আগে বলে রাখি।।। আমি Trickbd তে নতুন যদি আমার লেখায় কোন ভুল হয় তহলে আমাকে মাফ করবেন।
এটা আমার জীবনের প্রথম পোস্ট Trickbd তে

টক্সিনের অনেক ক্ষতিকারক দিক আছে। শরীরকে এই নিরব ঘাতক থেকে মুক্ত রাখার উপায় সম্পর্কে লিখছি


। চলুন তাহলে আর ভূমিকা না বাড়িয়ে সোজা উপায়গুলোতে চলে যাই।

(১) খাবার ভালো করে ধুয়ে রান্না করা
এখন চাষের সময় শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিকের প্রয়োগ হচ্ছে। ফলে খাবারের সঙ্গে অবলীলায় তা শরীরের সঙ্গে ঢুকে পড়ছে। যেকোনো ফল বা সবজি খাওয়ার আগে তা ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় কেটে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখলে। এতে সবজি বা ফলের মধ্যে জমে থাকা টক্সিন অনেকটা বেড়িয়ে যাবে। বাসন ধোয়ার দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। যে সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে টক্সিন আছে কিনা, সেটাও দেখে নেয়াটা জরুরী।
(২) এয়ার ফ্রেশনার
বাজারে যেসব এয়ার ফ্রেশনার বা সেন্টেড ক্যান্ডেল পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে প্রচুর টক্সিন থাকে। কাজেই এ ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন, আর কোনো উপায় না থাকলে সুগন্ধি হিসেবে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা হয়, এমন প্রোডাক্ট দেখে কিনুন। সেগুলো শরীরের পক্ষে ভালো।
(৩) ঘরের মধ্যে গাছ
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরের বাতাস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে গাছের কোনো বিকল্প নেই। কিছু গাছ ঘরে রাখুন। এতে ঘরের মধ্যে টক্সিন কমে যাবে।
(৪) প্রচুর পানি পান করুন
শরীর থেকে টক্সিন বের করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে প্রচুর পরিমানে পানি পান করা। পানি শরীরের অভ্যন্তরে থাকা সকল জীবাণুকে মূত্রের সাথে বের করে দেয়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

(৫) মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহার কমান
গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহারের ফলে খাবারে পুষ্টি গুণ কমে যায় এবং অনেক সময় প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার গরম করার কারণে খাবারে জীবাণুর মাত্রা বেড়ে যায়। কাজেই টাটকা খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন; এবং সেটা সম্ভব না হলে চুলায় গরম করে খান।
(৬) একই তেল দু’বার রান্নার কাজে ব্যবহার
একবার রান্নার কাজে ব্যবহার করা তেল দ্বিতীয়বার রান্নার কাজে ব্যবহার টক্সিনের অন্যতম উৎস। তাই তেল কেনার সময় এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করুন। একবার ব্যবহৃত তেল দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ ব্যবহৃত তেল অক্সিডাইজড হয়ে গেলে তা টক্সিনে রূপান্তরিত হয়।
(৭) ব্যায়াম করুন প্রতিদিন
ব্যায়াম করলে শরীর থেকে যে ঘাম নির্গত হয়, তার সাথে টক্সিন অনেকটা বেরিয়ে যায়। তাই শরীর সুস্থ্য রাখতে ব্যায়াম করুন প্রতিদিন।
(৮) ডিটক্স ওয়াটার পান করুন
শরীর থেকে টক্সিন বের করতে পানি পান করার সাথে ডিটক্স ওয়াটার গ্রহণ করতে পারেন। শরীরকে চাঙ্গা আর টক্সিন-মুক্ত করতে ডিটক্স ওয়াটারের জুড়ি নেই। ডিটক্স ওয়াটার শরীরের রক্ত পরিষ্কারের হার বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি ত্বক সুন্দর করে। আপনাদের সুবিদারথে কয়েকটি ডিটক্স ওয়াটারের রেসিপি দেওয়া হল-
গ্রিন টি-তে বহু রকমের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা free radicals নিস্কাশন করে। গ্রিন টি লিভারকে টক্সিনের হাত থেকে বাঁচায়। দিনে ২ থেকে ৩ বার গ্রিন টি পান করুন।
অর্ধেক লেবু এবং অর্ধেক শসা গোল করে চাক চাক করে কেটে নিন। এক লিটার পানিতে কাটা লেবু এবং শসাসহ কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে ফ্রিজে রাখুন। পরদিন সকাল থেকে সারাদিন সাধারণ পানির পান করার ফাঁকে ফাঁকে এই পানি পান করুন।
এক বোতল পানিতে অর্ধেক আপেল টুকরা করে নিয়ে তাঁর সাথে এক স্টিক দারুচিনি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে ফ্রিজে রাখুন। পরের দিন এই পানি পান করুন।
কয়েক টুকরা মাল্টা ও শসার সাথে কয়েকটি তুলসি পাতা ও আদা কুচি নিয়ে এক লিটার পানিতে ভিজিয়ে সারারাত ফ্রিজে রাখুন। পরদিন নিয়ম মাফিক পান করুন।
(৯) গোসলের মাধ্যমে
শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে ইপসম সল্ট বাথের জুড়ি নেই। এই বাথের ফলে ম্যাগনেসিয়াম লেভেল বেড়ে যায়। যার সাহায্যে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তারা এটা করবেন না। ইপসম বাথের জন্য যা লাগবে –
১ কাপ ইপসম সল্ট
১ কাপ সাধারণ লবণ
২ কাপ বেকিং সোডা
সামান্য আপেল সাইডার ভিনেগার
একটি জারে গরম পানি নিয়ে তাতে ইপসম সল্ট, সাধারণ লবণ এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণ তৈরি করে জারটি আলাদা করে সরিয়ে রাখুন। এবার একটি বালতি বা গামলায় ঈষদুষ্ণ গরম পানি নিন। তাতে মেশান ভিনেগার। তারপর জারে রাখা মিশ্রণটি ঐ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার নিজের দু’পা গোড়ালি পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখুন আধ ঘন্টা। একটু পরে দেখবেন পানির রং বদলাতে শুরু করেছে। আধ ঘন্টা পরেই পানির রং ফিকে হলুদ হয়ে যাবে। বুঝবেন শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত পদার্থ এতে মিশে গিয়ে পানির রং হলুদ হয়ে গেছে।
শরীর টক্সিন-মুক্ত রাখতে এসব নিয়ম পালনের পাশাপাশি রোজকার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন রয়েছে। শরীরকে টক্সিন-মুক্ত রাখতে সাহায্য করে এমন কয়েকটি খাবার হল – ব্রকলি, বাঁধাকপি, কাঁচা রসুন, আদা চা, লেবুর শরবত, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি। এই খাবারগুলো প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
রোগমুক্ত সুস্থ জীবন সবারই কাম্য। আমরা সাধারণত নিজেদের অলসতা বা বাজে খাদ্যভাসের কারণেই রোগে ভুগে থাকি। নিজের শরীরকে টক্সিন-মুক্ত রাখতে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। এর জন্য নিয়মমাফিক জীবন যাপন করুন এবং নিজেকে ডিটক্সিফাই করুন।
আমার সাইট

21 thoughts on "শরীরকে টক্সিন মুক্ত রাখর কিচু উপায়"

  1. SK SHARIF Author says:
    ট্রাইনার প্যানেলে স্বাগতম!
    আশা করি আরো ভাল কিছু দেবেন
    1. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
      Thanks bro
  2. SK SHARIF Author says:
    http//trickbd.com/lifestyle/341634. এক পোস্ট বারবার করলে আপনার ক্ষতি আছে
  3. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
    ভাইয়া আমি এক পোস্ট বারবার করবো না
    1. SK SHARIF Author says:
      ওকে,, আগের টা ডিলিট করে দিন
    1. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
      ?
  4. Mahbub Subscriber says:
    vai ak post 2bar ken??
    1. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
      ?
  5. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
    ভাই আগের পোস্ট টা ডিলেট করে দিচি?
    1. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
      thanks
  6. Md Liton Shakh Author says:
    বানান ঠিক করুন।।। (রাখর=রাখার এবং কিচু= কিছু)
    1. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
      thanks
  7. Nur Alam Nur Contributor Post Creator says:
    wellcome

Leave a Reply