*বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম*

কি হবে আগামী বিশ্ব পর্ব

                                                                              –শাফিউল আলম

 

 

 


 

ফজরের ওয়াক্ত হতেই মাওলানা উসমান কে মসজিদ দেখিয়ে দিল কতোয়াল । অনেক কষ্টে অজু করে দাড়িয়ে গেল নামাযে । কতোয়াল নিজেও নামাজে দাড়িয়ে গেল । শূন্য মসজিদ । সুন্নত নামায পড়ার পর চুপ করে বসে আছে । কেও নেই মসজিদে । একজন ইমাম সাহেবও নেই । মুয়াজ্জিনও নেই । কিসের মসজিদ বুঝা যাচ্ছে না । মাওলানা উসমান , সুন্নত পড়া হয়ে গেলে তাসবিহ পাঠ করতেছে । কিছুক্ষণ পর কতোয়াল এর দিকে তাকালেন মাওলানা উসমান । বললেন: মসজিদের দায়িত্বে কোন ঈমাম সাহেব নেই ?

কতোয়াল একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে বলল: আসলে , কেও নামাযে আসেনা , তাছাড়াও ফজর নামাযে ঠান্ডা অতিরিক্ত । এজন্য আসলে মুয়াজ্জিনও ঘড়ে শুয়ে থাকে আর কি । এক মিনিট !

 

কতোয়াল উঠে গেল । উসমান সাহেব বসে আছে । মসজিদের চারপার্শে মাথা ঘুড়ালো । দেখলো খুবই দূর্বল ভংগুর একটি মসজিদ । মাটির মসজিদ । আর কদিন পর বৃষ্টির পানি মসজিদের মদ্ধ্যে পরবে পরবে ভাব ! মাওলানা উসমান নিজে খুব ভালোভাবে জানেন , মসজিদের জন্য অবশ্যই জেলখানার যারা দায়িত্বে আছেন , তারা মেরে খায় হাজার হাজার মুদ্রা । জেলখানার জন্য বড় মাপের একটি অনুদান দেওয়া হয় প্রতি বছর । কিন্তু কপাল , চোষকখোর গুলো মসজিদের টাকা গুলো বেচে রাখেনি । হটাত একামতের আওয়াজ “আল্লাহুয়াকবার আল্লাহুয়াকবার” !

উসমান সাহেব দেখলে কতোয়াল ইমাম এবং মুয়াজ্জিন কে নিয়ে এসেছেন । কাতারে দারিয়ে গেলেন মাওলানা উসমান ।

 

পুরো জেলখানাতেই প্রখর বৃষ্টি । মাওলানা উসমান এর বিরুদ্ধে রিমান্ড নেওয়ার কথা বলা হয়েছে । সত্যই তার যেই শরীরের কন্ডিশন রিমান্ড নিলে কি অবস্থা হবে ! যা তো বলার মত নয় । একজন অসুস্থ মানুষের প্রতি পৈশাচিক আচরণ মোটেও ভালো হবেনা । তবে , মাওলানা উসমান কে জেলখানার যে ই চিনতে পারে সেই সম্মান করে । কারণ , ফকির-মিসকিন থেকে শুরু করে রাজা বাদশা পর্যন্ত তার আলোচনা শুনতেন । রাজার , ছেলের প্রচুর জ্বর । এতটাই জ্বর এবং অসুস্থতা দেখা দিয়েছিল , যে, হেকিম/ডাক্তার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন । তারা বলেছিল , তাদের কাছে আর কোন রাস্তা নেই । পরবর্তীতে , মাওলানা উসমান সেই বাচ্চার মাথায় হাত রেখে কোন একটি সূরা পরে ফু দিয়ে দেয় তার মাথায় । সাথে সাথে বাচ্চাটি ভালো হয়ে যায় । এভাবে প্রতিটি মানুষের আনাচে কানাচে উপকার করে এসেছেন ২৬ বছর বয়সী এই যুবক মাওলানা উসমান ।

নামায শেষ হয়ে গেল । মাওলানা উসমান , উঠে নিজের রুম আসার জন্য মসজিদ থেকে বের হলেন । পিছন থেকে কতোয়াল এর হাত তার কাধে । মাওলানা উসমান পিছনে তাকালেন !

কতোয়াল আবেকময় চিত্রে তার দিকে তাকালেন । বললেন: মাওলানা সাহেব , ভবিষ্যত বাণী গুলো আমাকে বলে যান ।

মাওলানা উসমান মুচকি হাসলেন । তিনি বললেন: আজ রাত্রে যদি দেখা হয় বলব , ইনশাআল্লাহ ।


রাজা মসাই এখন ঘুম । রাত্রে মদ্যপান এবং নর্তকী নিয়ে উল্লাস করার পর শুয়ে আাছেন তিনি । পার্শেই টেবিলেই , অনেক দামী দামী মদের বদল । এক শ্রেনীর দরবারী আলেম কে রাজার দরবারে রাখা হয়েছে যারা বলে “মদ্যপান এটি কোন ব্যপার না সব রাজারাই করে আমাদের করতেও সমস্যা নেই” !

মাওলানা উসমান তিনি এসবের বিরুধীতা করতেন , রাজ্যের অনেক লোক আছে , রাজ দরবারে যাদের অবস্থান । তারা মাওলানা উসমান কে হত্যা পর্যন্ত করার চেষ্টা করে । কিন্তু আল্লাহ সোবহানাহু ওয়াতায়ালা যদি কাওকে বাচাতে চান তাকে মারবে কে ?

কিন্তু রাজ পরিবারের লোকের প্রতিদিনের খাবার যেন উসমান কে ধাওয়া করা । এখন সবাই নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে মদ্যপান করতেছে , কারোও কোন দির্ষ্টাব নেই । কারণ , মাওলানা উসমান রাজধানীর যে বিশাল মসজিদে খুতবা পেশ করতেন , সেই মসজিদ এখন দরবারী আলেমের নেতৃত্য তে চলে । হটাত একজন প্রহরী দৌড়ে এসে চিতকার দিচ্ছে : রাজা মোসাই ?? রাজা মোসাই আছেণ ?

 

রাজা ট্যারা চোখে তাকালো । আবার চোখ টা বুজলো । বলল: কি হয়েছে ?

প্রহরীর দম যেন ফালাতে পারছিল না । বলল: শিগরীর চলে আসুন । বাহীরে বিক্ষোপ হচ্ছে ।

 

রাজা লাফ দিয়ে  উঠলো । বলল: কিহ ?

কম্বল সরিয়ে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পোশাক পরিবর্তন করে আসলেন । বললেন কি হয়েছে ?

প্রহরী বললেন: রাজা মোসাই জনগণ , ভাত পাচ্ছে না কাপড় পাচ্ছে না অনাহারে তাদের দিন কাটতেছে । সারা দেশের মানুষ এখন আপনার রাজ দরবারের সামনে ।

রাজা মোসাই গম্ভির হয়ে চুপ হয়ে গেলেন । একটু পর সিংহাসনে গেলেন । চুপ চাপ তার কোন কথা নেই । সবাই ভয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে । হয়ত তিনি কিছু বলবেন । তিনি বললেন: মন্ত্রি কোথায় ?

 

মন্ত্রী হাজির হলেন । বললেন: বলুন রাজামোসাই ?

রাজা গম্ভির চিত্রে তার দিকে তাকিয়ে বললেন: আমি ৫০ কোটি টাকার অনুদান উসমান কে গ্রেফতার করার আগের দিন সারা দেশে বিলিবন্টন করার জন্য দিয়েছি । সেগুলো কি হয়েছে ? গরীব মানুষ দের কি বিলি করা হয়েছিল  ?

 

মন্ত্রী চোখ মুখ জেন চুপসে গেল । তবুও মুখে এক গাদা আটা রেখে বলতেছে: আমি হলক করে বলতে পারি এক সুতো ও মাটিতে পরেনাই । সমস্ত কিছু সঠিক ভাবে বিলিবন্টন হয়েছে ।

 

রাজাকে এভাবেই প্রতিনিয়ত ধোকা দেয় মন্ত্রী । দেখাযায় , গরীব দু:খী দের জন্য নির্ধারিত বাজেট ১০০ কোটি টাকা বলে রাজা মোসাই , তার সমাবেশে । তার মদ্ধ্যে ৫০ কোটি টাকাই থাকে রাজার পকেটে । বাকি ৫০ কোটি মন্ত্রি কে দেয় বিলিবন্টন করার জন্য । মন্ত্রী আবার ২০ কোটি টাকা নিজের পকেটে রেখে এলাকার সকল মেম্বোর ,চেয়ারমেন এর কাছে বিলি বন্টন করে দেয় । এর মদ্ধে তারা আবার কিছু মিছু ৬ বা ৯ করে কাহীনি একটা পেচায়ইয়া কি যে করে আল্লাহ ভালো জানে ।

এই হল একটি রাষ্ট্রের অবস্থা । একটি দেশে যখন কোরআনের অনুশাষন ব্যতীত অন্য কোন শাষন চালু থাকে সেই দেশে আল্লাহর রহমত থাকে না ।

এভাবে দিনের পর দিন দূর্নীতি বেড়ে যেতেই থাকে । মানুষ মারামারি কাটাকাটি হানাহানি তে ব্যস্ত । কার কোন মেয়েকে অপহরণ করে রাজা ঐ মেয়ে কে ভোগ করেপরেরদিন কোন এক জায়গায় ফেলে রেখে যাচ্ছে তার কোন ঠিক নাই । রাজার স্ত্রী এ বিষয়ে কোন কথা বলেন না । কারণ , তার কাছেও এটি অতি স্বাভাবিক বিষয় বলেই মনে হয় । সে যাই হোক , রাষ্ট্রের অবস্থা এভাবেই দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে উন্নতির পর উন্নতি ।  কি উন্নতি তা তো বুঝায় যাচ্ছে ।


রাত্রী বেলায় হেরিকেন হাতে করে আসছে কতোয়াল । প্রতি টা আসামীর জেলখানার শিক এ লাঠি দিয়ে বাড়াচ্ছে আর বলছে “এই সবাই শুয়ে পরো ।” !

 

সবার রাত্রের খাওয়া দেয়া শেষ । এখানে রুটি আর গুর চাড়া কিছুই দেওয়া হয় না । মানুষ পুষ্টির অভাবে , শরীর শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় । জেলখানাতেও নিদিষ্ট কিছু অনুদান দেওয়া হয় । কিন্তু তা উপর লেভেলের লোকেরাই ভাগ বাটোয়ারে ব্যস্ত । মাওলানা উসমান এর কক্ষে দাড়ালেন কতোয়াল ।

মাওলানা উসমান তার চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারলেন সে ভবিষ্যতবাণী গুলো শোনার জন্যই এসেছে । কতোয়াল চাবি রক্ষক কে ডাক দিয়ে মাওলানা উসমান এর রুম খুলে নিল । এরপর , ভিতরে প্রবেশ করলো । মাওলানা উসমান সুন্দর কন্ঠে সালাম প্রদান করলেন: আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহী ওয়াবারাকাতুহ !

 

কতোয়াল বললেন: ওয়ালাইকুমুসসালাম ।

 

বিষয়টি দেখে মনে হল শিক্ষক তার ছাত্রদের ক্লাসে প্রবেশ করে সালাম দিলেন । সে যাই হোক , বর্ষার দিন টুপ টুপ করে বৃষ্টি প্রতি রাতেই পরে । কতোয়াল সাহেব গতদিনের মত আজকেও চেয়ারে বসলেন । নিজের হারিকেন টা টেবিলে উপর রাখলেন । পেপারের কাগজ টা তার সামনে ধরে দেখালেন তাতে লিখা “খাবার না পেয়ে মানুষ বিক্ষোপ” !

মাওলানা উসমান এটি দেখে বাদশাহর রূপে হাসি দিলেন ।

মাওলানা উসমান তখন একটি কোরআনের আয়াত বললেন যেটি ছিল সুরা মায়েদার আয়াত “দেশের লোকেরা জনপ্রতির লোকেরা যদি আল্লাহ পাক এর প্রতি ঈমান আনে আর তাকে ভয় করার অবমান্টননিতি যদি অনুসরণ অনুকরণ করে চলে তাহলে আল্লাহ পা’ক ঐ দেশের সব বরকতের দরজা খুলে দিবেন”

 

আয়াতটি শুনে কতোয়াল চুপ করেই থাকে । কারন সে নিজেও দূর্নিতীর সাথে জড়িত ।

একটু পর দ’টি চা দিয়ে যায় একজন প্রহরী এসে । একটি চা , কতোয়াল এর সামনে রাখা হল আরেকটি চা মাওলানা উসমান এর সামনে রাখা হল । কতোয়াল এক চুমুক দিলেন । দেখলেন মাওলানা উসমান চুপ করে আছেণ । কতোয়াল বললেন: চা টি আপনার জন্যই আনা হয়েছে । আপনার সামনে যেটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি আপনার ।

 

মাওলানা উসমান মনে মনে ভাবলেন জেলখানায় কত লোকই বা আছে , জেলখানায় বসে চা খাওয়া এটাও একটি ভাগ্যের ব্যপার বটে । হাতে নিলেন চা । এরপর চুমুক দিতে শুরু করলেন ।

বৃষ্টির দিনে চা খাওয়ার যে কি মজা সেটা সেসময় মাওলানা উসমান অনুভব করছিলেন । উপরে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে তার ঘড়ে যেন পানি না ঢোকে সে জন্য আটকানের জন্য দেয়া হয়েছে ।

ঝোত ঝোত করে বৃষ্টি হচ্ছে । কতোয়াল এবার উসমান সাহেবের দিকে তাকালেন । বললেন: আপনি আজকে সেই ভবিষ্যত বাণী সমপর্কে বলতে চেয়েছিলেন ।

 

মাওলানা ‍উসমান এক চুমুক দিয়ে বললেন: কতোয়াল সাহেব ! আপনি আমার সাথে বসে , এভাবে তথ্য নিচ্ছেন এটি কি রাজামোসাই জানে ?

 

কতোয়াল বলল: আমাকে মূলত তথ্য নেওয়ার জন্যই পাঠানো হয়েছে । তবে এসব তথ্য নয় । সে যাই হোক এখন আমি সেই ভবিষ্যত বাণী সমপরকে জানতে চাই ।

মাওলানা উসমান বললেন: শাহ নেয়ামত উল্লাহ এর ভবিষ্যত বাণী এর মদ্ধে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ , ২য় বিশ্ব যুদ্ধ , এবং তাতে কতজন লোক মরবে তাও লিখা আছে ।

 

কতোয়াল এর নরে চরে বসলো । বলল: তারপর ?

 

মাওলানা উসমান:- বাংলাদেশ হিন্দুদের হাতে চলে যাবে । এ ই বিষয়ে ভবিষ্যত বাণী আছে । হিন্দুদের সাথে আমাদের একটি যুদ্ধ হবে । এবং তার পরেই ইমাম মাহদীর আগমন হবে । আর সেই যুদ্ধ হবে ভয়ংকর । যেই সরকারের জামানায় এটি হবে সেই সরকার এর প্রথম অক্ষর থাকবে ’শীন’ এবং শেষের অক্ষর থাকবে ”নূন” !

 

কতোয়াল এর মাথার আকাশ ভেংগে পরলো । হাত থেকে চা পরে গেল । বলল: কি বলেন এসব ? ভুল বকতেছেন মনে হয় ।

 

মাওলানা উসমান মুচকি হাসলেন । বললেন: বাংলাদেশের বর্তমান যেই শাষক তার প্রথম অক্ষর কি ?

 

কতোয়াল একটু কি জানি চিন্তা করলো । বলল: শ !

 

মাওলানা উসমান বললেন: তার মানে আরবি তে এটিকে শীন বলা হয় । শাহ নেয়ামত উল্লাহ এর ভবিষ্যত বানী এর প্রথম অক্ষর মিলে গেছে । বাংলাদেশের শাষকের শেষের অক্ষর কি ?

 

কতোয়াল বললেন: ন !

মাওলানা উসমান বললেন: হাহা ! তার মানে আরবী তে নূন । তাহলে বুঝুন ? কি অবস্থা হবে । শাহ নেয়ামত উল্লাহ সাহেব যেই শাষকের কথা বলেছেন , সেই শাষকের প্রথম অক্ষর এবং শেষের অক্ষরের নাম তো শুনলেন নিজেও বুঝলেন । এবার শুনবেন কখন এই দেশ হিন্দদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ?

কতোয়াল: কখন ?

উসমান: ২ ঈদ এর মাঝখানে এই দেশ কে হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে । এরপর ভারতের সেনাবাহীনি বাংলাদেশের মদ্ধ্যে ঢুকে সমস্ত জায়গায় বমবিং থেকে শুরু করে যা েইচ্ছে তাই করবে । মুসলমান দের অবস্থা হবে গুজরাটের মুসলমানদের অবস্থার ন্যায় । কারবালার মত রক্তে লাল হয়ে যাবে বাংলাদেশ । মহাররম মাসে মুসলমানরা আবার পাল্টা আক্রমণ চালাবে । বাংলাদেশের মুসলমানরা  এমন হবে , যে , মহাররম মাসে পাল্টা আক্রমণ করে , ভারতবর্ষে যত হিন্দু আছে সমস্ত হিন্দুদের ভারত ছাড়া করা হবে । সে আক্রমণ হবে ভয়ংকর আক্রমণ । এবং হাদিস শরিফে এই যুদ্ধ কেই হিন্দের যুদ্ধ বলা হয়েছে । আর এটিকেই বলা হয় গজওয়াতুল হিন্দ ।

 

কতোয়ালের মনে হচ্ছে সে যত বেশি মাওলানা উসমান এর সামনে বসে আছে তত বেশি ভয়ংকর তথ্য পাচ্ছে । কতোয়াল , বলল: তাহলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বর্তমান সরকারের জমানাতেই এটি হবে ?

উসমান:- শাহ নেয়ামত উল্লাহ রহিমাহুল্লাহ এর ভবিষ্যত বাণী তাই বলে । আপনি চাইলে নিচের লিংক থেকে পিডিএফ আকারে বই টি ডাউনলোড করতে পারেন অথবা আর্টীকেল গুলো পরতে পারেন সেখানে ভবিষ্যত বাণী সব ব্যখ্যা আকারে বলা আছে ।

শাহ নেয়ামাতুল্লাহ ওয়ালী (রহঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী : বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং গাজওয়াতুল হিন্দ

hudhudmail.wordpress.com/2016/02/17/shah-neyamatullah/

 

 

 

 

কতোয়াল সাহেব এবার বলল: আচ্ছা ! যদি সত্যই তাই হয় , তাহলে , এটা বলুন , তার আগে কিভাবে আমরা বুঝবো যে এটিই আসলে সেই সরকার ?

 

মাওলানা উসমান রহস্যময় ভংগিতে উঠে দাড়ালেন । বললেন: কতোয়াল সাহেব , শাহ নেয়ামত উল্লাহ সাহেব ভবিষ্যত বাণী গুলো লিখেছে কবিতা আকারে । আর মূলত , ১৪ নাম্বার প্যারা তে বলা আছে , ১ম বিশ্ব যুদ্ধ হবে । তারপর ২১ বছর পর আবার ২য় বিশ্বযুদ্ধ হবে । শাহনেয়ামত উল্লাহ সাহেব বলে গিয়েছেন ৮৫০ বছর আগে তবে তা বাস্তবে রুপ দিল মাত্র ১০০ বছর আগে । ভাবতে পারেন ? এছাড়াও , ইংরেজ রা আমাদের শাষন করার পর ভারত ভাংগিয়া ২ ভাগ হবে এই কথা বলা আছে এই ভবিষ্যত বাণীর মদ্ধ্যে । প্যারা নাম্বার (২২) ! এবং এও বলা আছে ভারত ভাংগিয়া যত দেশ বের হেবে সব দেশের অবস্থা খারাপ হবে ।

 

মাওলানা ‍উসমান এবার বসলেন , এরপর বললেন: ভেবে দেখুন েইংরেজরা ভাগ করে দেওয়ার আগে বাংলাদেশ কিন্তু ভারতের একটি অংগরাজ্যই ছিল । আলাদা হল তারপর । পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তানের নামে আলাদা হল । এরপর কি হল ? এর পর পাকিস্তান আমাদের শোষন করলো , এরপর কঠিন আন্দলন হল , আমরা ১৯৭১ সনে স্বাধীন হলাম । এরপর কত কষ্ট । ভাত নাই কাপর নাই মানুষের । শাহ নেয়ামত উল্লাহ সাহেব এই কথাই বলেছেন : দুদেশের মানুষের অবস্থা হবে মারাত্মক খারাপ ।

 

কতোয়াল সাহেব হা করে তাকিয়ে শুনতেছে ।

 

মাওলানা উসমান বললেন: বাংলাদেশ কে ভারতের হিন্দুরা দখল করবে পুনরায় ! তার আগে কিছু জিনিষ সত্য হবে । সেটা কি জানেন ?

 

কতোয়াল সাহেব বলল: কি কি ?? তারাতারি বলেন আমি জানতে চাই !

 

মাওলানা উসমান বললেন:

১.মুকুটবিহিন নাদান বাদশা ক্ষমতায় বসবে ।েএটি বলা আছে প্যারা নাম্বার ২৩ . কতোয়াল সাহেব , আপনি বুকে হাত দিয়ে বলুন তো , আমাদের দেশে কি এখন যারা দেশ পরিচালনা করতেছে তারা কি আসলেই জনগণের ভোটে যোগ্যতাপূর্ণ শাষক ?

 

কতোয়াল সাহেব চুপ ! কোন কথা নেই ।

 

মাওলানা উসমান বলেন: উত্তর …না ! আমি জানি । অলরেডি শাহ নেয়ামত উল্লাহ এর এই ভবিষ্যত বাণী বাস্তব রুপ পেল । এর পর যা হবে ,  দুর্ণীতি বেরে যাবে । ভেবে দেখুন আজ থেকে ২০ বছর আগেও এত দূর্নীতি ছিল না , এখন যেমন দূর্ণীতি আছে । অনেক আলামত এভাবে দেওয়া আছে যা আপনি শাহ নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের লিখা কবিতার মদ্ধ্যে পাবেন । উল্লেখ্য যোগ্য আরও মূল বিষয় হল , হিন্দুরা বাংলাদেশ দখল করার আগে মুসলমানদের জান মাল খেলনার মত হবে । ভেবে দেখুন মাত্র ক’দিন আগে মায়ানমারে মুসলমানদের কিভাবে মারলো ? এছাড়াও ভারতে মুসলমানদের কিভাবে মারতেছে ?? গরুর মত পিটাচ্ছে ।

 

কতোয়াল সাহেবের চোখ মুখ শুকিয়ে গিয়েছে ।

 

মাওলানা উসমান বলেন: এরপরে পান্জাব কেন্দ্র কে মুসলমান রা দখল করবে জম্বু কাশ্মির এর কথাও বলা হয়েছে । এর মানে বাংলাদেশ দখল করার আগে মুসলমানরা কাশ্মির নিয়ে ঝগড়া করবে । কাশ্মির বা পান্জাব মুসলমানদের হাতে আসবে । অনূরুপ , ভারত আবার বাংলাদেশ দখল করবে । আপনার কি মনে হচ্ছে আমি মিথ্যা বলছি ? শাহ নেয়ামত উল্লাহ এর কবিতার 37,38,39 প্যারা পরুন । এরপর সমানে হত্যযোগ্য চালাইবে মুসলমানদের উপরে । কঠিন হত্যা চালাবে ।

 

কতেয়াল সাহেব বলল: তারপর ?

 

উসমান:- তারপর , আরকি ? তখন , সমানে , হত্যা যোগ্য চালাবে । সেই সময় টা থাকবে ২ ঈদ এর মাঝখানে । এরপর মহাররম মাস আসবে , মুমিন ইসলাম প্রিয় মুসলমান রা পাল্টা আক্রমণ চালাবে । তাদের যুদ্ধ কঠিন যুদ্ধ হবে । সারা ভারত বর্ষ মুসলমানরা জয় করবে । এরপর , আরও অনেক কাহিনি আছে সেসব বলে শেষ করা যাবেনা । ইমাম মাহদী আ: আসবেন ।

 

 

কতোয়ালের শরীরের পশম খাড়া হয়ে গেছে । সে বলল: বলেন কি ? তার মানে সময় খুব নিকটে ।

 

উসমান: ১০০% নিশ্চিত থাকেন । খুব নিকটে । বাংলাদেশের যেই শাষকের কথা বলা হয়েছে , সেই শাষকের আকিদা হল এই সে মুসলিম হলেও তলে তলে কাফের মুশরিক দের মদদী করবে । ধর্ম যার যার উতসব সবার এইরকম মতবাদে বিশ্বাসী হবে । প্যারা নাম্বার :- ৪০ .

 

 

কতোয়াল সাহেব বলল: এর পর কি হবে ?

 

উসমান:- এর পর তো খেলা শুরু ! এক রাতেই সব বললে বাকিটা কখন শুনবেন ? দাজ্জাল আসবে । তার আগে ঈমাম মাহদী আ: আসবেন । মুসলমানরা জেরুজালেমের দিকে যাবেন । মুসলমানরা ঈসা আ: যেই মসজিদ এ ল্যান্ড করবেন সেটার সামনে যাওয়া মাত্রই দেখতে পাবেন  ঈসা আ: দুই ফেরেস্তার কাধে ভর করে মসজিদের মিনার এর উপর নামতেছেন আসমান থেকে । সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসবেন । ইমাম মাহদী আ: তাকে জোড় করবেন যুদ্ধের দায়ীত্ব নেওয়ার জন্য , তিনি বলবেন : আমি দাজ্জাল কে খতম করার জন্য এসেছি । সেসবের কাহীনি আপনি নিজেও জানেন । তবে এগুলোর বেশি দেরি নাই । ওলামারা ওয়াজ করেন কেয়ামতের আর বেশি দেরি নাই , আমরা এই ওয়াজ শুনে বুঝি আরও ১০০০ বছর পর কেয়ামত হবে । কিন্তু আসলে বুঝি না ১ সেকেন্ড এর ভরষা নেই ।

 

কতোয়াল এর চোখ চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পরছে । কি শুনছে সে । এবার সে বুঝতে পারলো কেন মাওলানা উসমান কে গ্রেফতার করা হয়েছে । কতোয়াল সাহেব মাটিতে বসে পরলো ।হাত জোর এর মত করে উসমান সাহেবের সামনে কান্না শুরু করলো ।

বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে দু’জন ।  কতোয়াল কান্নাস্বরে বলল: আমি মাফ চাই । আপনাকে জেলে ভরার সাথে আমিও জড়িত । আমি মাফ চাই ।

 

মাওলানা উসমান তাকে উঠালেন । বললেন: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রব্বুল আলামিনের জন্য । যিনি আপনাকে এবং আমাকে সৃষ্টি করে ছেড়ে দিয়েছেন । ক্ষমা যদি চাইতে হয় , আল্লাহ পা’ক এর কাছে নামায পরে ক্ষমা চান । তিনি রাহমানুর রহীম । শায়ের বলেছেন “হার হমেশা দিইনে ক তৈয়ার হে জুনা মাংগে উতছে বো বে উজার হে” কবি বলেছেন : আল্লাহ পাক সব দিতে প্রস্তুত যে চায়না আল্লাহ পাক তার উপর নারাজ হয়ে যান । আমি এরকম অনেক তথ্য দিতে পারতাম বিশ্ব বাসিকে । কিন্তু আমাকে বিশ্ব থেকে ডিসকান্কেট করা হয়েছে । গোটা বিশ্ব বাসি এখন জানি আমি নিখোজ অনেকে ভাবে আমি মরেই গেছি । কিন্তু আমার এই অবস্থা কেও জানেনা । অিামার পরিবারের কি অবস্থা আমি জানিনা । সারা দুনিয়া অশান্তিতে মেসমার হয়ে গেছে । এই হয়েছে আজকের অবস্থা । ভাংগা ঘড়ে আছি ঘুমানোর মত একটা বিছানা নাই , চেয়ারে বসে ঘুম পারতে হয় , শরিরে বৃষ্টির পানি দিয়ে শেস হয়ে যায় । একটা মেডিসিন বা ঔষধেরও কোন খোজ নেই । শুধু মাত্র এই ভবিষ্যত বাণী গুলো বলতে চেয়েছিলাম এজন্য ।

 

 

কতোয়াল বুঝতে পারলো সত্যকার অর্থেই সে একজন মজলুমের সামনে দাড়িয়ে আছে । দ্বীন এর কথা বললে এগুলো হবে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয় । কতোয়াল সাহেব বলল: আমি চেষ্টা করবো , আপনাকে আগামি কাল এখান থেকে ভাল একটা রুমে ট্রান্সফার করা যায় কি না । তাছাড়াও আপনি অনেক অসুস্থ আমি জানি । আসলে প্রকৃত অর্থে ইচ্ছে করেই আপনাকে এরকম রাখা হয়েছে যাইতে আপনি মরে যান । আপনি জরুরী সমাবেশে রাজা মোসাইয়ের সাথে এসব কথা শুনেছি । তবে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো । এ বিষয়ে আপনাকে ব্যপক সহযোগিতা করার ।

 

মাওলানা উসমান মাথা নিচু করলো । সে নিষেধ করতে পারলো না । কারণ তার কেও নেই এখন আর । কতোয়াল সাহেব যদি সাহায্য করে সেটাই আল্লাহ পা’ক এর পক্ষ থেকে বিরাট পাওয়া । কতোয়াল সাহেব কাধে হাত রাখলেন । মাথা উচু করলেন মাওলানা উসমান । দেখলেন কতোয়াল সাহেবের চোখে পানি । বৃষ্টিতে দু’জনের শরীরই এইবার ভিজে যাচ্ছে । কতোয়াল সাহেব বলছেন: আপনি দাওয়াত প্রচার করতে পারেন , রাত করে । আমি আপনার রুমে শুয়ে থাকবো । আর আপনি জেল খানার বাহিরে গিয়ে দাওয়াত প্রচার করবেন । যদি আপনি চান , তাহলে আমি এই সুযোগ আপনাকে করে দিতে পারি । আমার লোক আপনার সাথে থাকবে , কোন সমস্যা হবেনা ।

 

মাওলানা উসমান বললেন: আমি যদি এখন একটা মাহফিল করে শুধু আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে , এই কথা যদি বলি সারা বাংলাদেশ তোলপাড় হয়ে যাবে । উপচে উঠা জনতার ঢোল পুনরায় আপনার চাকরিও খাবে , আমাকেও ফাসির কাষ্ঠে ঝুলতে হবে , শেষমেষ এই কথা গুলো কেও বলবেনা সবাই ভয়ে চুপ হয়ে যাবে ।

 

কতোয়াল সাহেব বললেন: মাহফিল আপনাকে করতে হবেনা । আপনি যে কোন না কোন , মানুষ কে এইগুলো জানাবেন । কারণ , মানুষের এগুলো জানা দরকার ।

 

মাওলানা উসমান বললেণ:- এগুলো ভুলে যান , সাহেব । হবেনা ঐসব । কি হয় আর হয় না । আমি জানি । বরং আপনি যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে বাহিরে গিয়ে , মুল্যবান কিছু তথ্য নিয়ে আসতে পারি । যেগুলো আপনার দারাও সম্ভব নয় । বর্তমান সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে এই গুলো গতিবিধির উপর খোজ খবর নিতে পারি । সেটা আমার জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে । আমাকে ভারতে যেতে হবে । সেখানকার মুসলমানদের অবস্থা আমি  একবার নিজ চোখে দেখতে চাই ।

 

কতোয়াল সাহেব একটু অবাক হয়ে গেলেন । বললেন: আপনার পক্ষ্যে এখন ভারত যাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয় ।

 

মাওলানা উসমান একটু চিন্তায় পরে গেলেন । তিনি একটু পর উঠে দাড়ালেন । এরপর আবার বললেন: ভারতে আমার একটি বন্ধু আছে যাকে আমিএই গুলো বিষয় সমপর্কে যদি জানায় তিনি নিজেও এই গুলো বিষয় গজওয়াতুল হিন্দ এরপর শাহ নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের ভবিষ্যত বাণী গুলো প্রচার করতে পারবেন ।

 

কতোয়াল :- লাভ কি হবে ?

 

মাওলানা উসমান:- এতে লাভ হল , মানুষ প্রকৃত সত্য জানতে পারবে । আমার যে কোন মূল্যে হোক এগুলো প্রচার করতেই হবে । মানুষ কে জানাতিই হবে ।

 

কতোয়াল :- রাজা মোসাই এর সাথে আমি কথা বলি । দেখি আপনাকে কোন ভাবে , আসামী থেকে জামিন দেওয়া যায় কি না !

 

মাওলানা উসমান মুচকি হাসলেন । বললেন:- রাজা মোসাই মোটেও এটির পারমিশন দিবেনা । এটাভুলে যান । যাই হোক , অন্তত আমাকে আমার বাড়িতে একবার যেতে দিন যেভাবেই হোক । আমাকে জেল খানা খেকে কোন পোশাক দেওয়া হয় নি । আর তাছাড়াও , আমি অসুস্থ । রাত্রে রওয়ানা দিবো , ফজর নামাযের আগেই আমি চলে আসবো ।

 

কতোয়াল দাত দিয়ে আংগুল কাটতে লাগলেন । বললেন: এটা অবশ্য একটি ভালো দিক । যেহেতু অনেকেই জানে আপনি মরে গেছেন , সেহেতু আমরা গিয়ে যদি আপনার বাড়িতে , পোশাক আনি তাহলে , সবাই ভাববে আপনি জীবিত । আর যদি আপনি নিজেই রাত্রিবেলায় যেয়ে কাপড় নিয়ে আসেন তাহলে , সমস্যা নেই । তবে হ্যা সাবধন , সদ্যবেশে যেতে হবে । কেও জেন বুঝতে না পারে ।কোন ভাবেই ধরা পরা যাবেনা । আমি আগামিকাল এটির ব্যবস্থা আপনাকে করে দিবো সাথে , আপনার নতুন কক্ষের ব্যবস্থাও করে দিবো ।

 

মাওলানা উসমান হাসলেন । কতোয়াল সাহেব কাধ থেকে হাত নামিয়ে বললেন: আমি আসি ।

 

মাওলানা উসমান মাথা নেরে সম্মতি দিলেন ।

 

কতোয়াল রুম থেকে বের হয়ে শিকল গেইটে তালা দিয়ে দিলেন । ঠিক একজন আসামি কে যেভাবে রাখা হয় । মাওলানা উসমান আকাশের দিকে তাকালেন । আকাশের দিকে তাকালেই তার কোন না কোন কোরআনের আয়াত মনে হয় । তার কোরআনের একটি আয়াত মনে হল আল্লাহ পা’ক বলেন “আমাকে ডাকো আমি তোমার ডাকে সাড়া দিবো” !

 

এই আয়াত টি মাওলানা উসমান এর মনে পড়লো ।

 

——————————————————————-চলবে———————————————————————————————————

 

 

 

 

বি: দ্র: একটি পর্ব লিখতে সত্যই অনেক কষ্ট হয় ।  যারা পরেছেন মেহেরবাণী করে , কমেন্ট করে যাবেন । আর আমি কোন কথা দলিল ছাড়া উপস্থাপনা করিনি । যদি , কোনটা দলিল ছাড়া মনে হয় , কমেন্ট করে জানাবেন আমি চেষ্টা করবো উত্তর দেওয়ার জন্য ।

12 thoughts on "সবাই পরবেন ! কি হবে আগামী বিশ্ব পর্ব: ৩ (হিন্দুস্থানের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ হবে হাদীসে আছে, পরুন সেই ভবিষ্যতবাণীগুলো)"

  1. Sagor21 Contributor says:
    vai sotti osadaron post,,,, sob ghotona gulo mile geche,,, Allah amader sobaike hefajot koruk,,, khati Iman niye cholar toufik dan koruk,,,,,Amin
    1. Trickbd Boy Author Post Creator says:
      কমেন্ট টি করার জন্য ধন্যবাদ । আগামী পর্ব গুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ।
  2. Sagor21 Contributor says:
    vai sotti osadaron post,,,, sob ghotona gulo mile geche,,, Allah amader sobaike hefajot koruk,,, khati Iman niye cholar toufik dan koruk,,,,,Amin
  3. Sagor21 Contributor says:
    vai sotti osadaron post,,,, sob ghotona gulo mile geche,,, Allah amader sobaike hefajot koruk,,, khati Iman niye cholar toufik dan koruk,,,,,Amin
  4. Sagor21 Contributor says:
    vai sotti osadaron post,,,, sob ghotona gulo mile geche,,, Allah amader sobaike hefajot koruk,,, khati Iman niye cholar toufik dan koruk,,,,,Amin
  5. Sagor21 Contributor says:
    vai sotti osadaron post,,,, sob ghotona gulo mile geche,,, Allah amader sobaike hefajot koruk,,, khati Iman niye cholar toufik dan koruk,,,,,Amin
    1. Trickbd Boy Author Post Creator says:
      আমিন
  6. Sagor21 Contributor says:
    চলবে ভাই,,,
  7. Sagor21 Contributor says:
    চলবে ভাই,,,
  8. Sagor21 Contributor says:
    চলবে ভাই,,,
  9. Sagor21 Contributor says:
    চলবে ভাই,,,
  10. SIFATBOY Author says:
    সুন্দর পোস্ট

Leave a Reply