হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের সবাইকে আমাদের এই সাইটে আবারো স্বাগতম জানাই। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে মাঝারি ব্যবসার কয়েকটি আইডিয়ে নিয়ে আলোচনা করবো। তো চলুন শুরু করা যাক।
আমদের দেশে এখন আগের তুলনায় অনেক উন্নতি লাভ করেছে। আর আমাদের দেশের উন্নতি লাভের পেছনে অনেক বড় একটা অবদান রেখেছে এবং এখনো রেখে চলেছে আমাদের দেশীয় ব্যবসা।
ব্যবসার মধ্য মাঝারি ব্যবসা দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করা হবে একটি বুদ্ধিমানের কাজ। কেননা প্রথমেই যদি বড় কোনো ব্যবসা শুরু করা হয় তবে অনেক টাকা খরচ করতে হবে, আর ব্যবসা ঠিক মতো দাড় করাতে না পারলে পরিশ্রমের পাশাপাশি সকল টাকাও বৃথা যাবে। ফলে অনেক টাকার লোকসান হবে। কিন্তু যদি মাঝারি ব্যবসা দিয়ে শুরু করা যায় তবে, বেশি টাকা প্রথমেই ইনভেস্ট করতে হবে না। যে কোনো মাঝারি ব্যবসা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েই শুরু করা যায়।
অনেকেই আছেন যারা প্রথমে মাঝারি ব্যবসা শুরু করতে চান। কিন্তু কি ব্যবসা করবেন সেটা নিয়ে অনেকে চিন্তায় ভুগছেন। আজকের পোস্ট তাদের জন্য।
নিচে কয়েকটি রিক্স মুক্ত ও লাভজনক মাঝারি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ-
1. ডিটারজেন্ট এবং কাপড় ধোঁয়ার সাবান তৈরির ব্যবসাঃ
আগেকার দিনে বেশি উৎপাদনশীল কারখানা ছিল না। মানুষ এখন দিন দিন উৎপাদনশীল খাতে বেশি ঝুঁকছে। কারণ এটা একটা ভালো লাভজনক ব্যবসা এবং এতে কোন রিক্স নেই বললেই চলে। সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবসা শুরু করার পূর্বে আপনি প্রথমে ইউটিউবে গিয়ে সেগুলোর টিউটরিয়াল ভালোভাবে দেখতে পারেন।
এছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে আমাদের দেশে। সেখানে আপনাকে এই সমস্ত কাজ গুলো শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আপনি সেখানে গিয়ে তিন-চার মাসের মত প্রশিক্ষণ নিতে পারেন এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রশিক্ষণ গ্রহন করলে আপনার ব্যবসা শুরু করার পর কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে না।
এ ধরনের ব্যবসায় আপনার সবার প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যে ডিটারজেন্ট বা সাবান তৈরি করছেন তার কোয়ালিটি সবথেকে ভালো হয়। অর্থাৎ কোন রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে খুব ভালো প্রোডাক্ট দিতে পারলে আপনি ব্যবসাও উন্নত করতে পারবেন। আপনি আপনার পণ্য বাজারজাত করার আগে একবার চেক করে নেবেন যেন আপনার তৈরি ডিটারজেন্ট বা সাবান মানুষের কোনোভাবে ক্ষতি করছে কিনা।
2. গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসাঃ
গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা পুরাতন পদ্ধতি হলেও এই ব্যবসাটি আপনি নতুন উপায়ে করতে পারেন। নির্ধারিত রেন্ট এ গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করে মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। আর আপনার যদি নিজস্ব গাড়ি বেশি থাকে সেক্ষেত্রে আয় ও আরও বেশি হতে পারে
এছাড়াও আপনি উবার, পাঠাও, সহজ ইত্যাদি রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে গাড়ি যুক্ত করে খুব ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
3. কিডস প্লে জোনঃ
ঘনবসতিপূর্ণ এবং শহরের ব্যস্ত জীবনে বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা এখন বিলুপ্ত প্রায়। আপনি চাইলে শুরু করে দিতে পারেন নিজের কিডস প্লে জোন।
বর্তমানে অনেক মার্কেটে কিডস প্লে জোন এর প্রয়োজন রয়েছে। আর সেসব প্লে জোন থেকে মাসিক কয়েক লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য বেশি পরিমাণ টাকা প্রয়োজন হয় না। আনুমানিক ৫০,০০০ টাকা দিয়ে শুরু করা যায় এই ব্যবসা।
প্রাথমিকভাবে আপনাকে বাচ্চাদের খেলাধুলার খেলনা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে হবে। এবং যদি ইনডোর প্লে জোন হয় তাহলে রুমের ডেকোরেশন খুব ভালোভাবে করতে হবে।
4. উপহারের দোকানঃ
আজকাল উৎসব ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান সর্বদা লেগেই থাকে। এইজন্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়, উপহার অবশ্যই নিয়ে যেতে হয়। যার চাহিদা সর্বদা কমবেশি লেগেই থাকে। এইজন্য যদি আপনি একটি উপহারের দোকান তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে নিত্য নতুন উপহার সাজিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে আপনার দোকানটিও মাঝারি ব্যবসার অন্তর্গত হবে।
যদি আপনার এলাকায় ভালো উপহারের দোকান না থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। যেখানে অল্প দিনে আপনি ভালো পরিমাণ লাভ এবং সফলতার, মুখ দেখতে পাবেন।
আজকাল অনলাইনে যে সমস্ত উপহার গুলো কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো বেশিরভাগ সাধারণ উপহারের দোকানে পাওয়া যায় না। তাই আপনি যদি সেই সমস্ত ইউনিক প্রোডাক্ট গুলি আপনার দোকানে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনার কাস্টমারের অভাব হবে না।
5. লাইব্রেরী ব্যাবসাঃ
অনেক মানুষ বই পড়তে ভালোবাসে। কিন্তু সর্বদা সব ধরনের বই কিনে পড়া সম্ভব নয়। তাই আপনি যদি এই সমস্যা দূর করতে আপনার গ্রামে বা শহরে একটি লাইব্রেরী তৈরি করতে পারেন তাহলে, সেখানে থাকা বইয়ের ভিত্তিতে আপনি ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবেন।
আপনি একটি লাইব্রেরী বানিয়ে সেখানে সব ধরনের বই রাখতে পারেন, এবং কিছুদিন চলার পর কাস্টমারদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে অধিক পরিমাণে বই সঞ্চয় করে রাখতে পারেন। এবং তাদের প্রত্যেকের একাউন্ট বানিয়ে মাসিক আয় উপার্জন করতে পারেন। মাঝারি ব্যবসার মধ্যে এটি হলো একটি অন্যতম ব্যবসা।
তাছাড়া আপনি যদি কোনো স্কুল,কলেজ বা ইউনিভার্সিটির পাশে আপনার লাইব্রেরির তৈরি করেন তাহলে মাসিক খুব ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
তবে এই ব্যবসা টি মাঝারি হলেও ব্যবসা শুরু করার পূর্বে কমপক্ষে ২ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা হাতে রাখা প্রয়োজন।
আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।