আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।
আমার আগের সব পর্ব:-
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ১
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ২
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৩
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৪
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৫
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৬
27.ইবনে তোফায়েল(প্রথম দার্শনিক উপন্যাস রচয়িতা)
ইবনে তােফায়েল ১১০০-২০ খৃস্টাব্দের মধ্যে আন্দালুসিয়ার গুয়েডিক্সে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ইবনে রুশদের গুরু।তার পুরো নাম আবু বকর মুহম্মদ ইবনে আব্দুল মালিক ইবনে মুহম্মদ ইবনে তোফায়েল আল কুসী আল আন্দালুসী। তবে তিনি ইবনে তোফায়েল নামে পরিচিত। তিনি একজন মুসলিম লেখক, উপন্যাসিক, দার্শনিক, ইসলামিক ধর্মতত্ত্ববিদ ছিলেন। পশ্চিমাবিশ্ব তার নাম বিকৃতি করে রেখেছে “আবুবাসের”।
তিনি গ্রানাডার অদূরে গুয়াদিক্সে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ইবনে বাজাহ (অ্যাভেম্পেস) দ্বারা শিক্ষা লাভ করেছিলেন ।তাঁর পরিবার ছিলেন আরব কিয়েস উপজাতি থেকে ।
তাঁর মনীষা ও চিকিৎসা খ্যাতির জন্য ১১৪৪-৪৫ খৃস্টাব্দে তিনি কিউটা ও তাঞ্জিয়ারের গভর্নরের সেক্রেটারীর পদ লাভ করেন।
পরবর্তীকালে তিনি মােওয়াহেদ সুলতান আবূ ইয়াকুব ইউসুফের পারিবারিক চিকিৎসক নিযুক্ত হন। তিনি তাঁর মন্ত্রী ছিলেন বলেও অনেকে মনে করেন।এ সময়ে তিনি কবিতা, দর্শন, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিজ্ঞান এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে প্রচুর অবদান রাখেন।
বার্ধক্যের জন্য ১১৮২ খৃস্টাব্দে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং তাঁর শিষ্য ও তরুণ বন্ধু ইবনে রুশদ তদস্থলে চিকিৎসক নিযুক্ত হন।
ইউরোপের এনলাইটেনমেন্ট বা বুদ্ধির বিকাশ ঘটানোর জন্যে মুসলিমদের প্রচুর অবদান রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ আমরা মুসলিম দার্শনিক ইবনে তোফায়েল ও তাঁর ছাত্র ইবনে রুশদের কথা বলতে পারি। বুদ্ধির সাহায্যে কিভাবে স্রষ্টার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়, তা নিয়ে ইবনে তোফায়েল একটি উপন্যাস লিখেছিলেন, যার নাম হলো ‘হাই ইবনে ইয়াকজান’।
হাই ইবনে ইয়াকজান
ইবনে তােফায়েলের ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন তার লিখিত ইতিহাসে প্রথম দার্শনিক উপন্যাস ‘হাই ইবনে ইয়াকজান’ এর জন্য।পাশ্চাত্য জগতে এটি ফিলোসফিকাল অটোডিডাকটাস নামে পরিচিত। মরদেহ ব্যবচ্ছেদের সমর্থক প্রথমদিককার চিকিৎসকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি তা উপন্যাসে উল্লেখ করেন।
ইবনে তোফায়েল ১১৬০ সালে এটি মারাক্কেসে আরবি ভাষায় রচনা করেন।
এর কাহিনি সংক্ষেপে এই যে, হাই ইবনে ইয়াকজান পিতা-মাতাহীন এক শিশুর কাহিনি, যে জানে না নিজের জন্মপরিচয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এক নির্জন দ্বীপে হরিণীর দুধ খেয়ে শিশু হাই বড় হতে থাকে। সে শেখে পশুদের ভাষা।
একদিন সে একটি লাঠির সন্ধান পায় এবং সেই লাঠির কার্যকারিতা ও হাতের গুরুত্ব বুঝতে পারে। লাঠি ও হাতের ব্যবহার শিখে সে শিকার করাও শেখে। এরই মধ্যে হঠাৎ হরিণীটি মারা যায়। হাই শোকে বিহ্বল হয়, তার ভেতর জাগে মৃত্যুভাবনা। হাই পাথরখণ্ড দিয়ে মৃত হরিণীটির শরীরের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন করতে করতে এই ধারণায় উপনীত হয় যে, দেহের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে হৃদপিণ্ডই হচ্ছে প্রধান, যা প্রাণশক্তি সঞ্চার করে।
হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হলেই প্রাণীর মৃত্যু ঘটে এবং প্রাণশক্তি আত্মা দেহকে ছেড়ে চলে যায়। হরিণীটি ক্রমশ কঙ্কাল হতে থাকলে হাই দাঁড়কাকের মাধ্যমে শিখে নেয় কীভাবে হরিণীটিকে মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে। একদিন সে দেখতে পায় শুকনো ডালের ঘর্ষণের ফলে মৃত গাছে আগুন জ্বলে উঠছে। হাই আগুনকে তার বাসস্থানে নিয়ে আসে। এভাবে বাড়তে থাকে তার অভিজ্ঞতা। সে নিজেকে চামড়া ও পশম দ্বারা ঢাকতে শেখে। পাখিদের কাছ থেকে শেখে শন দিয়ে ঘর তৈরির কৌশল।
এভাবে সে দ্বীপের গাছগাছালি, খনিজদ্রব্য, জীবজন্তু ও প্রকৃতিকে যত্নের সঙ্গে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উপনীত হয় জ্ঞানের এমন এক উচ্চতর পর্যায়ে, যা কেবল সাধক, কবি, শিল্পী, বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের পক্ষেই সম্ভব। পর্যায়ক্রমে সে উত্তরণ লাভ করে বৈজ্ঞানিক-দার্শনিক জ্ঞান এবং মরমি অভিজ্ঞতার পর্যায়ে। প্রাকৃতিক ঘটনাবলির বৈচিত্র্য দেখে সে অবাক হয় এবং সব বৈচিত্র্যের মধ্যে এক ঐক্য বা সঙ্গতি লাভের প্রয়াস চালায়। পরিশেষে সমগ্র জগতের মধ্যে এক সর্বব্যাপী ঐক্যের আত্মসন্ধানে সে নিজেকে ব্যাপৃত রাখে। এই জগত সৃষ্টির পেছনে সে এক এককের ক্রিয়া দেখতে পায়। তার ভেতর দুর্বার ইচ্ছার জন্ম নেয় সেই একককে জানার।
এভাবে প্রকৃতির পর্যবেক্ষণ ও অধ্যয়ন থেকে সে সচেতন হয় নভোমণ্ডলের অস্তিত্ব সম্পর্কে এবং প্রয়োজনবোধ করে এক পরম সত্তার অস্তিত্ব স্বীকার করার। সুশৃঙ্খল পৃথিবী ও তার সৌন্দর্য দেখে হাইয়ের অন্তরে এই ধারণা হয় যে, জগতের স্রষ্টা ও পরিচালক সেই সত্তা তার সৃষ্টিজীব থেকে উচ্চতর। তিনি পূর্ণ, স্বাধীন, সর্বজ্ঞ, দয়াবান ও সর্বশক্তিমান। হাই বুঝতে পারে, উন্নত জীবনের জন্য তার কিছু নিয়ম তৈরি ও তা অনুশীলন করা প্রয়োজন। দৈহিক স্পৃহা প্রবৃত্তি ও বিভিন্ন প্রয়োজনে সে সংযমী হয় এবং ভালো-মন্দের মধ্যে বাছবিচার করতে শুরু করে। এভাবেই সে উপনীত হয় উচ্চতম মরমি অভিজ্ঞতার পর্যায়ে। লাভ করে অপরোক্ষ ঐশী জ্ঞান বা দিব্যদর্শন।
একটা সময় এই নির্জন দ্বীপে আফজাল বা আসাল নামের এক ব্যক্তি আসে। আসালের কাছ থেকে হাই জানতে পারে যে, তার নির্জন দ্বীপটির পার্শ্ববর্তী আরেক দ্বীপে বাস করে একদল লোক। তারা ইসলামি বিশ্বাসের স্বীকৃত অনুসারী হলেও পার্থিব আনন্দ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না। আসাল ওই দ্বীপ থেকে এখানে এসেছে নির্জনে ধর্মীয় অনুশীলন ও নৈতিক আত্মোন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে। আসালের কাছ থেকে হাই মানুষের ভাষা শেখে। ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হতে থাকে।
পারস্পরিক ভাব-বিনিময়ে দুজনে বুঝতে পারে, স্বাভাবিক প্রচেষ্টায় অর্জিত হাইয়ের দার্শনিক সত্য এবং আসালের শাস্ত্রীয় সত্য এক ও অভিন্ন। অতঃপর তারা পার্শ্ববর্তী দ্বীপের মানুষদের কাছে এই সত্য প্রচার করতে যায়। কিন্তু উচ্চতর দার্শনিক তত্ত্ব যে জ্ঞান ও সত্যের প্রতীক বলে তাদের অভিমত, তাকে বোঝার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই। শেষে দুজনে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, জনসাধারণের কাছে রূপক ভাষার আবরণে সত্য-মিথ্যা প্রচারে নবিগণ ঠিক ও বিজ্ঞানোচিত কাজটি করেছিলেন। এই হচ্ছে ইবনে তোফায়েলের হাই ইবনে ইয়াকযান উপন্যাসের কাহিনি সংক্ষেপ।
উপন্যাসটি কী বার্তা দিচ্ছে? এই বার্তা দিচ্ছে যে,কোনো মানুষ যদি বনে-জঙ্গলে বাস করে, এবং তার কাছে যদি কোরআন-হাদিস বা কোনো ধর্মের বাণী না পৌঁছায়, তবুও সে তার যুক্তি-বুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহকে চিনতে পারবে।
ইবনে তোফায়েলের এ দার্শনিক উপন্যাসটি ইউরোপে এতো বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে যে, এ গ্রন্থকে তাঁরা একটি তত্ত্ব আকারে হাজির করেছেন। তত্ত্বটির নাম হলো-‘ফিলোসফাস অটোডিডাকটাস’। ইউরোপের বিখ্যাত সব দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীদের চিন্তা ভাবনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে হাঈ ইবনে ইয়াকজান। যেমন, থমাস হবস (১৫৮৮-১৬৭৯), জন ওয়ালিস (১৬১৬-১৭০৩), জন লক (১৬৩২-১৭০৪), আইজ্যাক নিউটন (১৬৪৩-১৭২৭), গটফ্রিড লাইবনিজ (১৬৪৬-১৭১৬), জর্জ বার্কলি (১৬৮৫-১৭৫৩), ডেভিড হিউম (১৭১১-১৭৭৬), ইমানুয়েল কান্ট (১৭২৪-১৮০৪), শোপেনহাওয়ার (১৭৮৮-১৮৬০) সহ আরো অনেকেই ইবনে তোফায়েলের চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। ইউরোপের সাহিত্যের ক্ষেত্রেও এই বইটি অনেক প্রভাব বিস্তার করে।
যেমন, সাইমন ওকলের ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অব হিউম্যান রিজন: এগজিবিটেড ইন দ্য লাইফ অব হাঈ ইবন ইয়াকজান’ প্রকাশিত হওয়ার ১১ বছর পর ১৭১৯ সালে ডানিয়েল ডেফো এটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস ‘রবিনসন ক্রুসো’ (১৭০৮) রচনা করেন।
এখানেও একটি জনমানবহীন দ্বীপের বর্ণনা রয়েছে। এর সাথে হাই ইবনে ইয়াকজানের ধারাবাহিকের মিলের কথা লেখক এন্টনিও প্যাস্টর ‘দি আইডিয়া অফ রবিনসন ক্রুসো’ বইয়ে (১৯৩০) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই ক্লাসিক উপন্যাসে হাই ইবনে ইয়াকজানের লেখক ইবনে তোফায়েলের পদচিহ্ন সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব।
চৌদ্দ শতকে মোসেস রাব্বি নারবোনেনসিস বইটি হিব্রু ভাষায় অনুবাদ করেন। ১৪৯২ সালে ‘মেনিফেস্টো অফ রেনেসার’ রচয়িতা ইতালীয় দার্শনিক জিওভান্নি পিকো ডেল্লা মিরানডোলা (১৪৬৩-৯৪) বইটির সর্বপ্রথম ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করেন। পরে ১৬৫৩ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ প্রাচ্যবিশারদ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এডওয়ার্ড পোকোক জুনিয়র (১৬৪৮-১৭২৭) এবং আরবি ভাষায় একজন প-িত উপন্যাসটি সরাসরি আরবি থেকে ‘ফিলোসফাস অটোডিডাকটাস’ নামে ল্যাটিনে অনুবাদ করেন। ১৬৭১ সালে বইটি আরবি টেক্সটসহ অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত হলে পুরো ইউরোপের বুদ্ধিজীবী মহলে হৈচৈ পড়ে যায়। তখন যুক্তি ও বিজ্ঞান বিকাশের হাওয়া পুরোদমে বইছিল। জার্মান দার্শনিক লিবনিজ (১৬৪৬-১৭১৬) ও ডাচ-ইহুদি দার্শনিক স্পিনোজা (১৬৩২-১৬৭৭) দুজনেই এর দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন। স্পিনোজার উৎসাহে এর সফল ডাচ অনুবাদ (বাউমিস্টার, আম্সটার্ডাম ১৬৭২) এবং লিবনিজের কারণে দুটি জার্মান অনুবাদ প্রকাশিত হয়।
চৌদ্দ শতকে ইতালি ভাষায় বোকাচিও যে ‘ডেকামেরন’ রচনা করেন সেটিও অনেকগুলো ঔপন্যাসিকার সমন্বয় বলতে পারো। কেউ কেউ একে উপন্যাসের স্বীকৃতি দিয়েছেন। ডেকামেরন থেকে ইউরোপের গদ্যভাষার যথার্থ আখ্যান শুরু হয়। তিনি এই গ্রন্থকে Novella storie বা ‘নতুন গল্প’ আখ্যা দিয়েছিলেন। ১৫৬১ সালে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয় উইলিয়াম বাল্ডউইন রচিত Beware the Cat নামক একটি গ্রন্থ। এটি সংক্ষিপ্ত ইংরেজি উপন্যাস হিসেবে স্বীকৃত। এটিকে ছোটগল্পের চেয়ে বড় আকারের একটি ভৌতিক ঔপন্যাসিকা বলতে পারো। এটিকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস হিসেবে ধরা হয়।
ফিলসফাস অটোডিডাকটাসের মূল বিষয় অবলম্বনে আরো যে কয়টি বিখ্যাত বই আছে সেগুলো হলো ব্রিটিশ দার্শনিক ও রসায়নবিদ রবার্ট বয়েলকের (১৬২৭-১৬৯১) ‘দি এসপায়ারিং নেচারালিস্ট’ রচনায় অনুপ্রাণিত করে যার পটভূমিও একটি দ্বীপ। পরবর্তীকালে সুইস দার্শনিক ও লেখক জাঁ-জ্যাকুইস রুশোর (১৭১২-১৭৭৮) ‘এমিল’ (১৭৬২), রুডিয়ার্ড কিপলিং (১৮৬৫-১৯৩৬) এর ‘জাঙ্গল বুক’ (১৮৯৪) এবং এডগার রাইস বারোজের (১৮৭৫-১৯৫০) ‘টারজান’ (১৯১২)।
ইবনে তোফায়েলের হাই ইবনে ইয়াকজান ১৭ ও ১৮ শতকে সমগ্র ইউরোপে বেস্টসেলার বইয়ে পরিণত হয়েছিলো। আজও ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উপন্যাসের অনুবাদ, গবেষণা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইউরোপের প্রায় সবক’টি ভাষায় এর অনুবাদ হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে উর্দু ও বাংলায় এর অনুবাদ হয়েছে। বাংলায় অনুবাদ করেছেন কাজী আখতারুদ্দিন।
১১৮৫ সালে ইবনে তোফায়েল মরক্কোতে মৃত্যু বরণ করেন।