সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুরু করছি আজকের এই
পোস্ট। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে
ওয়েবসাইট এর স্পীড বাড়ানো নিয়ে কয়েকটি কথা
বলবো যা আপনার ওয়েবসাইট এর স্পীড বাড়িয়ে দিবে
১০০% গ্যারান্টি। কারন যারা একেবারে নতুন তারা ওয়েবসাইট এর
স্পীড নিয়ে খুব দুচ্চিন্তায় থাকেন। যাহোক কাজের কথায়
আসি।
১। সবার আগে আমি মনে করি যে বিষয় টি গুরুত্বপূর্ণ সেটা
হল ভালো হোস্টিং। কারন যে মাটিতে ফসল ফলাবেন
সেই মাটি যদি ভালো না হয় তাহলে যতই কিছু করেন না কেন
তেমন কোন ফল পাবেন না বা কোন কাজ হবে না।
আমদের অনেকেই সবসময় সস্তা হোস্টিং খোঁজে।
মনে রাখবেন আপনি ৫০ টাকায় ও ১ জিবি হোস্টিং পাবেন
আবার ২/৩ হাজার টাকায় ও ১ জিবি হোস্টিং কিনতে পারবেন।
এখন আপনি নিজেই ভাবুন কোন কোয়ালিটির হস্টিং কিনবেন।
আমি মনে করি আপনি যদি সত্যি সত্যি এই পেশায় আসতে চান
তাহলে অবশ্যই ভালো মানের হোস্টিং আপনাকে কিনতে
হবে। আমি নিজেই এই হোস্টিং বাবসার সাথে জরিত তাই
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কথা গুলো বললাম। কারন আমার
কাছে অনেক কাস্টমার আসে যাদের কাছে কোয়ালিটির
চেয়ে টাকার গুরুত্ব বেশি। তার মানে এই নয় যে
আপনাকে বেশি দামে হোস্টিং কিনতে হবে। কারন
অনেকে আবার নিম্নমানের হোস্টিং আপনার কাছে ভালো
বলে বেশি দামে চালিয়ে দিতে পারে তাই সাবধান। কেনার
আগে অবশ্যই যাচাই করে নিবেন।
২। আপনার ওয়েবসাইট এর স্পীড বাড়াতে অবশ্যই আপনার

সাইট কে কম্প্রেস করতে হবে যাতে সাইজ ছোট হয়।
সাইজ ছোট হবে সাইট ততো তারাতারি লোড হবে। সাইট
এর সাইজ ছোট করতে দুইটি উপায় আছে।
একটি হল আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট এ gzip অন করতে
হবে। gzip অন করতে এই লিঙ্ক এ জান।
http://howtrickbd.gq/wp-admin/options.php
এখানে http://howtrickbd.gq/ এর জায়গায় আপনার সাইট এর
লিঙ্ক দিন। এখনে দেখবেন অনেক অপশন আছে।
নিছের দিকে গেলে gzip নামে একটা অপশন পাবেন
এখানে ০ এর জায়গায় ১ দিন।
৩। ক্যাশ প্লাগিন ব্যবহার করা। এটিও একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটার।
অনেক ক্যাশ প্লাগিন আছে এর মধ্যে w3 total cache &
wp-super cache সবচেয়ে ভালো বলে আমি করি। আপনার
যদি স্ট্যাটিক সাইট হয় মানে হল তেমন কোন পরিবর্তন
করতে হয় না তাহলে বলবো wp-super cache প্লাগিন টা
ব্যবহার করেন। আর যদি আপনার সাইট ব্লগ হয় তাহলে w3
total cache এইটা ব্যবহার করুন। এর কারন হল ব্লগ সাধারনত
পোস্ট এ ভিউ কাউন্টার ব্যবহার করা হয় যে একটা পোস্ট
কতবার পড়া হয়েছে। আপনি যদি w3 total cache ব্যবহার
করেন তাহলে এই ভিউ কাউন্টার ঠিক মতো কাজ করবে
কিন্তু যদি wp-super cache ব্যবহার করেন তাহলে পোস্ট
ভিউ করলে যে কাউন্টার সংখ্যা এক এক করে বারবে সেটা
বারে না। এর কারন হল এই প্লাগিন আপনার সাইট এর প্রতিটি
পেজ বা পোস্ট কে একটা এইচটিএমএল পেজ বানিএ এ
ফেলে ফলে নতুন কোন পোস্ট পাবলিশ বা ক্যাশ ডিলিট না
করলে এর সংখ্যা বারে না। তবে কোন পোস্ট পাবলিশ বা
ক্যাশ ডিলিট করলে একবারে বারে।
৪। সিএসএস এবং জাভা স্ক্রিপ্ট ফাইল গুলো কম্প্রেস এবং
মিনিফাই করে ব্যবহার করা। এই কাজটি ম্যানুয়ালি করলে
সবচেয়ে ভালো হয়। গুগল সার্চ দেন অনেক সাইট
পাবেন সেখানে আপনার সিএসএস এবং জাভা স্ক্রিপ্ট ফাইল
Minify এবং Compress করতে পারবেন।
৫। যত পারেন HTTP request সংখ্যা হ্রাস এর চেষ্টা করা।
৬। যেগুলো ছবি আপলোড করবেন সেগুলো আগে
অপ্টিমাইজ করে নিবেন। এর জন্য অনেক টুলস এবং সাইট
আছে তবে আপনি ফটোশপ ব্যবহার করতে পারেন। এটা
অনেক ভালো। তবে ব্লগ সাইট হলে তো এটা সম্ভব না
তাই অনেক প্লাগিন আছে যেটা কোন ছবি আপলোড এর
সময় সাইজ অনেক কমিয়ে দেয় অটোমেটিক ভাবে।
যেমন, Smush.it, Pngcrush এবং Imagemagick অন্যতম।
৭। স্টাইল সীট সবসময় হেডার এ এবং স্ক্রিপ্ট ফাইল সবসময়
ফুটার এ রাখার চেষ্টা করা। এর উপর সাইট এর স্পীড অনেক
খানি নিরভর করে।
৮। কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (CDN) বাবহারের চেষ্টা
করা এতে সাইট এর স্পীড অনেক বেরে যায়। তবে এটা
সবার পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
আরও অনেক ব্যাপার আছে তবে আপনি যদি এইগুলো
করতে পারেন আশা করা যায় আপনার সাইট এর স্পীড নিয়ে
আর চিন্তা করতে হবে না।
NewTopicBD.Com

Leave a Reply