবং গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন।.হযরত মুসা (আ:) আল্লাহ’র নিকট আরজ করলেন,হে-দয়াময় প্রভু!

আমি একী দেখতেছি!সকালে যে সবচেয়ে ‘খারাপ ছিলো, সন্ধ্যায় সে কিভাবে সবচেয়ে ‘ভালো হয়েগেলো?অদৃশ্য থেকে মহান স্রষ্টা আল্লাহ উত্তর দিলেন, হে- মুসা!সকালে যখন এই ব্যাক্তি ছেলেকে সাথে নিয়ে তোমাকেঅতিক্রমকরে জঙ্গলে প্রবেশ করলো, তখন ছেলে তাকে প্রশ্ন করে ছিলো, বাবা! এই জঙ্গল কতবড়?সে ব্যক্তি উত্তরে বলেছিলো,অনেক বড়।.ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, বাবা! জঙ্গল থেকেকি বড় কোনো কিছু আছে?

তখন বাবা বলেছিলো,হ্যাঁ বাবা! ঐপাহাড়গুলো জঙ্গল থেকে বড়। ছেলে পুনরায় প্রশ্ন করলো,পাহাড় থেকে কি বড়কিছু আছে? বাবা বললো, আছে, এই আকাশ। ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, আকাশ থেকে কিবড় কিছু আছে? সেই ব্যক্তি বললো,হ্যাঁ, আমার পাপ এইআকাশ থেকেও বড়।

ছেলে বাবার এ উত্তর শোনে বললো,বাবা! তোমার পাপ থেকে বড় কি কোনো কিছু নেই?তখন সেই ব্যক্তি চিৎকার দিয়ে কান্না করে লজ্জিত হয়ে গম্ভীর সুরে বললো, আছে বাবা!

আমার পাপ থেকেও আল্লাহ’র রহমত অনেক বড়।.হে-মুসা!

এই ব্যক্তির পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার এতো পছন্দ হয়েছে যে,আমি তাঁকে তোমার উম্মতের সবচেয়ে ‘খারাপ ব্যক্তিকে সবচেয়ে’ ভালোব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি।

আল্লাহু আকবর।।হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে পিছনেরগুনাহের কথা সব সময় স্বরণ করে সামনের দিনগুলোকে সত্যপথে চলার তাওফিক দানকরো।—–“আমিন….

………
ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন ট্রিকবিডির সাথে থাকুন।

..

11 thoughts on "মুসা(আঃ) এর সময়কার একটি ঘটনা[Islamic]"

  1. masum vai Author says:
    mahbub mia ইসলামিক ক্যাটগরিতে কি পোষ্ট করবে রে??? ব্যাবহারে বংশের পরিচয়। বোঝাই যায় কোন বংশের মানুষ তুই।
  2. Monirul Kabir Contributor says:
    Mahbub Mia Tui Ja koto boro akta malai ta buja galo tor khotha shuna
  3. Naim Jibon Contributor says:
    (Mahbub mia) tui 1ta nastik… Pajil
  4. Anind0 Contributor says:
    post ta valo hoice
  5. kokil.t2 Contributor says:
    ভাল কিছু কে উৎসাহ দিন। ভাল পোস্ট।। খারাপ লাগলে এড়িয়ে যান।
  6. Md Khalid Author says:
    gjotonata kothay pabo? bolben ki?

Leave a Reply