এসি গরমের আরাম দেয়ার জন্য ঘরে বা
অফিসে লাগিয়ে থাকেন। তবে এসি
তো আর সবার বাড়িতে নেই। থাকলেও
সবাই সব ঘরে এসি রাখেন না।
অনেকের আবার এসির মধ্যে দিনভর
থাকতে পারেন না অথবা থাকলেও
বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু আপনি
জানেন কি, এসি ছাড়াও ঘর অনেক
ঠান্ডা রাখা যায়।
আপনি ভাবছেন অনেক গরম পড়ছে কিন্তু
বাড়িতে এসি নেই? কিন্তু আপনি কি
জানেন, যখন এসি-র উদ্ভাবন হয়নি
তখনো গরমের দেশের মানুষ নানা
উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখতেন? তাহলে
একন কেন সেটা পারা যাবে না?
নিচে দেয়া হলো এমনি ১২টি টিপস
যা অনুস্বরণ করার মাধ্যমে আপার ঘরকে
এসির মতো ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন।
১) শৌখিন পর্দা ফোল্ড করে রেখে
গরমকালে বাঙালির অতি পরিচিত
পর্দা টাঙান জানলায়। এতে বাইরের
তাপ সবচেয়ে ভাল আটকানো যায়।
আগে অফিস-কাছারিতে এমন পর্দা
পানিতে ভিজিয়ে দেয়া হত। কিন্তু
এখন তা না করলেও চলবে। বাইরের তাপ
পর্দায় আটকে রেখে বাকি ব্যবস্থা
অন্যভাবে করুন।
২) কাচের জানলা যাদের, তারা
করতে পারেন। এতেও পুরোপুরি
আটকানো যায় বাইরের তাপ।
৩) গরমের সময়ে ওভারহেড ট্যাঙ্কে
বেশি পানি রাখবেন না। কারণ পানি
তাড়াতাড়ি গরম হয়ে আগুনের মতো
হয়ে যায়। গরম পানির ভাপ সব সময়েই
বেশি। তাই সেই পানি যখন ব্যবহার
করবেন তার গরম বাষ্প ঘরও গরম করে
তুলবে। তাই প্রয়োজন মতো অল্প অল্প
পানি তুলে ব্যবহার করুন। এতে
পানিটাও ঠান্ডা পাওয়া যাবে।
৪) সূর্যাস্তের পরে ঘরের জানলা-দরজা
খুলে দিন। ঠান্ডা বাতাসে ঘরের
গুমোট হাওয়া দুরকরে। অতি পরিচিত ঘর
ঠান্ডা করার পদ্ধতি। কিন্তু নিয়ম করে
করা হয়ে ওঠে না অনেক সময়।
৫) বাড়ির পাশে পতিত জমি থাকলে
পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বড় গাছ লাগান।
এতে সারাদিন বাড়িতে রোদ পড়ার
হাত থেকে বাঁচবেন। ঘরও অপেক্ষাকৃত
ঠান্ডা থাকবে।
৬) বেশ কিছু ইন্ডোর প্লান্ট রয়েছে, যা
বাড়ির মধ্যে রাখলে ঘর ঠান্ডা
থাকে। যেমন অ্যালোভেরা, বস্টন
ফার্ন, স্নেক প্লান্ট, উইপিং ফিগ,
অ্যারিকা পাম ইত্যাদি। ঘরের
বাতাসকেও শুদ্ধ করে এই গাছগুলি।
৭) বাড়ির মধ্যে কয়েকটি জায়গায় বড়
মাটির মালসায় করে পানি রাখুন ও
তাতে কয়েকটি সুগন্ধি ফুল ফেলে দিন।
দিনে দু’তিনবার পানি পরিবর্তন করে
নিন। ঠান্ডা পানির বাষ্পে ঘর ঠান্ডা
৮) তুলার বালিশের পরিবর্তে বাজরার
বালিশ ব্যবহার করুন গরমকালে। তুলার
বালিশ খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়।
৯) সন্ধেবেলা ছাড়াও দুপুরের আগে আর
একবার ঘরের সব দরজা-জানলা খুলে
হাওয়া খেলতে দিন। মুখোমুখি
জানলা খুলে দিলে সবচেয়ে ভাল।
ঘরের গুমোট খুব ভাল দূর হয়।
১০) সাধারণ বাল্ব-টিউব পাল্টে
ব্যবহার করুন এলইডি বাল্ব। কারণ
ইনক্যান্ডেসেন্ট বাল্ব থেকে গরম হয়ে
যায় ঘর।
১১) দিনে দু’বার করে ঘর ও জানলার
স্ল্যাব ভাল করে মুছুন। এতেও ঘর ঠান্ডা
হতে সাহায্য করবে।
১২) ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে পাখার
ব্লেড একটু অন্যভাবে লাগান, যাতে
পাখা ঘোরে অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ।
এভাবে পাখা ঘুরলে গরম হাওয়া নীচে
নামবে না, বরং উল্টোটাই হবে।