ছবি কেবলমাত্র একটি ছবিই নয়। এই ছবি সময়কে আটকে রাখে,একটি গল্পকে ধারন করে।আমরা জীবনে সবাই কোনো না কোনোভাবে ছবি তুলেছি। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ক্যামেরার ভিন্নতা এসেছে।হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই এখন হাই রিজ্যোলিউশনের ছবি তোলা যায়।তাছাড়া ৩৬০° ক্যামেরা,অ্যাকশন ক্যামেরা ছবি তোলায় নতুনত্ব যোগ করেছে।

যেকোনো ছবিতে ফ্রেমিং,অ্যাপারচার,কালার গ্রেড সহ কয়েকটি ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।একটি ছবি কত প্রানবন্ত,কত কনট্রাস্ট এর সেটির পিছনে অন্যতম ভূমিকা রাখে কালার গ্রেড।

সাধারনত যারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার আছেন, তাদের তোলা ছবি raw ফরম্যাটের হয়। পরে সেখানে কালার গ্রেডিং এর মাধ্যমে সেটিকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়।

তবে কালার গ্রেডিং করা ক্রিয়েটিভিটি এর উপর নির্ভর করে।তাছাড়া বেশ কিছু টেকনিক্যাল নলেজ যাদের আয়ত্বে আছে তাদের এডিটিং ভালো হয়ে থাকে।সাধারনভাবে যারা ছবি তোলে তারা চাইলে preset দিয়ে ছবি এডিট করতে পারে।তবে সবসময় অন্য ক্রিয়েটরদের preset পাওয়া যায় না।ফলে আমরা তাদের মতো নিজেদের ছবি color grade করতে পারি না।

আজকে আমি পরিচিত করাবো এমন একটি ai ইন্টিগ্রেট করা অ্যাপের সাথে যেটি এক ছবির কালার গ্রেড অন্য ছবিতে এপ্লাই করে দিতে পারে।এর ফলে আপনি যদি Instagram,Facebook এ কোনো চমৎকার কালার গ্রেডিং করা কোনো ছবি দেখেন preset ছাড়াই সেই ছবির কালার টোন copy করতে পারবেন।

তো চলুন, এটির টিউটোরিয়াল শুরু করা যাক।

এই চমৎকার অ্যাপটির নাম wink

আপনারা প্লে স্টোরে wink নামে সার্চ করলে এটি চলে আসবে। এটির সাইজ ২০৮ মেগাবাইট ডাটা সহ। এন্ড্রয়েড ৮ এর উপর সকল ডিভাইসে এটি কাজ করবে।তাছাড়া নিচের লিংক থেকে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারেন।
the https://play.google.com/store/apps/details?id=com.meitu.wink

অ্যাপটি ওপেন করার পর নিচের দিকে more এ‌ ক্লিক করবেন। 🟢অবশ্যই ডাটা কানেকশন অন করে।সেখানে দেখবেন অনেকগুলো ফিচার দেয়া আছে। অ্যাপটিতে ফিচারের কমতি নেই।

এই ইন্টারফেসের নিচের দিকে স্ক্রল করবেন।সেখানে দেখবেন color match নামে একটি অপশন দেয়া রয়েছে।

এই কালার match অপশনে ক্লিক করুন। এবার আপনার কাজ আপনি যে ছবিটিতে কালার গ্রেড করতে চান সেটি ইমপোর্ট করা।এখানে ক্লিক করলে আপনার গ্যালারির ছবি ওপেন হবে।সেখান থেকে ছবিটি সিলেক্ট করুন।

এরপর এ ধরনের ইন্টারফেসের দেখা পাবেন।
🟢🟢সেখানে আপনারা যেই ছবি থেকে থেকে কালার কপি করতে চাইবেন সেটি ক্লিক করে নিন।
তাহলে দেখবেন ai তার কাজ শুরু করে কালার এপ্লাই করে দিয়েছে।

দেখুন ai এপ্লাই করার পর ছবির কালার পরিবর্তন হয়েছে। উপরে save button ক্লিক করলেই সেটি save হয়ে যাবে।

রেফারেন্স ইমেজ



এআই এপ্লাই করার আগে পরে ইমেজ


Ai টি বেশ ভালো বলা যায়। সম্পূর্ণরূপে‌ অ্যাকুরেট ছবির দেখা না পেলেও চলনসই ছবি পাওয়া যায়।উপরের ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। তাছাড়া অ্যাপটির অন্যান্য বেশ কিছু চমৎকার tools ও রয়েছে। আপনারা চাইলে সেগুলো ও এক্সপ্লোর করতে পারেন।

তো আজ এই পর্যন্তই। দেখা হবে নতুন কোনো টিউটোরিয়াল নিয়ে। ট্রিকবিডিতে সাথেই থাকুন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Reply