আসসালামু আলাইকুম,
একদিনের বিরতি নিয়ে আবার হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সাথে বকবক করতে অনলাইন ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং ও খুঁটিনাটি পঞ্চম পর্ব নিয়ে।
মেশিনটা দুর্বল হয়ে গেছে এখন আর আগের মতো সার্ভিস দেয় না।
তাই মাঝে মাঝে, একটু-আধটুখারাপ হয়ে যায়।
বোঝা যায় বয়স হয়েছে !!!
যাই হোক এবার কাজের কথায় আসি,
আজ আপনাদেরকে আমি বলবো
ফাইবার র্যাঙ্ক ও লেভেল
নিয়ে ।গত পর্বে বলেছিলাম এ পর্বে কিভাবে আমি এবং আমরা মিলে মোট 21 টি গিগ হতে 2 দুইটি
ফাস্ট রাঙ্কিং এ আসলাম এবং আরো কিছু ট্রিকস শেয়ার করব।
যারা আগে লেখাগুলো পড়েন নি তাদেরকে বলব আগে লেখাগুলো পড়ে নিন তাহলে খুব সহজে বুঝে যাবেন কি হচ্ছে।
গিগ ডিসক্রিপশনঃ
গিগ ডিসক্রিপশন তৈরি করার সময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনার লেখার ভঙ্গি যেন খুব সাবলীল ও স্বাভাবিক হয় অর্থাৎ যে পড়ছে সে যেন আপনার সামনে বসে আছে,
এছাড়াও লক্ষ্য রাখতে হবে গিগ এর ভিতর প্রাসঙ্গিক কথা ই যেন প্রাধান্য পায়।?
আপনি কিভাবে কাজটি করবেন,কিভাবে কাজটি করলে ফলাফল বেশি আসে,আপনার কাজের ফলাফল এর একটি নমুনা বা ধারণা যদি আপনি আপনার ডিসক্রিপশন এর দেন তাহলে কিন্তু বেশ ভালো হয় সাথে অভিজ্ঞতাটাও লাগিয়ে দিতে পারেন।
সার্টিফিকেশনঃ
আপনার যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট বা কোন ধরনের ট্রেনিং এর প্রমাণ থাকে তাহলে সেগুলো যুক্ত করতে ভুলবেন না,
মনে রাখবেন আপনি আপনাকে যত সুন্দর ভাবে পারেন জাহির করার চেষ্টা করবেন এখানে।
কিছু টেস্ট দেয়া যায় ফাইবারে যা কিনা বিনামূল্যে দেওয়া যায়,?
আপনি চাইলে সে টেস্টগুলো দিয়ে আপনার প্রোফাইলের ভেল্যু বাড়াতে পারেন।?
আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে ফাইবার নিজে কিন্তু নিউ সেলার দের কাছে ট্রেনিং কোর্স বিক্রি করে,
তাদের ট্রেনিং কোর্সের মান কতটুক তা ঠিক বলতে পারছি না কারণ আমি ট্রেনিং গুলোর কোর্স কিনিনি।
তবে মান ভালো হবে বলেই আমার আশা।
আচ্ছা এবার যেটার জন্য সবাই অপেক্ষা করছেন সেটা বলছি, আমি এবং আমরা মিলে কিভাবে র্যাঙ্ক পেলাম।
ফাইবারের কিছু চিরাচরিত নিয়ম আছে সেই নিয়ম গুলো হচ্ছে ফাইবারের গিগ বানানোর পর সে কি গুলোকে মার্কেটিং করা আর সেই মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে যে প্লাটফর্ম গুলো সব চাইতে বেশি কার্যকরী বলে জানবেন সেগুলো হচ্ছে লিনকেদিন টুইটার ও ফেসবুক!
এ প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি আপনার শেয়ার করলে এবং সঠিক মানুষগুলোর সাথে কানেক্টেড হতে পারলে তাহলে আপনার গিগের ইম্প্রেশন ভিউ এবং ক্লিক সবকিছু বেড়ে যাবে তাতে আপনার র্যঙ্কিংয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
এবার কথা হচ্ছে আমরা কি করেছিলাম??
♂️?♂️আমাদের যে দুটো ভালো করেছে সে দুটোর জন্য আমরা সর্বপ্রথম যেটা করেছিলাম সেটা হচ্ছে 24 ঘন্টা একটিভ থাকা অর্থাৎ আমরা কখনই পিসি অফ করতাম না।
সবসময় আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে লগইন করা থাকত এবং আমরা নিয়মিত ভাবে রিফ্রেশ করতাম।
প্রত্যেকদিন বায়ার রিকোয়েস্ট বিট করতাম এবং বিট করার সময় সেই একই গিগ বারবার ব্যবহার করতাম।
সবচাইতে বড় কাজে দিয়েছে যেটা সেটা হচ্ছে মার্কেটিং, আমরা খুব সতর্কতার সহিত হ্যাশট্যাগ নির্বাচন করে টুইটার এবং ফেসবুকে কিছু মার্কেটিং করি সামান্য হলেও লিংকডইন করা হয়,
দেড় মাসের মাথায় একটি প্রথম স্থান এবং তৃতীয় স্থান দখল করে আছে এখনো ।?
এখন কথা হচ্ছে আপনার অবস্থান উপরে আসলো বা সর্বপ্রথম ই হল কিন্তু দিন শেষে আপনি কি কাজ পাচ্ছেন?
না শুধু র্যাঙ্কিং হলেই যে কাজ পাবেন তা কিন্তু না, মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং অনেকগুলো বিষয়ে একটি সমন্বয় যার সমন্বয় জাত সবচাইতে বেশি ভালো তার সফলতা সম্ভাবনা তত বেশি।
শরীর খারাপ আজ আর বেশি কথা বলব না,
তবে কাজ পাবেন কিভাবে? বিট করার জন্য কি কি বিষয় জানতে হবে? এবং দিন শেষে আপনি কিভাবে বিট করবেন – এই সবকিছু নিয়ে কথা বলব কাল
এবং আমার প্ল্যান হচ্ছে পুরো রমজান মাস শেষে আপনারা সবাই ফাইবার ,আপওয়ার্ক এবং পিপল পার আওয়ার এ তিনটি প্লাটফর্মে কিভাবে কাজ করবেন তা নিয়ে কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করা এবং অনলাইনে আর্নিং এর অন্যান্য যে প্লাটফর্ম গুলো আছে যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিপিএ মার্কেটিং এবং ড্রপ শিপিং এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।
তাই সাথে থাকুন। ধন্যবাদ
2 thoughts on "অনলাইন ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং ও খুঁটিনাটি( পঞ্চম পর্ব)"