আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।
23.জাকারিয়া আল রাযি(আরবীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাণপুরুষ)
আল-রাযি একজন দক্ষ পারসিক চিকিৎসক এবং দার্শনিক। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞান, আল-কেমি, পদার্থবিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ১৮৪টির বেশি বই লিখেছেন।
তিনি সালফিউরিক এসিড আবিষ্কার করেন। তিনি ইথানল উৎপাদন, বিশোধন, ও চিকিৎসায় এর ব্যবহার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি একজন বিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন। তিনি বহু দেশ ভ্রমণ করেন। বাগদাদ নগরীতে তার একটি পরীক্ষাগার ছিল। তার নামে ইরানে রাযি ইনষ্টিটিউট এবং রাযী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। ইরানে প্রতি বছর ২৭শে আগস্ট রাযি দিবস পালন করা হয়।
তিনি ৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের তেহরানে রে নামক শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পুরো নাম আবু বকর মুহম্মদ ইবনে জাকারিয়া আল রাযি।পশ্চিমা বিশ্বে তিনি রাজেস(Rhazes) নামে পরিচিত।
চিকিৎবিজ্ঞানে আল রাযির অবদান অবিস্মরণীয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে মুসলমান বিজ্ঞানীদের অবদানের কথা বলতে গেলে ইবনে সিনার পর তার কথা বলতেই হয়।
এডওয়ার্ড গ্রানভিল ব্রাউন তাকে ” সমস্ত মুসলিম চিকিৎসকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে আদি, এবং একজন লেখক হিসাবে সবচেয়ে সুপরিচিত” বলে মনে করেন।
জর্জ সার্টন তাকে “ইসলাম এবং মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসক” হিসাবে মন্তব্য করেছেন.
তবে তিনি শুধু চিকিৎসকই ছিলেন না, ছিলেন একাধারে গণিতবিদ, রসায়নবিদ এবং দার্শনিক।
ভীষণ মেধাবী এই মানুষটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক অবদান রেখেছেন, যা ছড়িয়ে আছে তার রচিত দু’শরও বেশি বইয়ের পাতায়। তবে তিনি তার আবিস্কার এবং পর্যবেক্ষণ দিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করে গেছেন, সেজন্যই তাকে বেশি স্মরণ করা হয়।
আল রাযি প্রথম জীবনে সঙ্গীত ও শিল্পকলায় আগ্রহী ছিলেন। তারপর রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, গণিত প্রভৃতি বিষয়ের জ্ঞানার্জন করেন। তিনি ঠিক কখন চিকিৎসাবিদ্যার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন, তা সঠিক জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয়, তার বয়স যখন ত্রিশ বা চল্লিশের কোঠায় ছিল তখন তিনি মেডিসিনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
চিকিৎসাবিদ্যার পাঠ নিতে তখন তিনি বাগদাদে চলে যান এবং সেখানে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। তারপর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। এরপর রে এর গভর্নর মানসুর ইবনে ইসহাক তাকে রে শহরে ফিরে আসার আমন্ত্রণ জানান এবং রে হাসপাতালের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। আল রাযি মানসুর ইবনে ইসহাককে দুটি বই উৎসর্গ করেন- ‘দ্য স্পিরিচুয়্যাল ফিজিক্স’(The Spiritual Physic) এবং ‘কিতাব আল- মানসুরী’(Al-Mansūrī on Medicine)।
ফলে বাগদাদ থেকে আব্বাসীয় খলিফা আল মু’তাদিদ তাকে ডেকে পাঠান এবং নতুন স্থাপিত একটি হাসপাতালের প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করেন। আল মু’তাদিদের পুত্রের শাসনামলে আল রাযি আব্বাসীয় খেলাফতের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল নির্মাণের দায়িত্ব পান।
হাসপাতাল কোথায় নির্মাণ করা হবে, সেই স্থান নির্বাচন করতে তিনি এক অভিনব প্রক্রিয়ার সাহায্য নেন। পুরো শহরজুড়ে নানা জায়গায় তিনি কিছু মাংসের টুকরা রেখে আসেন। যে স্থানের মাংস সবচেয়ে পরে পঁচতে শুরু করেছিল সেই স্থানটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করেন তিনি। শিক্ষক হিসেবেও আল রাযির খ্যাতি ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তার লেকচারের আকর্ষণে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক শিক্ষার্থী এসে তার ক্লাসে ভিড় জমাত।
আর রাযী এতটাই খ্যাতি অর্জন করেন যে, তাঁর ছাত্রত্ব বরণ করা ছিল সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই তাঁর বাসগৃহ সর্বদা ছাত্রে ভর্তি থাকত। ক্লাসের প্রথম সারি গুলােতে বসতেন তার ছাত্ররা-এরপর বসতেন তাঁদের ছাত্ররা।
আর-রাযী ঔষধ প্রয়ােগ, শল্য চিকিৎসা, ব্যবচ্ছেদ বিদ্যা, শরীরবিদ্যা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও আরােগ্যবিজ্ঞান সম্বন্ধীয় গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। তাছাড়া তিনি দর্শন মননবিদ্যা, ন্যায়শাস্ত্র, অধিবিদ্যা, ধর্ম, গান, ব্যাকরণ, দাবা, পাশা প্রভৃতি বিষয়েও গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। মানবজ্ঞানের প্রায় সকল শাখায় তাঁর পদচারণা দেখে ইংরেজ কবি ড্রাইডেন ঠিকই বলেছেন, “তিনি একক নন, সমগ্র মানবজাতির তিনি সারবস্তু’।
বাগদাদের প্রধান চিকিৎসক হিসাবে আল-রাজির সাফল্য অনস্বীকার্য এবং তাঁর পরিষেবাগুলির অবিচ্ছিন্ন চাহিদা ছিল। তাঁর জীবনের বাকী বেশিরভাগ অংশ শহর থেকে শহরে ভ্রমণ করতে গিয়ে শাসক, উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করেছিলেন, যাদের তিনি দান করেছিলেন এবং বিনা পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন।
তিনি চিকিৎসকদের আধুনিক জ্ঞান এবং নতুন নতুন তথ্যে সমৃদ্ধ হতে বলেছেন। তিনি গরীব, অসহায় লোকজন, মুসাফিরদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত পুস্তিকা রচনা করেন, যাতে করে তারা ডাক্তার কাছে না থাকলেও নিজেদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারে।
চিকিৎসক হিসেবে আল রাযি অতুলনীয় নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রভূত উন্নতি সাধন করেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার অবদান বিবেচনা করলে তাকে তুলনা করা যায় শুধু তার এক শতাব্দী পর জন্ম নেয়া চিকিৎসাবিদ ইবনে সিনার সাথে। অনেক বিশেষজ্ঞ আল রাযিকে মধ্যযুগের সেরা চিকিৎসক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাকে সেসময়ের সবচেয়ে সৃজনশীল লেখক বলেও মানা হয়।
তিনি পেডিয়াট্রিকস, অপথ্যালমোলজি, নিউরোসার্জারি, সংক্রামক রোগ সহ চিকিৎসাবিদ্যার অনেক শাখার গোড়াপত্তন করেন। তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপর অনেকগুলো ভলিউমের ১০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন। অনুবাদের বদৌলতে তার চিকিৎসাবিদ্যা সংক্রান্ত গ্রন্থাবলী এবং ধ্যানধারণা মধ্যযুগের ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং পাশ্চাত্যের চিকিৎসাবিদ্যাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল ।
তিনিই প্রথম চিকিৎসক, যিনি হাম এবং গুটি বসন্তকে আলাদা রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেন। এর আগে দুটো রোগকে একই ভাবা হতো। হাম এবং গুটিবসন্ত সম্পর্কিত তার পর্যবেক্ষণ স্থান পেয়েছে তার ‘আল জুদারী ওয়াল হাসবাহ’ গ্রন্থে।
এই রোগনির্ণয়টি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (১৯১১) দ্বারা স্বীকার করা হয়েছে , যেখানে বলা হয়েছে: “”The most trustworthy statements as to the early existence of the disease are found in an account by the 9th-century Persian physician Rhazes(Al Razi), by whom its symptoms were clearly described, its pathology explained by a humoral or fermentation theory, and directions given for its treatment.”
আল রাযি ছিলেন বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী। চিকিৎসাশাস্ত্রের পাশাপাশি রসায়নশাস্ত্রেও তিনি তার পাণ্ডিত্যের ছাপ রেখেছেন। রসায়ন শাস্ত্রে তাঁর অত্যন্ত দখল ছিলাে এবং যৌবনে বহুদিন তিনি আলকেমি সম্বন্ধে গভীর গবেষণা করেছিলেন।তিনি একইসাথে জৈব ও অজৈব রসায়ন নিয়ে কাজ করেছেন।জাকারিয়া আল রাজি ৮৫৪-৯২৫ সালের মধ্যে সাবান তৈরির বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন।
প্রথম সালফিউরিক এসিডও তিনিই তৈরি করেন। এছাড়া অসংখ্য লবণ, অ্যালাম প্রভৃতি তৈরি করেছেন তিনি। নানারকম রাসায়নিক প্রক্রিয়া এবং যন্ত্রপাতিও তিনি উদ্ভাবন করে গেছেন। কেরোসিন ল্যাম্প তার অন্যতম। আল রাযি ধাতুর রুপান্তরে বিশ্বাসী ছিলেন। মধ্যযুগের অন্যান্য রসায়নবিদের মতোই তিনিও বিশ্বাস করতেন,পরশ পাথরের সাহায্যে সাধারণ ধাতুকে স্বর্ণে রুপান্তর করা সম্ভব।
পরশ পাথরের সন্ধানে তিনি বেশ ভালোই মাথা ঘামিয়েছেন এবং দুটো বইও লিখেছেন- ‘The Secrets’ এবং ‘The secrets of Secrets’। তার সমসাময়িক পণ্ডিতদের ধারণা, তিনি নাকি কপারকে স্বর্ণে রুপান্তরিত করতে পেরেছিলেন! উল্লিখিত বই দুটি ছাড়াও আল রাযি রসায়নে আরও কিছু বই লিখেছেন। আল রাযি দর্শন সম্পর্কেও লিখেছেন, ভেবেছেন, যদিও তিনি দার্শনিক হিসেবে বিতর্কিত ছিলেন।
তার রচিত বেশ কিছু বই পাশ্চাত্যের চিকিৎসাশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হতো।
তিনি ২৩২ টি গ্রন্থ রচনা করেন বলে জানা যায়। এর মধ্যে কিতাবুল মাদখাল ও কিতাবুল হাকিব, কিতাবুল বুরহান, কিতাবু তিব্বে রূহানী চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ। আর কিতাবুল তাদাবির হলাে শল্য চিকিৎসার এবং ঔষধ সম্পকিত গ্রন্থের নাম কিতাবু আকছির।
অবশ্য বৈজ্ঞানিক আল- বিরুনী আর রাজীর ১২ টি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করেছেন। সেগুলাে হলাে– মুদকালুত তালিমী, মুদখালুল বুরহাতী, কিতাবুল হাজার, কিতাবুদ তাদবীর, কিতাবুল ইসবাত সানাহ ওয়ার রদ্দে আল মুনকিরিহ, কিতাবু শারাফ আস্ সানাহ, কিতাবুল আকসির, কিতাবুল তারতীব, কিতাবুল মিহান, কিতাবুত তাদাবীর, কিতাবু সিরুল হুকামা ওয়া হিয়ালিহিম ও কিতাবুশ শাওয়াহিদ।
আল রাযির রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে- ‘আল কিতাব আল হাওয়ি’, ‘দ্য ভার্চুয়াস লাইফ’, ‘আল জুদারি ওয়াল হাসবাহ’, ‘আল মানসুরি’ প্রভৃতি।
২৩টি ভলিউমে রচিত ‘আল কিতাব আল হাওয়ি’ গাইনোকলজি, অবেস্ট্রিকস এবং অপথ্যালমিক সার্জারির ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে।
নয়টি ভলিউমে রচিত ‘দ্য ভার্চুয়াস লাইফ’ বইটিতে গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটল এবং প্লেটোর কাজ সম্পর্কে আলোচনা-সমালোচনা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে সৃষ্টিশীল ধারণা দেন। এই বইটিতে আল রাযি তার বিভিন্ন বই পড়ে অর্জিত জ্ঞান, নানারকম রোগ এবং তার চিকিৎসা নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ, তার রাখা সমস্ত নোটকে একত্রিত করেছেন।
শুধুমাত্র এই বইটির জন্য অনেক পণ্ডিত তাকে মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক বিবেচনা করেন। বইটি ইউরোপে ‘The large comprehensive’ বা ‘Continens Liber’ নামে পরিচিত।
আল রাযি রচিত আরেকটি যুগান্তকারী গ্রন্থ হচ্ছে ‘Doubts about Galen’।
এই বইটিতে তিনি গ্রীক চিকিৎসক গ্যালেনের অনেক ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেন। তার পর্যবেক্ষণের সাথে গ্যালেনের অনেক দাবীই সাংঘর্ষিক ছিল। এমনকি গ্যালেন জ্বরের যে লক্ষণের কথা উল্লেখ করে গেছেন, আল রাযি জ্বরের রোগীর সাথে তারও কোনো মিল পাননি। আল রাযির ‘The Diseases of Children’ বইটি পেডিয়াট্রিকসকে চিকিৎসাবিদ্যার স্বতন্ত্র একটি শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
আর-রাজী যে কতবড় বৈজ্ঞানিক তা ড. স্টেপলটনের মন্তব্য থেকে বুঝা যায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আর-রাজীকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সত্যানুসন্ধিসৎসু বিজ্ঞানীরূপে আখ্যায়িত করা যায়। তিনি শুধু তার যুগেই অনুপম ও অদ্বিতীয় ছিলেন না, গ্যালিলিও ও বয়েলেন যুগে ইউরােপে যে নব সূর্যোদয়ের সূচনা হয় তার পূর্বে পর্যন্ত তিনি বিজ্ঞানের জগতে ছিলেন একক নিঃসঙ্গ ব্যক্তিত্ব’।
আল রাযির জীবনের শেষ দিনগুলো খুব দুর্দশায় কেটেছে। তার চোখে প্রথমে ছানি পড়ে, তারপর তিনি গ্লুকোমায় আক্রান্ত হন। তার চোখের অসুস্থতাজনিত বিপর্যয়ের শেষ হয় অন্ধত্বে। তার অন্ধত্বের কারণটি ধোঁয়াশাতেই রয়ে গেছে। কেউ বলেন, তার চোখে কোনো রাসায়নিক পদার্থ পড়েছিল বলে তিনি অন্ধ হয়ে যান।
আবার কেউ বলেন, তিনি অন্ধ হননি, তাকে অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য দায়ী করা হয় তার এককালের পৃষ্ঠপোষক মানসুর ইবনে ইসহাককে। আল রাযি নাকি রাসায়নিক কোনো এক পরীক্ষা প্রমাণ করতে পারেননি এই অপরাধে ইবনে ইসহাক তাকে এই নির্মম শাস্তি দেন।
মহান এই মনীষী ৯২৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মস্থান রে শহরে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার খ্যাতি দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেসময়ে জন্ম নেওয়া আরেক খ্যাতিমান মুসলিম মনীষী আল বিরুনী প্রথম আল রাযির জীবনী লিখেন। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গৌরবময় অবদানের জন্য তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আমার আগের সব পর্ব:-
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ১
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ২
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৩
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৪
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৫
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৬