ভিনগ্রহের প্রাণীদের ব্যাপারে ধারণা আছে কমবেশি সবারই। অনেকেই এসব কথা হেসেই উড়িয়ে দেন। কিন্তু আসলেই যদি একটি ইউএফও এসে পড়ে আপনার সামনে, তখন কী করবেন ভেবেছেন কখনো?
দেখে নিন ইউএফও দেখা যাবার এমন সব ঘটনা, যা পড়তে গিয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হবে আপনার বিশ্বাস। এবং হ্যাঁ, ভয়ও পেতে পারেন!
১) কোইয়ামে ক্র্যাশ
১৯৭৪ সালের ২৫ আগস্ট, টেক্সাস থেকে ছোট একটি প্লেন মেক্সিকোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এ সময়ে ইউএস এয়ার ডিফেন্সের রাডার গালফ অফ মেক্সিকোর ওপর দিয়ে যাওয়া একটি ধূমকেতুর ওপর নজর রাখছিলো। ঘণ্টায় দুই হাজার মাইল বেগে যেতে থাকা এই “ধূমকেতু” হঠাৎ করেই ছোট এই প্লেনের কাছাকাছি এসে দিক পরিবর্তন করে ফেলে। ইউ এস বর্ডারের ৪০ মাইল দক্ষিণে কোইয়ামে নামের এক মরুময় শহরে নেমে যায় এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় তা। এর এক ঘণ্টার মাঝে জানা যায় সেই হরে একটি এয়ারক্রাফট ক্র্যাশ করেছে। মেক্সিকান রিকভারি টিম গিয়ে দেখে, কয়েক মাইলের ব্যবধানে একটি নয় বরং দুইটি বিমান সেখানে পড়ে আছে। সাথে সাথেই মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ এগুলোর ব্যাপারে মুখ খুলতে নিষেধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে। কিন্তু তাদেরকে না জানিয়েই ইউএস মিলিটারি সেখানে উপস্থিত হয়। স্থানীয়রা বলে, তার পরের দিনই ইউএস মিলিটারি একটি সিভিলিয়ান প্লেন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেয়, আর হেলিকপ্টারে করে একটি অজানা এয়ারক্রাফট উড়িয়ে নিয়ে চলে যায়।
২) মাওরি আইল্যান্ড ইউএফও – ১৯৪৭ সালের ২১ জুন, হ্যারল্ড ডাল কাঠ কাটছিলেন মাওরি আইল্যান্ডের দক্ষিণ দিকে। এ সময়ে হঠাৎ করে তিনি দেখেন “ডোনাট” আকৃতির ছয়টি উড়ুক্কু যান দিগন্তের দিক থেকে উড়ে আসছে। জানা যায়, এই যানগুলো পানির ৫০০ ফুট উপরে এসে থেমে যায়। এর মাঝে একটি যান একটু এলোমেলোভাবে উড়ছিল। এই যানটি থেকে ধাতব, টকটকে লাল, জ্বলন্ত এক বস্তু ফেলা হয় বীচের ওপর। তিন দিন পর একই জায়গায় নয়টি একই ধরণের ইউএফও দেখা যায়। পরদিন সকালে একটি B-52 বম্বার হ্যারল্ড ডালের পাওয়া সেই রহস্যময় ধাতু নিয়ে আকাশে ওড়ে। কিন্তু ওড়ার ২০ মিনিটের মাথাতেই তা বিস্ফোরিত হয়। মারা যায় দুইজন পাইলট।
৩) দ্যা ম্যানটেল ইনসিডেন্ট – ১৯৪৮ সালের ৭ জানুয়ারি, কেন্টাকির ফোর্ট নক্স এলাকায় আকাশে দেখা যায় একটি অজানা বিমান। সাংবাদিকেরা রিপোর্ট করেন যে একটি সবুজ কুয়াশার স্তুপের পেছন থেকে বেরিয়া আসছিলো লাল আগুনের হল্কা। একে তাড়া করতে আকাশে ওড়ে একটি P-51 মাসটাং। কিন্তু ঘণ্টায় ৫০০ মাইল বেগে ধাবিত হয়ে ইতোমধ্যেই এই ইউএফও হারিয়ে যায় মেঘের আড়ালে। এটা এতো উপরে চলে যায় যে একে ধাওয়া করা বিমানগুলো সব হাল ছেড়ে দিয়ে নিচে চলে আসে। কিন্তু ম্যানটেল নামের একজন অফিসার একে ধাওয়া করতে গিয়ে এতো উপরে চলে যান যে অজ্ঞান হয়ে প্লেন ক্র্যাশ করে মারা পড়েন তিনি। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি রেডিওতে বলে যান, তিনি দেখতে পেয়েছেন এমন এক বিমান যা “ধাতব এবং বিশাল আকৃতির”।
৪) দ্যা কিনরস ইনসিডেন্ট – ১৯৫৩ সালের ২৩ নভেম্বরের সন্ধ্যা, লেক সুপিরিয়রের ওপর উড়ন্ত এক বস্তু ধরা পড়ে রাডারে। কিনরস এয়ার ফোর্স বেস থেকে একটি F-89C স্করপিয়ন পাঠানো হয় এর পেছনে। এদের আঁচ পেয়ে হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে সেই ইউএফও। কিন্তু সে দিক পরিবর্তন করে দূরে চলে যায় না,
৫) ফ্রেডরিক ভ্যালেন্টিক – ফ্লাইং সসারের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিলেন ফ্রেডরিক ভ্যালেন্টিক। ১২৫ মাইল ট্রেইনিং ফ্লাইটে যান তিনি, একা একা। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাস স্ট্রেইত এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাবার সময়ে এক জরুরী সাহায্য সংকেত আসে তার সেসনা বিমান থেকে। ১৯৭৮ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭:06 টায় তিনি রিপোর্ট করেন, একটি অজানা যান তার বিমানকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এর পৃষ্ঠ ছিলো ধাতব, অদ্ভুত এক সবুজ আলো ছড়াচ্ছিলো সে। তিনি জানান এই ইউএফও তার বিমানের মাত্র ১০০০ ফুট ওপরে উড়ছিলো। তার বিমানের এঞ্জিন সমস্যা করতে শুরু করে। হঠাৎ তিনি বলেন “এটা তো কোনো বিমান নয়!” এটা বলার পরই একটি ধাতব শব্দ হয়ে তার সাথে রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জানা যায়, সে রাতে ওই এলাকায় আকাশে একটি অদ্ভুত সবুজ আলোর ঝলকানি দেখা গিয়েছিলো।
3 thoughts on "পৃথিবীর আকাশে ভিনগ্রহের যান (UFO) ! জেনে নিন ৫টি অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনা… [with Video]"