বন্ধুরা প্রচন্ড শীত পরেছে।এই শীতের মাঝে কি আর লেপের নিচ থেকে বের হতে ইচ্ছা করে।তবুও আমি আবারও চলে এলাম শুধু মাত্র আপনাদের জন্য নতুন সব তথ্য নিয়ে।আমি জানি এই ঘন কুয়াশার মাঝে আপনাদের আর কাজে মন বসছে না। মন শুধু চাইছে একটু আরাম আর বিনদোন।বিনদোনের জন্য সিনেমার কোনো জুরি নেই।তাই আজকে আমি আপনাদের জানাব সিনেমা আবিষ্কারের কথা……………..

 

সিনেমা বা চলচিত্র মানুষের মনোরঞ্জনের এক সস্তা মাধ্যম।বিশ্বের প্রায় আড়াই লক্ষ প্রেক্ষাগৃহে প্রতিদিন প্রয় কোটি কোটি লোক আজ ছবি দেখে।চলচিত্রের বর্তমান অবস্থায় আসতে প্রায় একশ বছর লেগেছে।ক্যামেরা, আলোকচিত্র বিদ্যা এবং আলোক অভিক্ষেপণ যন্ত্রের বিকাশ সাধন চলচিত্রের উন্নতি সাধনে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।চলচিত্রের কাহিনি শুরু ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে।মানুষ তখন ছবি খোদাইকৃত ঘূর্ণায়মান চাকা তৈরি করেছে।এ চাকাগুলোকে বলা হতো জীবনচক্র।এ চাকাগুলো এত জোরে ঘোরানো হতো যে খোদাইকৃত ছবিগুলো নরছে বলে মনে হতো।চলচিত্রের জন্ম প্রকৃতপক্ষে ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে।১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে টমাস আলভা এডিসন কিনেটোস্কোপ নামে এক যন্ত্র আবিষ্কার করেন।এর এক ছিদ্র পথে একবারে একটা মাত্র লোক যন্ত্রের ভিতরের ছবি দেখতে পারতো।ছবিগুলো সাধারণত হতো ঘোড়া দৌড়ের অথবা বাচ্চাদের সাঁতার কাটার।দ্য গ্রেট ট্মেন রবারি নামে পৃথিবীর প্রথম ছায়াছবি তৈরি হয় ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে টমাস আলভা এডিসনের গবেষণাগারে।ঘটনাটি ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর।প্রথম ছায়াছবি ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকার পিটাসবার্গ শহরে দেখানো হয়।এর কিছুদিন পরে টমাস আরামাথ নামক এক ব্যক্তি চলচিত্রের সার্বজনীন প্রদশর্নীর জন্যএক আলো অভিক্ষেপক যন্ত্র তৈরি করেন।এডিসনও এ যন্ত্রের অনেক উন্নতি সাধন করেন।তখনকার দিনে যে চলচিত্র তৈরি হতো তা হতো নির্বাক।আলো অভিক্ষেপক যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে ২৪টি চিত্রকে পর্দায় নিয়ে আসত।এ ছবিগুলো একের পর এক দ্রুতগতিতে হাজির হতো আর তার ফলে ছবিগুলো নরছে বলে মনে হতো।সেলুলোজ ফিল্মের ওপর এ ছবিগুলো প্রথম তোলা হতো।তারপর সময় যত পার হয়ে চললো সিনেমা শিল্পেও তত উন্নতি হতে লাগলো।১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকায় প্রথম সুরেলা ছায়াছবি ডন জুয়ান তৈরি হয়।প্রথম সবাক চিত্র দ্য জাজ সিঙ্গার রি করেন ওয়ারনার ভ্রাতৃবর্গ ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকাতে।দাদা সাহেব ফাল্কে ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ভারতীয় ছায়াছবি রাজা হরিশচন্দ্র তৈরি করেন।রঙিন ছায়াছবির আর্বিরভাব চলচিত্র শিল্পের ইতিহাসেআর এক নতুন পদক্ষেপ।চলচিত্র দেখার সবচেয়ে বেশি আগ্রহ তাইওয়ানবাসীদের।রাশিয়াতে প্রায় দেড় লাখ প্রেক্ষাগৃহ আছে।পৃথিবীর সব থেকে বড় ও উন্মুক্ত প্রেক্ষাগৃহ হলো পশ্চিম বার্লিনে।এ প্রেক্ষাগৃহে ২২ হাজার লোক এক সঙ্গে বসে ছবি দেখতে পারে।পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম ছবি দ্যহিউম্যান কনডিশন ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে জাপানে দেখানো হয়।এ ছায়াছবির একটি শেষ হতে সময় লেগেছিল ৮ ঘন্টা ৫০ মিনিট। বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচিত্রের নাম মুখ ও মুখোশ।
এই টিউনটি পূর্বে এখানে প্রকাশিত .

আমার ব্লগে কিছু লেখক দরকার । কেউ যদি আমার ব্লগে লিখতে চাও তাহলে যোগাযোগ কর

Leave a Reply