প্রতিদিনের মতো সকালে বাথরুমে গিয়েছিলেন ব্যাংককের ছাছেংগসাও-এর বাসিন্দা আত্থাপোর্নে বুনমাকচুয়ে। কমোডে বসে প্রাতকৃত্যও সারছিলেন। হঠাৎই তিনি পুরুষাঙ্গে জোর কামড় অনুভব করেন। যন্ত্রণায় হাত বাড়িয়ে ধরে ফেলেন কামড় দেওয়া জিনিসটিকে। হাতের মুঠোর মধ্যে আস্তো এক পাইথন। আতঙ্কে চিৎকার করে স্ত্রীকেও ডাকেন। দরজার ছিটকানি ভেঙে বাথরুমে ঢুকে স্ত্রীরও অবাক।
কমোড থেকে বাথরুম ফ্লোর— চারিদিকে তখন শুধুই রক্ত। এ পরিস্থিতিতে পাইথনের মুখে আঙুল ঢুকিয়ে তার চোয়াল দুটো আলগা করেন আত্থাপোর্নে। পাইথনটির মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে দড়ি দিয়ে বাথরুমের দরজার সঙ্গে বেঁধে দেন।

স্ত্রী ততক্ষণে অ্যাম্বুলেন্সে খবর দিয়েছেন। তাতে করেই আত্থাপোর্নেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিনি ভালো আছেন। তবে, তার পরুষাঙ্গটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়ায় তা বাদ দিতে হয়েছে।

খবর পেয়ে আত্থাপোর্নের বাড়িতে আসে ফায়ার ব্রিগেডের লোকজন। কমোড ভেঙে পাইথনটিকে উদ্ধার করা হয়। পাইথনটি অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে ব্যাংককের বনদফতর। তাকে জঙ্গলে ছে়ড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু, কীভাবে কমাডের পাইপে এল পাইথন? অনুমান করা হচ্ছে রেন পাইপ দিয়ে কোনওভাবে স্যানিটেশন লাইনে ঢুকে পড়েছিলো বাচ্চা পাইথনটি। আর সেখান দিয়ে সে পৌঁছেছিলো আত্থাপোর্নের বাড়ির বাথরুমের কমোডে।
আপাতত ভালো আছেন আত্থাপোর্নে। কমোডে বসার আগে ভালো করে চারপাশ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের বে়ড থেকে ভি সাইন দেখানো আত্থাপোর্নেকে কিন্তু সাহসিকতার জন্য বাহবা দিচ্ছেন সকলে।

One thought on "ব্যাংককে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে হারালেন পুরুষাঙ্গগ"

Leave a Reply