মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে
মস্তিষ্কের ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক
নেই – অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন যাবত চলতে
থাকা এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর জানায়,
গবেষকেরা ১৯৮২ সাল থেকে ২০১৩ সাল
পর্যন্ত দেশটিতে মস্তিষ্কের ক্যান্সারের
ঘটনার হিসেবের ওপর ভিত্তি করে এ
গবেষণাকাজ পরিচালনা করেন। এতে
দেখা যায়, এ ৩০ বছরে দেশটির পুরুষদের
মধ্যে মস্তিষ্ক ক্যান্সারের সংখ্যা
কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও নারীদের মধ্যে এ
সংখ্যা স্থিতিশীল। আর মোবাইল ফোন
ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কে ক্যান্সার
হতে পারে – এমন কোনো প্রমাণ
পরিসংখ্যানে পাওয়া যায়নি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৭ সাল থেকে
দেশটিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর

সংখ্যা ক্রমবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৪
সালে দেশটিতে মোবাইল ব্যবহারকারীর
সংখ্যা সম্পূর্ণ জনসংখ্যার শতকরা ৯৪
শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ক্যান্সার এপিডেমিওলজি জার্নালে
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ গবেষণার
প্রধান গবেষক সিমন চ্যাপম্যান বলেন,
“১৯৮২ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে
অস্ট্রেলিয়ায় ৭০ বছরের কম বয়সের
মানুষের মধ্যে মস্তিষ্ক ক্যান্সারের
ঘটনার সংখ্যার সঙ্গে ধারণাকৃত সংখ্যার
তুলনা করে যা দেখা গেছে, তাতে ধরে
নেওয়া যায় যে বয়স্ক মানুষের মধ্যে
মস্তিষ্ক ক্যান্সারের ঘটনার সঙ্গে
মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পর্কিত নয়।”
অস্ট্রেলিয়ান গবেষকদের দেওয়া তথ্যমতে,
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্ক
ক্যান্সারের সম্পর্ক নিয়ে থাকা
বিতর্কের অবসান না ঘটালেও, দীর্ঘদিন
মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ক্যান্সার
হতে পারে-এমন ধারণার বিপরীতে শক্ত
সমর্থন যোগায়।
অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ২০০৮ সালে লন্ডনের
ইমপেরিয়াল কলেজে মোবাইল ফোন
ব্যবহারের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক
নিয়ে ১০ বছর মেয়াদি একটি গবেষণা শুরু
হয়। এতে ৯০ হাজার ব্রিটিশসহ মোট ২ লাখ
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের উপর নজর
রাখা হচ্ছে। এ গবেষণায় মোট ৩১ লাখ
ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও ডেনমার্ক এবং সুইডেনের
গবেষকরাও একই ধরনের গবেষণাকাজ
পরিচালনা করছেন।

Leave a Reply