আসসালামু আলাইকুম

আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।

আমার আগের সব পর্ব:-
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ১
ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ২

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৩

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৪

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৫

ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।পর্ব ৬

[পর্ব ৭] ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[নাসির আল দীন আল তুসি:-ত্রিকোণমিতির স্রষ্টা,জিজ-ইলখানি উপাত্তের উদ্ভাবক]

[পর্ব ৮] ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবুল ওয়াফা:-ত্রিকোণমিতির মূল স্থপতি]

[পর্ব ৯]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবু মারওয়ান/ইবনে জহুর:-পরভূক জীবাণু বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা,পরীক্ষামূলক সার্জারির জনক, পরীক্ষামূলক শারীরবৃত্তীয়, মানুষের ব্যবচ্ছেদ, অটোপস এর অগ্রদূত]

[পর্ব ১০]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল মাওয়ার্দি:-বিশুদ্ধতম গণতন্ত্রের প্রবক্তা]

[পর্ব ১১]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল জাজারি:-মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিবিদ]

[পর্ব১২]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবুল কাসিম আল জাহারাবী:-অপারেটিভ/আধুনিক সার্জারীর জনক]

[পর্ব১৩]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আব্বাস ইবনে ফিরনাস:-বিমানের জনক,প্রথম যিনি উড়েছিলেন আকাশে]

[পর্ব ১৪]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল-কিন্দি:-ফার্মাকোলজির অগ্রদূত, পেরিপ্যাটেটিক দর্শনের জনক,সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী,সাইকোথেরাপি ও সংগীত থেরাপির অগ্রদূত]

[পর্ব ১৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ফাতিমা আল ফিহরি:-বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে নারী]

[পর্ব ১৬]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল-খৈয়াম:-বাইনমিয়েল থিওরেমের প্রথম আবিষ্কারক,এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক]

পর্ব ১৭]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[জাকারিয়া আল রাযি:-আরবীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাণপুরুষ]

[পর্ব ১৮]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল ফারাবি:-অ্যারিস্টটলের পর দর্শনের সেকেন্ড মাস্টার,পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী]

[পর্ব ১৯]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল জারকালি:-সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী]

[পর্ব ২০] ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আলী ইবনুল-আব্বাস আল-মাজুসী:-ধাত্রীবিদ্যা এবং পেরিনেটোলজি এর অগ্রদূত]

[পর্ব ২১]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ইবনে তোফায়েল:-প্রথম দার্শনিক উপন্যাস রচয়িতা]

[পর্ব ২২]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আল বালখি:-যিনি সর্বপ্রথম দেহ ও আত্মা সম্পর্কিত রোগসমূহকে সফলভাবে আলোচনা করেছিলেন]

[পর্ব ২৩]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[ছাবেত ইবনে কোরা:-স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা]

[পর্ব ২৪]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আবু কামিল:-এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী]

[পর্ব ২৫]ইতিহাসের সেরা কিছু মুসলিম বিজ্ঞানী আর তারা যে কারনে বিখ্যাত।[আলী ইবনে সাহল রাব্বান আত তাবারী:-চিকিৎসা বিশ্বকোষ এর অগ্রদূত]

32.আল-বিতরুজি


অাল বিতরুজি ছিলেন একজন আন্দালুসিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং কাযী।আল-বিতরুজি হলেন প্রথম জ্যোতির্বিদ, যিনি টলেমির মডেলগুলির বিকল্প হিসাবে একটি অ-টলেমিক জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত সিস্টেম উপস্থাপন করেছিলেন,জিওসেন্ট্রিক গোলক দ্বারা বহন করা গ্রহগুলি নিয়ে।

তাঁর সিস্টেমের আর একটি মূল বিষয় হ’ল তিনি celestial motion এর একটি physical কারণ প্রস্তাব করেছিলেন।13 তম শতাব্দীতে তাঁর বিকল্প ব্যবস্থাটি ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

বিতরুজী কর্ডোভার উত্তরে পেড্রিক নগরীতে দ্বাদশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পুরো নাম নুর আদ-দীন ইবনে ইসহাক আল-বেতুরজি।

তিনি ইসলামি স্বর্ণযুগে মরক্কোতে জম্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ।পশ্চিমাবিশ্ব তার নাম বিকৃত করে রেখেছে “আলপেটরাজিনাস”।

তাঁর জীবন সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায়নি, কেবল তাঁর নামটি সম্ভবত কর্ডোবার কাছাকাছি অঞ্চল লস পেড্রোচেস (আল-বিরাউশ) থেকে এসেছে তিনি শিষ্য ছিলেন ইবনে Tufail (Abubacer) এবং সমকালীন ছিলেন ইবনে রুশদের ।

বিতরুজির মূল অবদান জ্যোতির্বিজ্ঞানে। তিনি তার কিতাবুল হাইয়া বইয়ে টলেমির মতবাদ খণ্ডন করেন। তার বক্তব্য হচ্ছে ‘প্রত্যেক গ্রহের মেরুই নিজের পথে ক্রান্তিবৃত্তের চার দিকে ঘোরে।’

আল-বিতরুজি হলেন প্রথম জ্যোতির্বিদ যিনি টলেমির মডেলগুলির বিকল্প হিসাবে একটি অ-টলেমিক জ্যোতির্বিদ্যা ব্যবস্থা উপস্থাপন করেছিলেন।

আরব বিজ্ঞান জগতে এ মতবাদ হরকাতুল লাওলাবি নামে পরিচিত। মতবাদটি প্রচারিত হয় কিতাবুল হাইয়া বইয়ের মাধ্যমে, যা বিজ্ঞান জগতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

তার বইটি প্রায় সাথে সাথেই অনুবাদ করা হয় ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায়। হিব্রু অনুবাদে তাকে হামারিশ (মতবাদ পরিবর্তক) সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১২১৭ সালে কিতাবুল হাইয়া বইটি ল্যাটিনে অনুবাদ করেন মাইকেল স্কট।

১২৫৯ সালে এই বই হিব্রুতে অনুবাদ করেন মোজেস বিন তিব্বন। এর ২৬৮ বছর পরে, ১৫২৮-২৯ সালে কালোলিমন বিন ডেভিড বইটি আবার ল্যাটিনে অনুবাদ করেন।আর এটিই আল বিতরুজির একমাত্র সংরক্ষিত বই।

তাঁর জীবনীটি উইকিপিডিয়ায় 20 টি ভিন্ন ভাষায় পাওয়া যায় যা তাকে 127 তম জনপ্রিয় জ্যোতির্বিদ করেছে।

১২০৪ সালে বিতরুজি ইন্তেকাল করেন। এখনো তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়।

তার জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত কাজের সম্মানে চাঁদের একটি ক্র্যাটার তার নাম Alpetragius নামে নামকরণ করা হয়েছে।

তার জীবনী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হলে উইকিপিডিয়া দেখুন

Leave a Reply