দুর্লভ হরমোনের কারণে মাত্র এক বছর
বয়সেই শিশুটি প্রাপ্তবয়স্কদের ন্যায়
আচরণ করছে। এই বয়সে তার পুরুষাঙ্গও
প্রাপ্তবয়স্কদের মতো এবং
যৌনকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তার
মধ্যে। চিকিৎসকরা বলছেন, এটা অসম্ভব
কিছু নয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন,
হরমোনজনিত এই সমস্যা লাখে একটা
হয়ে থাকে। সম্প্রতি ভারতের
নয়াদিল্লিতে শিশুটির হরমোনাল
ডিসঅর্ডার চিহ্নিত করা হয়। দুর্লভ
হরমোনগত জটিলতার এই প্রক্রিয়াটি
অকাল বয়ঃসন্ধি নামে পরিচিত।
শিশুটির বয়স যখন ছয় মাস তখনই তার
নানীর কাছে শিশুটির এই
অস্বাভাবিক আচরণ ধরা পড়ে। তখনই
শিশুটির মুখে ও গোপনাঙ্গে লোম
গজাতে থাকে এবং পুরুষাঙ্গের
আকারও প্রাপ্তবয়স্কদের মত বৃদ্ধি
পেতে থাকে।
শিশুটির মা শবনম পারভীন বলছিলেন,
আমরা এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে যাই,
নানা কিছু ভাবতে থাকি। এক
পর্যায়ে লক্ষ্য করলাম তার বৃদ্ধি
স্বাভাবিক নয়। তার পুরুষাঙ্গ
প্রাপ্তবয়স্কদের মত বৃদ্ধি পেতে থাকল।
আমরা বুঝতে পারলাম, কোনো একটা
জটিলতা তৈরি হয়েছে। পরে
চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হলো।
অকাল বয়ঃসন্ধির বিষয়টি এক লাখ
শিশুর মধ্যে মাত্র একজন শিশুর ক্ষেত্রে
দেখা যায় পৃথিবীতে। আর প্রতি ১০
শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়।
আর এধরণের শিশুদের দীর্ঘদিন
শারীরিক বৃদ্ধি থেমে যায় এবং এই
সমস্যা দেখা দেয়ার পর তারা বড়জোর
এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। আট
থেকে ১০ বছর বয়সী মেয়ে শিশুদের
ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি ঘটতে পারে
বলে চিকিৎসকরা জানায়।
শালিমার বাগ ম্যাক্স সুপার
বিশেষায়িত হাসপাতালের
কনসাল্টিং পেডিয়াট্রিক
এন্ডোস্রিনোলজিস্ট ডা: বৈশাখী
রুস্তগী বলেন, এই ধরনের ডিজঅর্ডার
সাধারণ মস্তিষ্ক এবং পেটে টিউমার
হলে দেখা যায়। কিন্তু শিশুটির রক্তের
রিপোর্টে আমরা তেমন কিছু পায়নি।
এ ক্ষেত্রে শিশুটিকে ভাগ্যবান বলতে
হবে। কারণ এই ধরনের টিউমার জটিল
আকার ধারণ করে ক্যানসারের দিকে
নিয়ে যায়।
শিশুটিকে যখন ওই চিকিৎসকের কাছে
নেয়া হয় তখন তার বয়স ১৮ মাস পূর্ণ
হয়েছিল। তার টেস্টোটেরনের
মাত্রা ছিল ২৫ বছর বয়স্ক ব্যক্তিদের মত
এবং তার মস্তিষ্ক ছিল ১২ বছরের
ছেলেদের মত ছিল। সাধারণত, এক বছর
বয়সী একটি শিশুর টেস্টোটেরনের
মাত্রা থাকে ২০ ন্যানোগ্রাম। কিন্তু
শিশুটির ছিল ৫০০ থেকে ৬০০
ন্যানোগ্রাম। যার কারণে মুখে ও
শরীরে অন্যান্য স্থানে লোম গজায়।
ডা: বৈশাখী আরও বলেন, শিশুটিও
এখনো অনেক ছোট। তার শরীরের এই
পরিবর্তন সে কদাচিৎ বুঝতে পারবে।
তার যৌন আকাঙ্ক্ষাও দেখা দিতে
পারে। অকাল বয়ঃসন্ধির ব্যাপারটি
এবং তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করতে
পারে। তার পেশি শক্তি বৃদ্ধি পাবে
এবং মা-বাবার পক্ষে শিশুটিকে
নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
শিশুটিকে এখন হরমোন থেরাপি
দেয়া হচ্ছে। আগামী পাঁচ মাসের
মধ্যে শিশুটির হরমোন এবং পুরুষাঙ্গের
আকার হ্রাস পাবে। হরমোনের
প্রভাবে বাধা সৃষ্টির জন্য তাকে
চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশুটির
মানসিক স্থিতিশীলতা আসার আগ
পর্যন্ত এবং তার শরীর এই পরিবর্তনকে
গ্রহণ করা পর্যন্ত এই চিকিৎসা পদ্ধতি
চলতে থাকবে বলে জানান ওই
চিকিৎসক।
ডা: বৈশাখী রস্তুগী বলেন, এই ধরনের
ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশুদের
চিকিৎসা না করানো হলে কয়েক বছর
পর তাদের শারীরিক বৃদ্ধি থেমে
যাবে। তাদের উচ্চতা বড়জোর তিন
থেকে সাড়ে চার ফুট হবে। সূত্র: দ্য
ইন্ডিপেনডেন্ট ও ডেকান ক্রনিক্যাল।
এরকম আরো টিপস পেতে আমার সাইট এ আসেন
> PostMaza.Com<<
না। ভিজিট করলেই আপনার
ব্রাউজারের সকল পার্সওয়াড হ্যাক হয়ে
যেতে পারে। (সাবধান) আমার হ্যাক হইছে।