ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
মার্ক জাকারবার্গ সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যমকে নতুন এক উচ্চতায়
নিয়ে গেছেন। এতটাই উঁচু যে পৃথিবী থেকে
প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ওপরে!
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের
(আইএসএস) নভোচারীদের সঙ্গে সরাসরি
ভিডিওতে কথা বলার সেবা ‘ফেসবুক
লাইভ’-এ কথা বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের
ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস
অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এবং মার্ক
জাকারবার্গের ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার
করা লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়,
জাকারবার্গ নভোচারীদের উদ্দেশে করা
ভক্তদের কিছু প্রশ্ন করেন। নভোচারীরা
সেগুলোর উত্তর দেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে
অবস্থানকারী তিনজন নভোচারীর সঙ্গে
প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন মার্ক। জানতে
চান তাঁদের প্রতিদিনের কাজ এবং মঙ্গল
গ্রহের উদ্দেশে ভবিষ্যতে হতে যাওয়া
টিম কোপরা বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রমের
মূল বিষয়গুলোর একটি হলো, মানবদেহের ওপর
শূন্য মহাকর্ষের প্রভাব কতটা, তা খতিয়ে
দেখা। আমরা নিজেরাই এখানে পরীক্ষণের
বিষয়বস্তু।’ কোপরার সঙ্গে নাসার
নভোচারী জেফ উইলিয়ামস এবং ব্রিটিশ
নভোচারী টিম পিকও জাকারবার্গের
সঙ্গে লাইভ ভিডিও চ্যাটে যুক্ত
হয়েছিলেন। তাঁরা কথা বলেন সম্প্রতি
সফলভাবে স্থাপিত বিম মডিউল নিয়ে, এর
আগের প্রচেষ্টায় যেটি ব্যর্থ হয়েছিল।
বিস্ফোরক, তরল পদার্থ, এমনকি মানবদেহে
শূন্য মহাকর্ষের কী প্রভাব পড়ে, তা দেখতে
পরিচালিত পরীক্ষণসমূহ নিয়েও বিস্তারিত
কথা বলেন নভোচারীরা। মহাকাশে
ফেসবুক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া
হলে কোপরা বলেন, সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে ছবি এবং নিজের
চিন্তাভাবনার কথা ছড়িয়ে দেওয়ার
বিষয়টা তিনি উপভোগ করেন। তিনি বলেন,
‘এত ওপর থেকে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার-
পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দারুণ একটি
উপায়।’
নভোচারীরা স্টেশনের জানালা দিয়ে
নিচে তাকান, পৃথিবীকে দেখেন এবং শূন্য
মহাকর্ষের বিষয়টি আবিষ্কার করেন।
মহাকাশে ফেসবুকের লাইভ ভিডিও চ্যাট
সম্পর্কে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, বিষয়টি
কাজ করেছে দেখতে দারুণ লাগছে। তবে
ইন্টারনেটের গতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে
কোপরা জানান, পৃথিবীর মতো অতটা
ভালো গতি না পেলেও যেটুকু পাওয়া যায়,
তা মহাশূন্য থেকে ছবি এবং নিজের
চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট।
দেব দুলাল গুহ, সূত্র: ডেইলি মেইল
well