আজকের টপিক
আমরা অনেকে অনেক নাটক দেখি ।কিন্তু আমরা কি জানি এর ইতিহাস ।আপনাদের কোখনো কি জানার ইচ্ছা হয়েছিল কোন দেশে প্রথমে নাটক শুরু হয় , কে করেছিল ।প্রথম থেকে কি মেয়েরাই নাটক করত ।আরো কত প্রশ্ন ।আজ আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ।
আসুন শুরু করি
পৃথিবীর সর্বপ্রথম নাটক শুরু হয় গ্রীসে ।তখন কিন্তু নাটক মঞ্চে করা হত ।তবে বাংলার আদি নিদর্শন চর্যাপদে নাটক অভিনীত হওয়ার উল্লেখ আছে ।বাংলায় নাটক আসেছে ইউরোপ থেকে ।দেশভাগের পূর্বে বাংলা নাটকের চর্চা স্থান ছিল কলকাতায় । এ কলকাতায় প্রথম মঞ্চনাটক করেন রাশিয়ান নাগরিক হেরাসিম স্পেপানাভিচ লেবেদেফ । প্রথম বাংলা আধুনিক নাটক রচনা করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৫৯ সালে শমিষ্ঠা নাটক ।এটি তিনি পাশ্চাত্য নাট্যরীতি অসুসরণ করে তৈরি করেন ।এরপর তিনি অনেক নাটক রচনা করেন ।সে সময়কার সর্ব বিখ্যাত নাটক ছিল দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পন ।এটিতে তিনি বাঙালীদের উপর নীল চাষ এর জন্য অত্যাচার নিয়ে তৈরি করেছিলেন ।যেহেতু এটি ইংরেজ দের বিপক্ষে ছিল তাই এটি বেশি দিন চলতে পারেনি ।দুই দিন পর এটি ব্যান করা হয় ।তবে এ নাটকের পর থেকে আর বাঙালীদের উপর নীল চাষ এর জন্য জুলুম করতে পারে নি । এরপরে বাংলায় আরো অনেকে নাটক রচনা করেন ।তার মধ্যে প্রধান হলেন মীর মশাররফ হোসেন ,গ্রিরিশচন্দ্র ঘোঘ এবং বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অনেক ।এর পর ১৯৩৮ সালে আর একটি নাটক দর্শকের মন করে নেন ।সেটি ছিল শচীন্দ্রনাথ এর সিরাজউদ্দৌলা ।এতদিন যে নাটক গুলো হচ্ছিল সেগুলো তে ছেলেরা মেয়ে সেজে অভিনয় করত ।পরে গ্রীস চন্দ্রসেন নাটকে প্রথমে মেয়ে অভিনেতা দিয়ে নাটক টি করান ।নাটকটির নাম ছিল নটি বিনোদনী ।এ তো গেল বাংলার নাটকের ইতিহাস ।এবার আসি বাংলাদেশ এর নাটকের ইতিহাস এ :
দেশবিভাগের পর ঢাকায় নাট্যচর্চা হত ।বাংলাদেশের আধুনিক ধারার নাটক চর্চার ক্ষেত্রে দুজন ব্যাক্তি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন ।তারা হল মুনীর চৌধুরী ও সৈয়ত ওয়ালীউলাহ ।মনীর চৌধুরি র বিখ্যাত নাটক গুল হল , রক্তাক্ত প্রান্তর , কবর ,ঠিঠি ।এ দুজন ছাড়া আরো অনেকে বাংলায় নাটক রচনা করেছে ।আস্তে আস্তে এ মঞ্চ নাটক এখন আমরা টিভিতে দেখতেছি ।
তবে এর ভিতরে কিঞ্চিৎ ভুল পরিলক্ষিত।
“শমিষ্ঠা ” নয়। “শর্মিষ্ঠা” হবে।
আর নীলদর্পন এর ইতিহাস টা ঠিক ঐরকম নয়, যেরকম আপনি বলেছেন।