যাঁরা নিয়মিত সেলফি তোলেন, তাঁরা
নিজেদের সম্পর্কে অতিমূল্যায়ন করেন।
অর্থাৎ আসলে যতটা আকর্ষণীয়, তার চেয়েও
বেশি সুন্দর মনে করেন নিজেদের।
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল
গবেষক এ কথা জানিয়েছেন।
স্মার্টফোনের ক্যামেরায় নিজেই নিজের
ছবি তোলার নাম সেলফি। সামাজিক
যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমের
বদৌলতে এখন এ রকম ছবির ছড়াছড়ি
বিশ্বজুড়ে। নিজেদের সম্পর্কে তাৎক্ষণিক
অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার কাজে সেলফি
খুবই কার্যকর। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের
মনোবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকেরা
সেখানকার ১৯৮ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর
সেলফি তোলেন। তাঁদের সবাইকে একটি
করে সেলফি তুলতে বলেন গবেষকেরা,
তারপর বলেন প্রতিটি ছবিকে মূল্যায়ন
করতে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে
প্রকাশ করলে সেই সেলফি অন্যরা কতটা
পছন্দ করবে, সেটাও জিজ্ঞেস করা হয়। ওই
১৯৮ জনের বাইরে আরও ১৭৮ জনের কাছে
ছবিগুলো সম্পর্কে নিরপেক্ষ মতামত
চাওয়া হয়। এতে দেখা যায়, সেলফিতে
আসক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের বেশি
আকর্ষণীয় মনে করেন। ছবিতে তাঁদের
চেহারা অন্যদের চেয়ে পছন্দনীয় দেখায়
বলে তাঁরা মত দেন।
এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন মনোবিজ্ঞানী
ড্যানিয়েল রে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন
সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড
পারসোনালিটি সায়েন্স সাময়িকীতে
প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়,
নিজেদের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলোর
দিকে বেশি মনোযোগ দেন। তাঁরা মনে
করেন, সেলফিতে তাঁদের বেশি আকর্ষণীয়
দেখায়—অন্য কারও তুলে দেওয়া ছবির
চেয়ে। কিন্তু নিরপেক্ষ মতামত বলছে, এসব
সেলফির চেয়ে অন্যদের তুলে দেওয়া
ছবিতেই তাঁদের বেশি ভালো দেখায়।
One thought on "সেলফির ভালো-মন্দ জেনে নিন।"