শুনতে অবাক লাগছে না??!
ইন্টারনেট কি রুটি সমুচা যে চাইলেই আপনি ঘরে বসে বানাবেন?
আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন যিনি ইন্টারনেট কিংবা অনলাইন বিষয়ে খুবই তুখোড় তিনিই এই প্রশ্নটার সঠিক উত্তর দিতে প্রায়ই বিব্রত হবেন যে “ইন্টারনেট জিনিসটা আসলে কি?”
ইন্টারনেট এর প্রচলিত সংজ্ঞা বাদে আমি সহজবোধ্য বলছি যে “ইন্টারনেট মানে এক প্রকার জাল যাতে সকল অনলাইনের মাছ আটকা পড়ে” এখানে অনলাইনের মাছ হলো সেইসকল কম্পিউটার যা একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে, মোদ্দাকথা ইন্টারনেট মানে একটা অদৃশ্য নেটওয়ার্ক।
নিজে নিজেই ইন্টারনেট তৈরী করুন:
আমি আপনাকে কোন ফাইবার টেকনোলজি শেখাচ্ছি না বরং আপনাকে একটা নেটওয়ার্ক তৈরী করার অনুপ্রাণন যোগাচ্ছি মাত্র। যেমনটা 87.5 Mhz – 108 Mhz এর এফএম তরঙ্গ কিন্তু এক প্রকার নেটওয়ার্ক, কিন্তু এখানে কনভারসেশন হয় one-to-us অর্থাৎ এমএম এর রেডিও জকি কথা বলে আমরা শুনি কিন্তু আমরা যা বলি সেটা কিন্তু জকি শুনতে পান না। কিন্তু ওয়াকিটকিতে কথা কথা হয় pair-to-pair যেখানে এটা একইসাথে গ্রাহক ও প্রেরক যন্ত্র।
আবার টেলিফোনও কিন্তু এমন নেটওয়ার্ক বটে তবে তাকে আর যাই হউক ওয়্যারলেস অন্তত বলা চলে না।
উফফফফ…এত্তোসব বকবক বাদ দিয়ে কাজের কথায় আসি।
আমাদের সবার মোবাইলেই Bluetooth এবং Wifi – Hotspot আছে যেটা কিন্তু এক প্রকার নেটওয়ার্ক সিস্টেম।
এই যে আপনি ফাইল ট্রান্সফার করেন ( তা হউক ব্লুটুথ কি শেয়ারইট তথা ওয়াফাই এর মাধ্যমে) এটাও এক প্রকার নেটওয়ার্ক কনভারসেশন। আপনি ডাটা এক মোবাইল হলে আরেক মোবাইলে ট্রান্সফার করার এই প্রসেসটিই এক প্রকার ক্ষুদ্রতর প্রাইভেট ইন্টারনেট।
ভাবছেন মজা করছি??? টাইটেলে বললাম কি আর শেখাচ্ছি আপনাকে ব্লুটুথ আর ওয়াইফাই!!
ফ্রি চ্যাটিং, ফ্রি কল, ফ্রি ভিডিও কল!!
এইবার হয়তো একটু আপনার মনের মতোন সাবজেক্টে আসলাম তাইনা? আপনি FireChat এবং The Serval Mesh এপ্স হতে এমনি ফ্রি চ্যাটিং, ফ্রি কল, ফ্রি ভিডিও কল করতে পারবেন।
দুইটি মোবাইলে একই নেটওয়ার্কের আওতায় পরস্পর ওয়াইফাই-হটস্পট কিংবা ব্লুটুফ দ্বারা যুক্ত থাকলে তারা একে অপরের সাথে এমন চ্যাটিং,কলিং কনভারসেশন করতে পারবেন।
ডাউনলোড লিংক
ServalMesh → https://m.apkpure.com/the-serval-mesh/org.servalproject
FireChat→ https://m.apkpure.com/firechat/com.opengarden.firechat
এইটা তো আমি আগেই জানতাম তাহলে এতো প্যাচানোর দরকার কি ছিলো???
আপনার কি মনে হয় ইন্টারনেট খুব সহজ কিছু? সমুদ্র তলে কগো ফাইবার ক্যামনে প্যাচিয়ে প্যাচিয়ে যুক্ত সেটা ভাবুন তো একবার। এই সিম্পল লজিক নিয়েও আপনি লিজেন্ডারি কিছু করে ফেলতে পারেন তাইতো এমন ত্যানা প্যাঁচানো আরকি।
মোবাইলের ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই-হটস্পট রেঞ্জ তো খুব কম তাহলে??
কিছু ডিভাইস আছে (সকল এনড্রোয়েডের বেলায় প্রযোজ্য না) তাতে ডিভাইসের ওয়াইফাই রেঞ্জ কিছুটা হলেও বাড়ে যা হতে আপনি উপকৃত হতে পারেন যেমন এনড্রোয়েড এডাপটর।
তবে আপনি চাইলে এমন একটি মিনি সার্কিট বানাতে পারেন যাতে আপনার ডিভাইসের ব্লুটুফ/ওয়াইফাই-হটস্পট রেঞ্জ বাড়ে এটা ফ্রিকোয়েন্সি বুস্টার এর মতোই স্ট্যাকচারাল সার্কিট হবে।
ধুর ধুর….মোবাইল খানা নষ্ট করবো নাকি?!
হুমম এটা আসলেই ভাবনার বিষয় আর সবসময় মোবাইলের সাথে তো আলাদা একটা যন্ত্রাংশ লাগিয়ে স্মার্ট হওয়া যায়না তাইনা?
তাই এমন ক্ষেত্রে আপনি নিজেই একটা টাওয়ার বানাতে পারেন ( হাসবেন না কিন্তু) যেখানে আপনার ডিভাইস এভাবে যুক্ত থাকবে Your Mobile →Wifi-Hotspot/ Bluetooth → Tower → Paired Device এখানে টাওয়ারটাই হলো সিগনাল বুস্টার( মূলত সিগন্যাল এমপ্লিফাই করে প্রেরন করে) এর মতোই কাজ করবে।
এমন আইডিয়া কি ভবিষ্যতে কোন মোটিভেশন হিসেবে কাজ করবে??
আফসোস এমনটা আমার প্রিয় বাংলাদেশ কোন কাজে লাগাবে না কেননা যেখানে আইটি বলতে IT মানে ইট বুঝি আর স্যাটেলাইট চড়িয়ে অন্য দেশকে আকাশ ভ্রমণ করায় সেখানে দারুন কিছু আশা করা পাপ!
তবে আশা করি ব্যক্তিগতভাবে এমন টেক ফিকশান আপনাকে ভবিষ্যতে একটু হলেও মোটিভেট করবে।
যাই হউক এই পোস্ট’টি নিতান্তই এক প্রকার টেক ফিকশান তাই হাসিতে যতোই বিদ্রুপ থাক সেটা মেনে নিতে আমি বাধ্য তবে আপনি যদি পোস্টের একটুকু অংশও বুঝতে সামর্থ্য হন( কিংবা বোঝাতে সামর্থ্য হই) তবেই আমি কৃতজ্ঞ
ধন্যবাদ
দুইটা কাজ দুইটা আলাদা আলাদা এ্যান্টেনাও করতে পারে কিংবা আলাদা আলাদা দুটো এ্যান্টেনা একই টাওয়ারেও যুক্ত থাকতে পারে।
সোজাকথাতে টাওয়ার বলতে পারেন এ্যান্টেনা ক্যারিয়ার (যদিও আমরা মনে করি টাওয়ার মানেই এ্যান্টেনা কার্যত তা আংশিক সত্য)
মূলত আপনার এনড্রোয়েডের পিছে কালো টেপ দেখতে পাবেন যেটার মাঝে দেখবেন ওয়্যার( এটা এ্যান্টেনার কাজ করে) পাবেন। এই ক্ষুদ্র সিগন্যাল বুস্টারে গিয়ে এমপ্লিফাই হয়ে ঐ বুস্টার এ্যান্টেনার দ্বারা ছড়িয়ে পড়বে একইসাথে রিসিভার এর ক্ষেত্রেও তাই। মূলত এই এ্যান্টেনার বিষয়টি টাওয়ার শব্দে বোঝানো হয়েছে মাত্র
এটা টেক ফিকশন তাই বিষয়টা একটু হিউমার নিয়েও বিবেচনা করার অনুরোধ রইলো
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমার কিন্তু পোস্ট নতুন কিছু শিখা হয়েছে এবং কাজেও লাগাব। ইনশাআল্লাহ
৬ষ্ঠ পর্ব করতে চাচ্ছিলাম ফেসবুক আইডি হ্যাকিং নিয়ে যেখানে একটি আইডি হ্যাক করে প্রমাণসহ পোস্ট করবো।
কি ভাবছেন?
সেখানেও হয়তো কিছু মানুষ বলবে এটা হয়তো সাজানো হ্যাকিং!
হ্যা তাই ডেমো স্বরূপ নিজেরই একটি আইডি হ্যাক করে ( মূলত এটাকে হ্যাক নয় বরং এক্সেস নেওয়া বললেই ভালো হয়) পোস্ট করতে চাইছি, জানিনা সবাই কিভাবে নিবে?!
আসলে এমন কিছু মানুষ থাকবে যারা সব সময় বিপরীত দিকে চলে উজানের দিকে তাকিয়ে হাসবে, যদিওবা তারা না বুঝেই মাঝ নদীতে চলে যাচ্ছে নিয়ত, এটাই সহজাত স্বাভাবিক।
আর হ্যা, এতোটুকু আগে থেকে বলি যে এটা Mac এড্রেস হতে হ্যাকিং বিষয়ক টিউটোরিয়াল হবে।
এসব বাদ দিয়ে বলি, আসলেই আমার এই পোস্ট’টি রম্য হয়ে গেল তাইনা? যেখানে সোফিয়ার মতো রোবট অপারেটেং সিস্টেমে চলে সেখানে গুগল এসিটেন্স হতে তাও আবার ওয়্যারলেস ভাবে ( সোফিয়ার পিছে নাকি তার ছিলো??) করা সম্ভব খরচ মাত্র ৫০/৬০ টাকা হবে।তাহলে কোটি টাকা খরচ করে হাসি কেনার কি দরকার??
এইটা কিন্তু গুরুতর প্রশ্ন দেখবেন কিন্তু কেউ হাসবে না…….
আর হ্যাঁ Facebook ID access নিয়ে পোস্ট করতে পারেন। তাতে কিছুটা হলে নতুন বিষয় শিখা হবে।
তবে আপনি FireChat ও ServalMesh এর মাধ্যমে আপনি দুইটি মোবাইলে কেবলমাত্র ব্লুটুথ কিংবা একটাতে হটস্পট ও অন্যটাতে ওয়াইফাই চালু থাকলে ( কোন ডাটা কানেকশন লাগবে না) এর মাধ্যমে ফ্রি তে চ্যাটিং+ ভয়েজ কল + ভিডিও কল করতে পারবেন।
আর ফাইল ট্রান্সফার এর বিষয়টাতে শেয়ার ইট মাধ্যমে করা যায় তা তো জানেনই এটাও অনেকটা তেমনি ভাইয়া
Vabona bohudur….. Obosso ta upokari o bote, tobe nij udduge start kore sofolota dekhate hobe, than ta publish korle je keo ta grohon korbe.
Otherwise auther vai ajibon hasir patro hoben.
আরে ভাই, ব্লুটুত /হটস্পট দিয়া কত্ত app আসে হুদাই চেট ভিডিও কল দেয়া জায়! এগুলা দিয়া আমরা কি করবো?
চ্যাটিং, ভয়েস কলিং কিংবা ভিডিও কল তাইতো? তাহলে সেটা যদি ব্লুটুথে / ওয়াইফাইতে হয় তবে সেটা কি সাদৃশ্যপূর্ন নয়?
হয়তো বলতে পারেন যে এভাবে তো ওয়েবসাইট ভিজিট করা সম্ভব নয় তাইনা? অথচ অফলাইন ওয়েবসাইট [ মূলত আপনার মোবাইল/পিসির ড্রাইভ যেখানে হোস্টিং সার্ভার হিসেবে কাজ করবে ] এভাবে এক্সেস ওভার ওয়াইফাই/ব্লুটুথ এর মাধ্যমেও তো সেটাও ভিজিট করা সম্ভবপর!
আর একটি কথা মশা’ই একমাত্র জীব যা ক্ষুদ্রতর হওয়ার কারণে তা কামান-দামান হতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে তাই কামান আনলেও ক্ষতি নেই।
আর এটা টেক হিউমার এবং টেক ফিকশান তাই আপনি আপনার মতামত জানাতেই পারেন যা আমি সম্মান করি।
মূলত এটি আক্ষরিকভাবে না নিয়ে ফিকশান হিসেবে গ্রহন করলেই কৃতার্থ হই
এই পোষ্টের মাধ্যমে আজ অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনাদের মত কিছু মানুষ যারা কাউকে শেখাতে পারেনা, তারা এটাও চায়না যে অন্য কেউ মানুষদের শেখাক। সে কারনে আপনি পোষ্টে আজেবাজে মন্তব্য করছেন।
এবং আপনি যে কমান্টে রবট সোফিয়ার কথা বলেছেন তখন খুভ ভাল লাগছে,,,,
চালিয়ে যান,, কে কি বলতেছে তা যেনে লাভ নাই ভাই,,,
একটা কথা মনে রাখবেন ভাই,,
আপনি যখন ভাল কিছু উপহার দিতে যাবেন তখন অনেকে সেটা ফেলে দিবে,,,
কিন্তু যখন আপনি থাকবেন না তখন আবার তারা আপনাকে খুজবে,,
,
আর একটু বলি এই দেশে হাডুডু খেলে কেন জাতিয় খেলা যানেন কারন এই দেশের মানুষ চায় না কেউ বড় হোক,,,
যদি আমার কথা পরে কারো মনে কোন কষ্ট হয় তাহলে যদি পারেন ক্ষমা করে দিয়েন,,,।
MRI.RK420
আর আপনার নিকট আমি কৃতজ্ঞ আপনার এমন মহানুভব মন্তব্যের জন্য যার জন্য ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য বটে।
শুভরাত্রি ভাইয়া আমার
আর চলার সময় একটু খেলায় করে চলবেন,,,
আর সফলতার জন্য অপেক্ষা করবেন,,
কান পেতে থাকবেন কারন সফলতা আপনার দরজায় খুভ আস্তে টুকা দেয়,,,